Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

দিলারা জামান

৯ বছর আগে

স্মার্টনেস সম্পর্কে তরুণদের মাঝে ভুল ধারণা গুলো

একটা সময় ছিল যখন পোশাক দিয়ে মাপা হত স্মার্টনেস। কেউ স্যুট বা নিদেন পক্ষে একটা একটা কোট গায়ে দিলেই মানুষ তার দিকে তাকাতো সম্মানের সাথে।মানুষটিও নিজেকে মনে করত, ‘আহা!আমি কতই না স্মার্ট।’ নারীদের ক্ষেত্রেও পোশাক আর দামী গহনা ছিল স্মার্টনেস মাপার মানদণ্ড।

তবে সেই যুগ পার হয়ে এসেছি আমরা অনেক আগেই। এখন গরমের দিনে কেউ কোট পরে রাস্তায় বের হলে তার হাসির পাত্র হবার সম্ভাবনাই প্রবল।সেই সাথে নিত্যদিনের কাজকর্মে নারী পুরুষ পোশাক দিয়ে স্মার্টনেস মাপার ধ্যান ধারনা থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেক আগেই।তাহলে প্রশ্ন থাকতে পারে, স্মার্টনেস কি?

স্মার্টনেস আসলে একটি আলাদা বিষয় নয়।অনেকগুলো ভাল আচরণ ও সুঅভ্যাসের মেল বন্ধন।তবে সু অভ্যাস বলতে যে শুধু উচ্চপদস্থ লোকদের স্যার বা ম্যাডাম বলে মুখে ফেনা তুললেই হবে তা নয়,বরং স্মার্টনেস ফুটে উঠতে হবে আপনার ব্যাক্তিত্বে, আপনার আচরণে।একজন মানুষের ভেতরের সব ভাল গুনগুলোর সম্মিলিত ফলই হল স্মার্টনেস।

এখন হয়তো চিন্তা করতে বসলেন আপনার ভালো গুন কি কি আছে।অনেক গুনের সমাহার হলে তো কথাই নেই, হয়ে গেলেন আপনি স্মার্ট!কিন্তু না, শুধু ভালো গুন থাকলেও কিন্তু তো হবেনা,দরকার তার সঠিকভাবে প্রকাশও।উফ! অনেক কঠিন স্মার্ট হয়ে উঠা,তাইনা?মজার ব্যাপার হলো তা কিন্তু একদম নয়।স্মার্ট হতে চাইলে আগে জানুন কিসে কিসে স্মার্টনেস কমায়,এবং তা পরিহার করুন।তাহলেই দেখবে অন্যদের চোখে আপনি হয়ে উথেছেন স্মার্ট।

অন্যের অনুকরণে স্মার্টনেস নেইঃ

জীবনের রঙিন প্রহরে যখন একজন ব্যক্তি তার কৈশোরে পা রাখেন তখনই তিনি বুঝতে শুরু করেন স্মার্টনেস বলে একটি বিষয় আছে।কেউ হয়ত কৈশোরে পা দিয়েই হয়ে যান সবার কাছে আরাধ্য,বাকিরা তাকে দেখে অনুকরণ করে হতে চায় স্মার্ট।এবং এখানেই জীবনের চলার পথের প্রথম ভুলটাই করে বসে অনেকে।অন্যকে অনুকরণ করে কখনো স্মার্ট বা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারবেন না আপনি।হতে হবে নিজের মতন, মৌলিক।আপনি যেমন বা যেরকম ভাবেন, সেটাই আপনার ব্যক্তিত্ব।

