আজ ঐতিহাসিক শহীদ ডা. মিলন দিবস। ৯০-এর দশকে বাংলাদেশের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলনের ২৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৯০ সালে গণধিকৃত স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী গন-আন্দোলনের চুড়ান্ত মুহুর্তে স্বৈরাচারের লেলিয়ে দেয়া পেটোয়া বাহিনীর গুলিতে শহীদ হন ডা. শামসুল আলম খান মিলন। তাঁর মৃত্যুতে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ায় স্ফুলিঙ্গের মতন সারাদেশে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। ক্ষোভে-বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। জনতার আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়। ডা. মিলনের শহীদি আত্মদানের ঠিক আটদিন পর স্বৈরাচার এরশাদের পতন হয়। জাতি গভীর শ্রদ্ধায় আজ তার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করবে। শহীদ ডাক্তার মিলনের ২৩তম মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি।
ডাঃ শামসুল আলম খান মিলন ১৯৫৭ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন।
তিনি ১৯৮০-৮১ মেয়াদকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ক্রীড়া সম্পাদক এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ডাঃ মিলন ১৯৮৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে (ব্যাচ কে-৩৪) এমবিবিএস ডিগ্রী লাভ করেন।
এরশাদ সরকারের শাসনামলে তিনি গণবিরোধী স্বাস্ব্যনীতির বিরুদ্ধে সক্রিয় আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। এ সময়ে তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ছিলেন।
১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের গণবিরোধী স্বাস্ব্যনীতির বিরুদ্ধে ২৭ নভেম্বর বিএমএর একটি সভায় যোগদানের উদ্দেশ্যে পিজি হাসপাতালে যাবার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পাশের সড়কে রিক্সায় বসা অবস্থায় এরশাদ সরকারের ভাড়াটিয়া গুণ্ডাবাহিনীর গুলিতে শহীদ হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের চত্বরে (যা বর্তমানে মিলন চত্বর নামে সুপরিচিত) তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন।
বাংলাদেশ ডাক বিভাগ শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলনের আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে বিগত ১৯৯৪ সালের ২৭ নভেম্বর জনাব মাহবুব আকন্দের নকশায় ২ টাকা মূল্যের একটি ডাকটিকিট অবমুক্ত করে।
শহীদ ডাক্তার শামসুল আলম খান মিলনের ২৩তম মৃত্যুদিবসে আমাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি
Comments (5)
অসাধারণ কবিতা। অনেক ভাল লেগেছে।
ধন্যবাদ। শুভ কামনা সতত।
'এসবের মধ্যেও আমি নেই
দু:খে নেই, কষ্টে নেই, নেই আনন্দে
কাব্যে, কবিতায়-
কোথাও নেই এখন আমি আর!
কোথাও নেই কিশোর বালক!'
কবিতার শেষে ছেকে ধরলো বিষন্নতা। কবিতা খুব ভাল লাগলো
কাবুল ভাই। শুভকামনা রইলো।
ঝরা পাতার কান্না শুনি অহর্নিশি। বিষণ্ণতা সেসব থেকেই। ধন্যবাদ প্রিয়। শুভ সকাল।
কয়েকজনকে দেখছি যারা সহজ ভাষায় প্রেমের কবিতা গুলো লিখেন। আবার তা বালখিল্যও মনে হয়না। আদিখ্যেতা মনে হয়না। আপনি তাদের অন্যতম।
এমন মন্তব্য পাবার যোগ্য আমি নই পাশা। তুমি ভালোবাসো বলেই অমন করে বলেছো। অনেক অনেক শুভ কামনা তোমার জন্য।