Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

“How to get over from a break up” ( ব্রেক-আপ এর পর কি করলে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন)

ব্রেক আপ শব্দ টার সাথে আমরা সবাই পরিচিত , প্রেম করি আর না করি এই শব্দ শুনিনাই এমন কাউকে হয়ত পাওয়া যাবেনা । সবার ই কমবেশি ধারনা আছে ব্রেক আপ কি , এই সম্পর্কে । কিন্তু ব্রেক আপ এর পর কি করতে হয় এই সম্পর্কে হয়ত অনেকের ই ধারনা নেই , আমার ও ছিলোনা । ভার্সিটি এর এক এসাইন্মেন্ট করতে গিয়ে অনেকের সাথে কথা বলে , ইন্টারনেট এ সার্চ দিয়ে এমন কি দুই জন মন-বিজ্ঞানী এর সাথে আলাপ করে আমার কিছু টা ধারনা হয়েছিলো যে ব্রেক আপ এর পর কি করতে হয়। সেই ক্ষুদ্র ধারনা টি সবার সাথে আজ শেয়ার করছি । 

ব্রেক আপ কি ? , এটা নতুন করে বলার অবকাশ নেই। একটা সম্পর্ক যখন ভেঙ্গে যায় তাকেই ব্রেক আপ বলে । আর এই ব্রেক আপ যেহেতু হৃদয় ঘটিত ব্যাপার তাই এর প্রভাব হয় একটু আলাদা ধরনের। কখনো এটা খুবই কষ্ট দায়ক, মানসিক শক্তি হারিয়ে কেউ আবার হয়ে যেতে পারেন বিপর্যস্ত । এমনকি যেই ব্রেক-আপ টি খুবি যৌক্তিক ছিলো তাতেও মানুষ এমনি ভাবেই ভেঙ্গে পরতে পারেন । বেপার টা সম্পূর্ণ হৃদয় ঘটিত যার ফলে যৌক্তিকতা এখানে খুব একটা ফল্প্রসুত প্রভাব বিরাজ করতে পারেনা। সুতরাং ব্রেক পরবর্তী মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরা টা আন্দাজ করা যায় । তাই একজন হয়ে উঠতে পারে প্রচণ্ড ভাবে ধ্বংসাত্মক যদি না তিনি জীবনে সামনে চলার প্রতি মননিবেশ না করেন । যাই হউক আলোচ্য প্রসঙ্গে ফিরে আসি , কিভাবে একজন ব্রেক-আপ পরবর্তী সময় টি পার করলে মানসিক ভাবে সাবলীল থাকতে পারবেন এবং জীবনে সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রতি মননিবেশ করতে পারবেন । 

প্রথমত,
ব্রেক-আপ টি যদি আপনার সিদ্ধান্ত না হয়ে থাকে তাহলে আপনার “এক্স” এর সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ রাখবেন না , যদি ও আপনার ইচ্ছা করবে যে একটু খোঁজ নিতে , ভুলেও এই কাজ করবেন না , কেননা এতে তার সাথে আপনার যাপন করা সময় টুকুর কথা মনে চলে আসবে আরো বেশি করে। নিজেকে কিছু টা সময় দিন , আস্তে আস্তে আপনি ভাল থাকতে পারবেন ।

দ্বিতীয়ত, 
প্রতি টি দিন শুরু হতে পারে আপনার এই ভেবে যে প্রাক্তন মানুষ টির সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করবেননা , কিন্তু প্রতি রাতে আপনার ইচ্ছা হতে পারে একটু যোগাযোগ করতে , তার ফেসবুক প্রোফাইল টি একটু দেখতে অথবা পুরাতন ছবি গুলো দেখতে, শুধু মাত্র তার কাছে থাকা টা অনুভব করতে । যেই রকম ই অনুভব করেন না কেন , এই কাজ গুলো করবেনা ; কেননা এই কাজ গুলো আপনাকে একটি পিছু টানে বেধে রাখবে, যা আপনাকে সামনে এগিয়ে যেতে দিবেনা । 

তৃতীয়ত, 
ব্রেক-আপ এর সিদ্ধান্ত টি যদি আপনার ও হয়ে থাকে , মাথায় রাখবেন আপনার এক্স সম্পর্কে ভাবা অথবা তার সাথে অতিবাহিত ভাল সময় গুলোর কথা চিন্তা করতে থাকলে আপনি যেই কারনে ব্রেক-আপ টি করেছিলেন সেই কারন টি ভুলে যেতে পারেন, তার প্রতি পুনরায় আসক্তি তৈরি হতে পারে । সিধান্ত টি যদি আপনার হয় , ভেবে চিনতে সিদ্ধান্ত নিবেন যাতে পরবর্তীতে ব্যাপার টি নিয়ে আপনার মধ্যে দ্বিধা না আসে । যদি ব্রেক-আপ টি আপনার সিদ্ধান্ত না হয় তাহলে এটা খুবি সাধারন বেপার যে আপনি সম্পর্কের ভাল সময় গুলো নিয়ে চিন্তা করতে পারেন, আবার আপনার মধ্যে এমন চিন্তাও আসবে যে , আপনার এক্স যদি আপনার বর্তমান অবস্থা দেখে তাহলে হয়ত সে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারে । দয়া করে নিজের সাথে এই খেলা খেলবেননা। নিজের অবস্থা টি স্বীকার করে নিন , জীবনে এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন। 