ধূমপান ও মাদকাসক্তি নয় স্মার্টনেসের মাপকাঠিঃ

তরুণদের চোখে স্মার্টনেস হিসেবে প্রথমে যা ধরা দেয় তা হল ধূমপান ও মাদকাসক্তি।অনেকেই ভাবেন স্কুলের বা কলেজের জনপ্রিয় ছেলেটিকে বা মেয়েটিকে দেখলাম সিগারেট হাতে বা মাদক নিতে, ব্যস আমিও নেই আর হয়ে যাই স্মার্ট।ভুল, সব থেকে বড় ভুল হচ্ছে এটাই।মাদক নেয়া বা ধূমপান করা কখনোই স্মার্টনেস নয়।যে ব্যাপার আপনাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়,সেটা কি করে স্মার্ট নেস হতে পারে?একটি ভয়ানক উদাহরন দেই, একজন ব্যাক্তি যদি আপনার মুখের উপরে অনবরত তার নোংরা,ময়লা ঘামে ভেজা গন্ধযুক্ত কাপড় দিয়ে বাড়ি মেরে যায় আপনার তখন কেমন লাগবে?তার সম্পর্কে কোন পর্যায়ের ধারনা হবে আপনার? হয়ত রাগের মাথায় তার পরিবারের পূর্বপুরুষদেরকেও কথার মাঝে টেনে নিয়ে আসবেন আপনি। একজন ব্যক্তি যখন ধূমপান করে সবার সামনে, তখন আশেপাশের অধূমপায়ীদের ঠিক এমনটাই মনে হয়।তাই সময় থাকতেই ধূমপান ও মাদকাসক্তি দূর করুন।এমন একটা খারাপ অভভাস কখনি স্মার্টনেস এর মধ্যে পড়বেনা।

স্মার্টনেসের সাথে প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেইঃ

তবে এমন অনেক তরুনই আছেন যারা তারুণ্যে পা দিয়েই স্মার্টনেস হিসেবে ধরে নেন প্রেম করাকে।সব সময় পাশে একজন থাকবে যার সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়া হবে, সেটা তো অবশ্যই একটি ভাল ব্যাপার।এমন সম্পর্কও হয় অনেক মহৎ।তাই বলে শুধু মাত্র প্রেম করলেই আপনি স্মার্ট, যদি এমন ভেবে থাকেন তো আপনাকে বলছি- এমনটা ভাবাটা একদমই ভুল হবে।কারণ স্মার্টনেস কখনোই কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠে না।নিজের পাশে একজন সুন্দরী প্রেমিকা বা হ্যান্ডসাম প্রেমিক থাকলেই আপনি স্মার্ট হয়ে যাবেন না।ক্যাম্পাসের সব চাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তির সাথে প্রেম হয়তো আপনাকে খানিকটা সময় জনপ্রিয় হওয়ার অনুভূতি দিবে,কিন্তু সেটার সাথে প্রকৃতপক্ষে স্মার্ট নেসের কোনও সম্পর্ক নেই। সমার্টনেস হল আপনার মাঝে। আপনার নিজেকে তুলে ধরার উপরে নির্ভর করেই অন্যরা আপনার স্মার্টনেস বিচার করবে।

স্মার্টফোনে নয় স্মার্টঃ

যুগটাই এখন স্মার্টফোন,এনড্রয়েড এর।হাতে হাতে স্মার্টফোন।নাম স্মার্টফোন, তাই হাতে থাকলেই আপনি স্মার্ট- এই ধারনা থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাগ করুন। ফোনটির নাম স্মার্ট ফোন তার নানাবিধ সেবা ও আধুনিকতার জন্য।তাই বলে হাতে স্মার্টফোন থাকলেই আপনি স্মার্ট, এর চাইতে হাস্যকর ধারণা আর কিছু হতে পারে?

মোবাইল ফোন সুবিধা ব্যবহার করুন বুঝে শুনেঃ

মনে করুন রাত ১টা বাজে।গভীর ঘুমে আপনি আচ্ছন্ন। হঠাত করে যদি ফোন বেজে উঠে তবে আপনার ভয় পাওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়?ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।তাই বলে সময় ও পরিস্থিতি না বুঝে ফোন দিলে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারনাটাই বদলে যেতে পারে। অনেক তরুণ তরুণীরাই মনে করে রাত জেগে মোবাইল ফোনে আড্ডা দেয়া বা সারাক্ষণ মেসেজ পাঠানো মনে হয় খুব একটা আধুনিকতা বা স্মার্টনেসের লক্ষণ।অথচ এই ব্যাপারগুলো স্মার্টনেস তো নয়ই, বরং বিরক্তিকর এক অভ্যাস।

পরচর্চায় ব্যক্তিত্বহানীঃ

পরচর্চা একদম বাদ দিন।এটা এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের সবার মাঝেই কমবেশি উপস্থিত আছে। তাই বলে এমন একটি খারাপ আচরণকে অব্যাহত রাখতে হবে, তা তো নয়। চেষ্টা করুন নিজের অভ্যাস বদলাতে।মনে রাখবেন আপনি যার সামনে অন্যের পরচর্চা করছেন সেই হয়ত আরেক জায়গায় গিয়ে আরেকজনের কাছে আপনাকে নিয়ে কথা বলবে। আর অন্যের সামনে পরচর্চা করলে তাতে কেবল আপনি আর আপনার ব্যক্তিত্বই খাটো হয়, অন্যের দোষ ধরার মাঝে কোনও স্মার্টনেস নেই।

