Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ম. গ. রেজওয়ান

৯ বছর আগে

হিজাবের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করে তরুণীর জয় ও যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীতে হিজাব পরা মুসলিম নারী!


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্ট (স্কটাস) এক তরুণীর হিজাব-সংক্রা
ন্ত মামলা পুনর্বিবেচনা করে জানিয়েছেন, পোশাক বিক্রয়কারী এবারক্রমবি অ্যান্ড ফিচ ওই তরুণীকে হিজাবের কারণে চাকরি না দিয়ে বৈষম্য করেছে। দেশটির ইতিহাসে হিজাব-সংক্রান্ত প্রথম কোনো মামলা দায়ের করেন সামান্তা ইমাম ইলিয়াফ নামের ২০ বছর বয়সী তরুণী।

আদালত একই সঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানকে ধর্মীয় পোশাকের অনুমিত দিয়ে ড্রেস কোড পরিবর্তন করতে বলেছে। এবারক্রমবি অ্যান্ড ফিচ স্টোরস ইনকরপোরেশনে হিজাব পরে সামান্তা ইলিয়াফ ২০০৮ সালে বিক্রয়কর্মী পদে চাকরির মৌখিক পরীক্ষা দিতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশ্য এ সময় তার ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয়নি।
এরপর তিনি ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশনের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলায় গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিমকোর্টকে ওই কোম্পানি শুনানি না করার আবেদন জানায়। তারা যুক্তি হিসেবে আদালতকে জানায়, মুসলিম তরুণী নিজেই জানেন তার পোশাক প্রতিষ্ঠানের ড্রেস কোডের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। এই পোশাককে ‘ক্লাসিক্যাল ইস্ট কোস্ট কলেজিয়েট স্টাইল’ বলা হয়ে থাকে।

চাকরি প্রার্থী সামান্তা হিজাব পরে সাক্ষাৎকারে যান। তিনি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগে থেকে স্পষ্ট তথ্য জানতেন না। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণে হিজাব পরে তিনি সাক্ষাৎকারে গিয়েছিলেন। ধর্মীয় কারণে এ ধরনের পোশাক পরলে এবং চাকরির ক্ষেত্রে বৈষ্যমের শিকার হলে তার জন্য ওই চাকরি প্রার্থীকেই দায়ী থাকতে হবে- প্রতিষ্ঠানের এমন নিয়ম তাকেও শুনিয়ে দেওয়া হয়।

এরপর ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিউ ইয়র্ক টাইমস এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সে সবের সঙ্গে আনুষঙ্গিক তথ্য নিয়ে স্কটাসের ব্লগে লিংক দেওয়া হয়। ইক্যুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশন সামান্তার পাশে এসে দাঁড়ায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীতে হিজাব পরা মুসলিম নারী! 

মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর সময় মুসলিম নারীরা লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্যের শিকার হতেন না। সমাজ উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ বা সংশ্লিষ্টতায়ও অনুৎসাহিত করা হতো না।

সে সময় মুসলিম সেনাবাহিনীর সঙ্গে নারীরাও যুদ্ধের ময়দানে যেতেন। সাধারণত যুদ্ধাহতদের সেবা করা এবং খাদ্য ও পানি সরবরাহ করার কাজ করতেন তারা। এছাড়া যোদ্ধাদের মনোবল বাড়ানোর জন্য নারীরা তাদের আল্লাহর পথে জিহাদ করার কথা বারবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার দায়িত্বও পালন করতেন।

আজকাল আমরা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক সফল মুসলিম নারীর কথা শুনে থাকি। যারা চিকিৎসা বিদ্যা, আইনশাস্ত্র, হাদিস, কোরআন, শিক্ষা, ব্যবসা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন এবং নিজেদের পরিবার ও সমাজকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ মিনেসোটার বাসিন্দা এমনই এক নারী তার সাফল্য গাথার জন্য স্থানীয় সিবিএস নিউজ চ্যানেলের সংবাদ শিরোনাম হয়েছেন। গত শনিবার সোমালি বংশোদ্ভূত ওই নারী মিনেসোটা প্রদেশের সেন্ট পল পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান।

কেনিয়ায় জন্মগ্রহণ করা কাদরা মোহাম্মদ নামের ওই নারী ২০১০ সালে মিনেসোটা প্রদেশের সেন্ট্রাল হাইস্কুল থেকে পাস করে সেন্ট ক্লাউড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। আগামী মে মাসে তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিনাল জাস্টিস বিষয়ে গ্রাজুয়েট ডিগ্রি নিয়ে বের হবেন। কিন্তু তার আগেই ২১ বছর বয়সী ওই সোমালি নারীকে গত সপ্তাহে মিনেসোটা প্রদেশের পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হল।

নিয়োগ পাওয়ার পর কাদরা কর্মজীবনে যারা সফল হতে চান তাদের উদ্দেশে পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘আমি আজ এখানে আসতে পেরেছি কারণ এ বিষয়ে আমার মনে শক্তিশালী স্বপ্ন ও দৃঢ় প্রত্যয় ছিল। আর এ স্বপ্ন অর্জনে আমি সত্যিই খুব কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমি বলতে চাই যে, নিজ স্বপ্ন পূরণে আপনাদেরও কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে।’

উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের যে গুটিকয় পুলিশ বিভাগ নারী সদস্যদের হিজাব বা ওড়না পরার অনুমতি দিয়ে থাকে মিনেসোটা প্রদেশের সেন্ট পল পুলিশ বিভাগ তাদের অন্যতম। সূত্র : সৌদি গেজেট।

(দ্য রিপোর্ট/এমএটি/জেএম/এনআই)

- See more at: http://www.thereport24.com/article/20989/index.html#sthash.VbLeVymu.dpuf

২ Likes ০ Comments ০ Share ৪৪৬ Views