ফরেন পলেসি পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ২০১৪ সালে বাংলাদেশে যুদ্ধ হওয়ার শংকা আছে। এই প্রতিবেদনের নাম "আগামী বছরের যুদ্ধগুলো-সোচি থেকে সুদান: ২০১৪ সালে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে ১০ দ্বন্দ্ব"।
এই দ্বন্দ্বগুলোর মধ্যে ৮ নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ। তারা লিখেছে, বাংলাদেশ ২০১৪ সালে প্রবেশ করল রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে। সরকারী দলের সাথে বিরোধী দলের বিরোধে অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছে এবং আহত হয়েছে। বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করে অবরোধ ডেকে চলেছে। এই অবরোধ দিন দিন সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রীর মধ্যে এক দশকেরও বেশি সময় পর যে টেলিফোন সংলাপ হয়েছিল সেটা দেখেই বোঝা গিয়েছিল একে অপরের প্রতি তিক্ত মনোভাব। সমঝোতা ছাড়া নির্বাচন কোন সমাধান এনে দিবে না।
বাংলাদেশী রাজনৈতিক এই সমস্যার শিকড় আরো গভীরে। গত দুই বছর ধরে, সরকার দ্বারা নিযুক্ত ট্রাইবুনাল ১৯৭১ এ মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচার কাজ সম্পন হয়েছে। এরা প্রত্যেকেই বাংলাদেশী নাগরিক। পাকিস্তানি সামরিক থেকে কেউ নয়, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান যাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। বিষয়টা আরো খারাপ হয়েছে যখন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দলগুলোর ছয় সদস্যের মৃত্যু শাস্তি ঘোষনা করা হয়। অভিযুক্তরা দেশের ভিতর অন্তর্ঘাত চেষ্টা করার জন্য - ধর্মীয়-বনাম-ধর্মনিরপেক্ষ সামাজিক বিভাজনের স্ফীত এবং নতুন দলের উত্পন্ন করেছে যেমন হেফাজতে ইসলাম।
কেবল একটিমাত্র রাস্তা রয়েছে এবং তা হল শেখ হাসিনা এবং খালেদা জিয়ার মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা।যত দ্রুত সম্ভব তারা নিজেদের মধ্যে আপোষ করা উচিত। পরিশেষে, এখানে মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে এবং ভঙ্গুর অর্থনীতির পথে হাঁটছে।
এই প্রতিবেদনে এক নম্বরে আছে সিরিয়া এবং লেবানন। এর পরে যথাক্রমে ইরাক, লিবিয়া, হন্ডুরাস, সেন্ট্রাল আফ্রিকা, সুদান, সাহিল ও উত্তর নাইজেরিয়া, বাংলাদেশ, সেন্ট্রাল এশিয়া এবং উত্তর ককেশাস (শোচি)।
মূল প্রতিবেদনঃ এখানে দেখুন
Comments (11)
দাদা এটাকি ঘাসফুল ভাই কে লেখা
দাদা
আপনি যাহা ভাবছেন তা নয়
অনেক ধন্যবাদ
২০১৪ নববর্ষের শুভেচ্ছা
নতুন বছরের শুভেচ্ছা...
দাদা
আপনাকেও
২০১৪ নববর্ষের শুভেচ্ছা
ভাল লাগা জানবেন
অনেক অনেক শুভ কামনা
শুভ নব বর্ষ
আপনাকেও
শুভ নব বর্ষ