ভুল স্বীকার করলে কেউ ছোট হয় নাঃ

কোন কাজে ভুল হয়েছে?স্বীকার করুন।অন্যকে দোষ দিতে যাবেন না।একে অন্যকে দোষারোপ করলেই যা ভুল হয়েছে তা ঠিক হয়ে যাবে এমন তো নয়।তাই অন্যকে দোষারোপ না করে নিজে কি কি ভুল করেছেন সেইটুকু জানার চেষ্টা করুন এবং শুধরিয়ে নিন।এতে আপনি ছোট হবেন না। বরং নিজের ভুল স্বীকার করতে যে সাহসিকতার পরিচয় নিহিত,সেটিই আপনাকে করে তুলবে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় অন্যের চোখে।

শুধু বাইরে নয়, স্মার্ট হতে হবে ঘরেওঃ

অনেকেই হয়ত কথাবার্তায় অনেক স্মার্ট, স্মার্টনেস ধরা পড়ে পোশাকেআশাকেও।কিন্তু ঘরের আপন মানুষগুলোর সাথেই করেন খুব খারাপ আচরণ।কথায় কথায় মুখ খারাপ করা, এটা-ওটার জন্য মা বাবার ওপর চাপ প্রয়োগ করা, গুরুজনদের অবাধ্য হওয়া, ভাইবোন বা কাজের লোকদের গায়ে হাত তোলা ইত্যাদি সবই করে থাকেন।এমন ব্যক্তি আর যাই হন না কেন,কোনোভাবেই স্মার্ট বিশেষণের দাবিদার নন।যে ব্যক্তি নিজের পরিবারের উপরে শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করেন তিনি স্মার্ট নন।

সম্মান সকলের জন্যঃ

হয়তো উপরে বর্ণিত খারাপ আচরনগুলো আপনার মাঝে নেই, কিন্তু আপনার মধ্যে যদি ম্যানারিসজম বা আদব কায়দার বোধটাই না থাকে তবে সবটাই বাহুল্য বলেই মনে হবে।বড়দের সাথে শ্রদ্ধার সাথে কথা না বললে ও ছোটদের সাথে স্নেহপূর্ণ আচরণ না করে থাকলে আপনি কোনভাবেই স্মার্ট ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবেন না।যারা অন্যকে সম্মান করতে পারেনা তারা নিজেরাও কোন সম্মানের দাবিদার হতে পারেনা।আর যে ব্যাক্তি সম্মান অর্জন করতে পারে না অন্যদের চোখে,সে কোনভাবেই স্মার্ট ব্যাক্তি বলে চিহ্নিত হতে পারেনা।

ইন্টারনেট ব্যবহারে হতে হবে স্মার্টঃ

আমাদের দেশে বেশি ভাগ মানুষই জানেন না যে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাঝেও আছে স্মার্টনেস নিহিত।আজকাল মুঠোফোনের কল্যাণে সকলের হাতে হাতে ইন্টারনেট সুবিধা। কিন্তু সুবিধাটা কেবল ব্যবহার করলেই হবে না,করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সাথে।ইন্টারনেট সুবিধা আছে বলেই দিনরাত ফেসবুক বা অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট নিয়ে পড়ে থাকা বা আড্ডা বাজি করে মূল্যবান সময় নষ্ট কখনো স্মার্টনেস হতে পারে না।

তারুণ্য এমনিতেই সুন্দর তার নিজের মতন করে।তাই বিশেষ কিছু জোর করে নিজের ওপর আরোপ না করে বরং ঝেড়ে ফেলুন খারাপ অভ্যাস গুলো। আর হয়ে উঠুন সত্যিকারের স্মার্ট।

স্মার্টনেস সম্পর্কে তরুণদের মাঝে ভুল ধারণা গুলো নিজস্ব প্রতিবেদক

একটা সময় ছিল যখন পোশাক দিয়ে মাপা হত স্মার্টনেস। কেউ স্যুট বা নিদেন পক্ষে একটা একটা কোট গায়ে দিলেই মানুষ তার দিকে তাকাতো সম্মানের সাথে।মানুষটিও নিজেকে মনে করত, ‘আহা!আমি কতই না স্মার্ট।’ নারীদের ক্ষেত্রেও পোশাক আর দামী গহনা ছিল স্মার্টনেস মাপার মানদণ্ড।