চতুর্থত, 
প্রত্তেকেই চায় আশপাশে এমন কিছু মানুষ দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকতে যারা তাকে পছন্দ করে , যারা তার প্রশংসা করে , সহজ কথায় বলতে গেলে কেউ যদি প্রশংসা করে কার ই বা না ভালো লাগে। ঠিক এই জন্যই ব্রেক-আপ পরবর্তী সময়ে আপনার উচিত সহানুভূতিশীল এবং আপনার প্রতি যত্নবান বন্ধু ও পারিবারিক মানুষ দের সাথে বেশি বেশি সময় অতিবাহিত করা । কেননা এর মাধ্যমে আপনি নিজেকে একজন মুল্যবান ব্যাক্তি হিসেবে চিহ্নিত করতে পারবেন । আর এই মানুষ গুলি ই আপনার স্থিতিশীল জীবন নিশ্চিত করনে কার্যকর ভুমিকা রাখতে পারে । এরা ই রাখতে পারবে আপনাকে প্রানবন্ত । 

পঞ্চমত, 
উপরন্তু, একটি গান, একটি গন্ধ, একটি শব্দ, এমনকি একটি জায়গা আপনার “এক্স” এর সাথে আপনার সম্পৃক্ততা এর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে । ব্রেক-আপ পরবর্তী হৃদয়বিদারক কিছু সময় অতিবাহিত হতে দিন , এর মধ্যে এই সমস্ত সকল ব্যাপার গুলো থেকে দূরে থাকুন যা কিনা আপনাকে আপনার প্রাক্তন এর কথা মনে করিয়ে দিতে পারে । 

ষষ্ঠত, 
সহিষ্ণু ও ধৈর্যশীল জীবন অতিবাহিত করার জন্য একজন “সাইক্রিয়ার্টিস্ট” এর সাথে আলোচনা করা রাখতে পারে খুবি কার্যশীল ভুমিকা । কেননা সঠিক অনুপ্রেরণা আপনাকে করে তুলতে পারে পূর্বের মতই সাবলিল। 

যদি এমন হয় যে আপনার “এক্স” আপনার সাথে যোগাযোগ রাখতেও চায়, আপনি যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে বন্ধ করে দিন। এর মানে তার ফোন কল, ইমেইল, ফেসবুক প্রোফাইল, এমনকি তার খুব কাছের বন্ধু দের ও এড়িয়ে যেতে হবে । এটা ঠিক ততক্ষণ ই করে যেতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি মনে করেন যে আপনি তাকে “শুধুমাত্র বন্ধু” পর্যায়ে রাখতে পারবেন । আপনার অনুভুতি তে যদি তাকে বন্ধু পর্যায়ে রাখা সম্ভব হয় তাহলেই শুধু মাত্র তার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা যেতে পারে। তারপরেও বন্ধুত্ব টিও যেন হয় খুবি ফরমাল , তা নাহলে মানুষের ই তো মন আবার প্রেমে পরতে কতক্ষণ ? তাই ফোন কল এবং সাক্ষাৎ গুলো হয় যেন খুবি স্বল্প এবং পরিমার্জিত । 


বিঃ দ্রঃ আপনাকে এটা বুঝতে হবে যে একজনের প্রতি কষ্ট, অপরাধ বোধ, ঘৃণা এগুল জমিয়ে রাখার মধ্যে কোন উপকারিতা নিহিত নেই । যদিও সম্পর্ক টি শেষ তারপরেরও তার সাথে আপনার বন্ধন টি ছিল অনেকভাবেই ব্যাতিক্রম এবং অসাধারন একটি সম্পর্ক । উপরন্তু বিশ্বাস করুন অথবা নাইবা করুন একটি কথা জেনে রাখুন সবসময় ই “দেয়ার ইস আ নেক্সট টাইম” থাকে ।

১ Likes ২ Comments ০ Share ৬৬০ Views

Comments (2)

  • - নীল সাধু

    শুভেচ্ছা রইলো।

    নক্ষত্র ব্লগে স্বাগতম। আশা করছি আমরা এক সৃজনশীল পথে হাটতে পারবো।

    ব্লগিং হোক আনন্দের। শিক্ষণীয়।

     

    নক্ষত্র ব্লগ বাংলা ব্লগ জগতে সর্বাধুনিক সুবিধা নিয়ে অনলাইন লেখকদের অন্য নতুন প্লাটফর্ম হিসেবে নিজের স্বকীয়তা বজায় রাখবে এ কামনা করি। 

    • - তুহিন সরকার

      ধন্যবাদ সাধু ভাই, সকল প্রত্যাশা সার্থক হোক।

      সৃজনশীলতায় মুখরিত হোক নক্ষত্র ব্লগ।

      ভাল থাকবেন, সব সময়, শুভকামনা সতত।