তবে সেই যুগ পার হয়ে এসেছি আমরা অনেক আগেই। এখন গরমের দিনে কেউ কোট পরে রাস্তায় বের হলে তার হাসির পাত্র হবার সম্ভাবনাই প্রবল।সেই সাথে নিত্যদিনের কাজকর্মে নারী পুরুষ পোশাক দিয়ে স্মার্টনেস মাপার ধ্যান ধারনা থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেক আগেই।তাহলে প্রশ্ন থাকতে পারে, স্মার্টনেস কি?

স্মার্টনেস আসলে একটি আলাদা বিষয় নয়।অনেকগুলো ভাল আচরণ ও সুঅভ্যাসের মেল বন্ধন।তবে সু অভ্যাস বলতে যে শুধু উচ্চপদস্থ লোকদের স্যার বা ম্যাডাম বলে মুখে ফেনা তুললেই হবে তা নয়,বরং স্মার্টনেস ফুটে উঠতে হবে আপনার ব্যাক্তিত্বে, আপনার আচরণে।একজন মানুষের ভেতরের সব ভাল গুনগুলোর সম্মিলিত ফলই হল স্মার্টনেস।

এখন হয়তো চিন্তা করতে বসলেন আপনার ভালো গুন কি কি আছে।অনেক গুনের সমাহার হলে তো কথাই নেই, হয়ে গেলেন আপনি স্মার্ট!কিন্তু না, শুধু ভালো গুন থাকলেও কিন্তু তো হবেনা,দরকার তার সঠিকভাবে প্রকাশও।উফ! অনেক কঠিন স্মার্ট হয়ে উঠা,তাইনা?মজার ব্যাপার হলো তা কিন্তু একদম নয়।স্মার্ট হতে চাইলে আগে জানুন কিসে কিসে স্মার্টনেস কমায়,এবং তা পরিহার করুন।তাহলেই দেখবে অন্যদের চোখে আপনি হয়ে উথেছেন স্মার্ট।

অন্যের অনুকরণে স্মার্টনেস নেইঃ

জীবনের রঙিন প্রহরে যখন একজন ব্যক্তি তার কৈশোরে পা রাখেন তখনই তিনি বুঝতে শুরু করেন স্মার্টনেস বলে একটি বিষয় আছে।কেউ হয়ত কৈশোরে পা দিয়েই হয়ে যান সবার কাছে আরাধ্য,বাকিরা তাকে দেখে অনুকরণ করে হতে চায় স্মার্ট।এবং এখানেই জীবনের চলার পথের প্রথম ভুলটাই করে বসে অনেকে।অন্যকে অনুকরণ করে কখনো স্মার্ট বা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারবেন না আপনি।হতে হবে নিজের মতন, মৌলিক।আপনি যেমন বা যেরকম ভাবেন, সেটাই আপনার ব্যক্তিত্ব।

ধূমপান ও মাদকাসক্তি নয় স্মার্টনেসের মাপকাঠিঃ

তরুণদের চোখে স্মার্টনেস হিসেবে প্রথমে যা ধরা দেয় তা হল ধূমপান ও মাদকাসক্তি।অনেকেই ভাবেন স্কুলের বা কলেজের জনপ্রিয় ছেলেটিকে বা মেয়েটিকে দেখলাম সিগারেট হাতে বা মাদক নিতে, ব্যস আমিও নেই আর হয়ে যাই স্মার্ট।ভুল, সব থেকে বড় ভুল হচ্ছে এটাই।মাদক নেয়া বা ধূমপান করা কখনোই স্মার্টনেস নয়।যে ব্যাপার আপনাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়,সেটা কি করে স্মার্ট নেস হতে পারে?একটি ভয়ানক উদাহরন দেই, একজন ব্যাক্তি যদি আপনার মুখের উপরে অনবরত তার নোংরা,ময়লা ঘামে ভেজা গন্ধযুক্ত কাপড় দিয়ে বাড়ি মেরে যায় আপনার তখন কেমন লাগবে?তার সম্পর্কে কোন পর্যায়ের ধারনা হবে আপনার? হয়ত রাগের মাথায় তার পরিবারের পূর্বপুরুষদেরকেও কথার মাঝে টেনে নিয়ে আসবেন আপনি। একজন ব্যক্তি যখন ধূমপান করে সবার সামনে, তখন আশেপাশের অধূমপায়ীদের ঠিক এমনটাই মনে হয়।তাই সময় থাকতেই ধূমপান ও মাদকাসক্তি দূর করুন।এমন একটা খারাপ অভভাস কখনি স্মার্টনেস এর মধ্যে পড়বেনা।

স্মার্টনেসের সাথে প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেইঃ

তবে এমন অনেক তরুনই আছেন যারা তারুণ্যে পা দিয়েই স্মার্টনেস হিসেবে ধরে নেন প্রেম করাকে।সব সময় পাশে একজন থাকবে যার সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়া হবে, সেটা তো অবশ্যই একটি ভাল ব্যাপার।এমন সম্পর্কও হয় অনেক মহৎ।তাই বলে শুধু মাত্র প্রেম করলেই আপনি স্মার্ট, যদি এমন ভেবে থাকেন তো আপনাকে বলছি- এমনটা ভাবাটা একদমই ভুল হবে।কারণ স্মার্টনেস কখনোই কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠে না।নিজের পাশে একজন সুন্দরী প্রেমিকা বা হ্যান্ডসাম প্রেমিক থাকলেই আপনি স্মার্ট হয়ে যাবেন না।ক্যাম্পাসের সব চাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তির সাথে প্রেম হয়তো আপনাকে খানিকটা সময় জনপ্রিয় হওয়ার অনুভূতি দিবে,কিন্তু সেটার সাথে প্রকৃতপক্ষে স্মার্ট নেসের কোনও সম্পর্ক নেই। সমার্টনেস হল আপনার মাঝে। আপনার নিজেকে তুলে ধরার উপরে নির্ভর করেই অন্যরা আপনার স্মার্টনেস বিচার করবে।

স্মার্টফোনে নয় স্মার্টঃ

যুগটাই এখন স্মার্টফোন,এনড্রয়েড এর।হাতে হাতে স্মার্টফোন।নাম স্মার্টফোন, তাই হাতে থাকলেই আপনি স্মার্ট- এই ধারনা থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাগ করুন। ফোনটির নাম স্মার্ট ফোন তার নানাবিধ সেবা ও আধুনিকতার জন্য।তাই বলে হাতে স্মার্টফোন থাকলেই আপনি স্মার্ট, এর চাইতে হাস্যকর ধারণা আর কিছু হতে পারে?

মোবাইল ফোন সুবিধা ব্যবহার করুন বুঝে শুনেঃ

মনে করুন রাত ১টা বাজে।গভীর ঘুমে আপনি আচ্ছন্ন। হঠাত করে যদি ফোন বেজে উঠে তবে আপনার ভয় পাওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়?ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।তাই বলে সময় ও পরিস্থিতি না বুঝে ফোন দিলে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারনাটাই বদলে যেতে পারে। অনেক তরুণ তরুণীরাই মনে করে রাত জেগে মোবাইল ফোনে আড্ডা দেয়া বা সারাক্ষণ মেসেজ পাঠানো মনে হয় খুব একটা আধুনিকতা বা স্মার্টনেসের লক্ষণ।অথচ এই ব্যাপারগুলো স্মার্টনেস তো নয়ই, বরং বিরক্তিকর এক অভ্যাস।

পরচর্চায় ব্যক্তিত্বহানীঃ

পরচর্চা একদম বাদ দিন।এটা এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের সবার মাঝেই কমবেশি উপস্থিত আছে। তাই বলে এমন একটি খারাপ আচরণকে অব্যাহত রাখতে হবে, তা তো নয়। চেষ্টা করুন নিজের অভ্যাস বদলাতে।মনে রাখবেন আপনি যার সামনে অন্যের পরচর্চা করছেন সেই হয়ত আরেক জায়গায় গিয়ে আরেকজনের কাছে আপনাকে নিয়ে কথা বলবে। আর অন্যের সামনে পরচর্চা করলে তাতে কেবল আপনি আর আপনার ব্যক্তিত্বই খাটো হয়, অন্যের দোষ ধরার মাঝে কোনও স্মার্টনেস নেই।

ভুল স্বীকার করলে কেউ ছোট হয় নাঃ

কোন কাজে ভুল হয়েছে?স্বীকার করুন।অন্যকে দোষ দিতে যাবেন না।একে অন্যকে দোষারোপ করলেই যা ভুল হয়েছে তা ঠিক হয়ে যাবে এমন তো নয়।তাই অন্যকে দোষারোপ না করে নিজে কি কি ভুল করেছেন সেইটুকু জানার চেষ্টা করুন এবং শুধরিয়ে নিন।এতে আপনি ছোট হবেন না। বরং নিজের ভুল স্বীকার করতে যে সাহসিকতার পরিচয় নিহিত,সেটিই আপনাকে করে তুলবে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় অন্যের চোখে।

শুধু বাইরে নয়, স্মার্ট হতে হবে ঘরেওঃ

অনেকেই হয়ত কথাবার্তায় অনেক স্মার্ট, স্মার্টনেস ধরা পড়ে পোশাকেআশাকেও।কিন্তু ঘরের আপন মানুষগুলোর সাথেই করেন খুব খারাপ আচরণ।কথায় কথায় মুখ খারাপ করা, এটা-ওটার জন্য মা বাবার ওপর চাপ প্রয়োগ করা, গুরুজনদের অবাধ্য হওয়া, ভাইবোন বা কাজের লোকদের গায়ে হাত তোলা ইত্যাদি সবই করে থাকেন।এমন ব্যক্তি আর যাই হন না কেন,কোনোভাবেই স্মার্ট বিশেষণের দাবিদার নন।যে ব্যক্তি নিজের পরিবারের উপরে শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করেন তিনি স্মার্ট নন।

সম্মান সকলের জন্যঃ

হয়তো উপরে বর্ণিত খারাপ আচরনগুলো আপনার মাঝে নেই, কিন্তু আপনার মধ্যে যদি ম্যানারিসজম বা আদব কায়দার বোধটাই না থাকে তবে সবটাই বাহুল্য বলেই মনে হবে।বড়দের সাথে শ্রদ্ধার সাথে কথা না বললে ও ছোটদের সাথে স্নেহপূর্ণ আচরণ না করে থাকলে আপনি কোনভাবেই স্মার্ট ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবেন না।যারা অন্যকে সম্মান করতে পারেনা তারা নিজেরাও কোন সম্মানের দাবিদার হতে পারেনা।আর যে ব্যাক্তি সম্মান অর্জন করতে পারে না অন্যদের চোখে,সে কোনভাবেই স্মার্ট ব্যাক্তি বলে চিহ্নিত হতে পারেনা।

ইন্টারনেট ব্যবহারে হতে হবে স্মার্টঃ

আমাদের দেশে বেশি ভাগ মানুষই জানেন না যে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাঝেও আছে স্মার্টনেস নিহিত।আজকাল মুঠোফোনের কল্যাণে সকলের হাতে হাতে ইন্টারনেট সুবিধা। কিন্তু সুবিধাটা কেবল ব্যবহার করলেই হবে না,করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সাথে।ইন্টারনেট সুবিধা আছে বলেই দিনরাত ফেসবুক বা অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট নিয়ে পড়ে থাকা বা আড্ডা বাজি করে মূল্যবান সময় নষ্ট কখনো স্মার্টনেস হতে পারে না।

তারুণ্য এমনিতেই সুন্দর তার নিজের মতন করে।তাই বিশেষ কিছু জোর করে নিজের ওপর আরোপ না করে বরং ঝেড়ে ফেলুন খারাপ অভ্যাস গুলো। আর হয়ে উঠুন সত্যিকারের স্মার্ট।

- See more at: http://alokitobangladesh.com/todays-feature/2013/06/25/7212#sthash.w24AmCJL.dpuf স্মার্টনেস সম্পর্কে তরুণদের মাঝে ভুল ধারণা গুলো নিজস্ব প্রতিবেদক

একটা সময় ছিল যখন পোশাক দিয়ে মাপা হত স্মার্টনেস। কেউ স্যুট বা নিদেন পক্ষে একটা একটা কোট গায়ে দিলেই মানুষ তার দিকে তাকাতো সম্মানের সাথে।মানুষটিও নিজেকে মনে করত, ‘আহা!আমি কতই না স্মার্ট।’ নারীদের ক্ষেত্রেও পোশাক আর দামী গহনা ছিল স্মার্টনেস মাপার মানদণ্ড।

তবে সেই যুগ পার হয়ে এসেছি আমরা অনেক আগেই। এখন গরমের দিনে কেউ কোট পরে রাস্তায় বের হলে তার হাসির পাত্র হবার সম্ভাবনাই প্রবল।সেই সাথে নিত্যদিনের কাজকর্মে নারী পুরুষ পোশাক দিয়ে স্মার্টনেস মাপার ধ্যান ধারনা থেকে বেরিয়ে এসেছেন অনেক আগেই।তাহলে প্রশ্ন থাকতে পারে, স্মার্টনেস কি?

স্মার্টনেস আসলে একটি আলাদা বিষয় নয়।অনেকগুলো ভাল আচরণ ও সুঅভ্যাসের মেল বন্ধন।তবে সু অভ্যাস বলতে যে শুধু উচ্চপদস্থ লোকদের স্যার বা ম্যাডাম বলে মুখে ফেনা তুললেই হবে তা নয়,বরং স্মার্টনেস ফুটে উঠতে হবে আপনার ব্যাক্তিত্বে, আপনার আচরণে।একজন মানুষের ভেতরের সব ভাল গুনগুলোর সম্মিলিত ফলই হল স্মার্টনেস।

এখন হয়তো চিন্তা করতে বসলেন আপনার ভালো গুন কি কি আছে।অনেক গুনের সমাহার হলে তো কথাই নেই, হয়ে গেলেন আপনি স্মার্ট!কিন্তু না, শুধু ভালো গুন থাকলেও কিন্তু তো হবেনা,দরকার তার সঠিকভাবে প্রকাশও।উফ! অনেক কঠিন স্মার্ট হয়ে উঠা,তাইনা?মজার ব্যাপার হলো তা কিন্তু একদম নয়।স্মার্ট হতে চাইলে আগে জানুন কিসে কিসে স্মার্টনেস কমায়,এবং তা পরিহার করুন।তাহলেই দেখবে অন্যদের চোখে আপনি হয়ে উথেছেন স্মার্ট।

অন্যের অনুকরণে স্মার্টনেস নেইঃ

জীবনের রঙিন প্রহরে যখন একজন ব্যক্তি তার কৈশোরে পা রাখেন তখনই তিনি বুঝতে শুরু করেন স্মার্টনেস বলে একটি বিষয় আছে।কেউ হয়ত কৈশোরে পা দিয়েই হয়ে যান সবার কাছে আরাধ্য,বাকিরা তাকে দেখে অনুকরণ করে হতে চায় স্মার্ট।এবং এখানেই জীবনের চলার পথের প্রথম ভুলটাই করে বসে অনেকে।অন্যকে অনুকরণ করে কখনো স্মার্ট বা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারবেন না আপনি।হতে হবে নিজের মতন, মৌলিক।আপনি যেমন বা যেরকম ভাবেন, সেটাই আপনার ব্যক্তিত্ব।

ধূমপান ও মাদকাসক্তি নয় স্মার্টনেসের মাপকাঠিঃ

তরুণদের চোখে স্মার্টনেস হিসেবে প্রথমে যা ধরা দেয় তা হল ধূমপান ও মাদকাসক্তি।অনেকেই ভাবেন স্কুলের বা কলেজের জনপ্রিয় ছেলেটিকে বা মেয়েটিকে দেখলাম সিগারেট হাতে বা মাদক নিতে, ব্যস আমিও নেই আর হয়ে যাই স্মার্ট।ভুল, সব থেকে বড় ভুল হচ্ছে এটাই।মাদক নেয়া বা ধূমপান করা কখনোই স্মার্টনেস নয়।যে ব্যাপার আপনাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়,সেটা কি করে স্মার্ট নেস হতে পারে?একটি ভয়ানক উদাহরন দেই, একজন ব্যাক্তি যদি আপনার মুখের উপরে অনবরত তার নোংরা,ময়লা ঘামে ভেজা গন্ধযুক্ত কাপড় দিয়ে বাড়ি মেরে যায় আপনার তখন কেমন লাগবে?তার সম্পর্কে কোন পর্যায়ের ধারনা হবে আপনার? হয়ত রাগের মাথায় তার পরিবারের পূর্বপুরুষদেরকেও কথার মাঝে টেনে নিয়ে আসবেন আপনি। একজন ব্যক্তি যখন ধূমপান করে সবার সামনে, তখন আশেপাশের অধূমপায়ীদের ঠিক এমনটাই মনে হয়।তাই সময় থাকতেই ধূমপান ও মাদকাসক্তি দূর করুন।এমন একটা খারাপ অভভাস কখনি স্মার্টনেস এর মধ্যে পড়বেনা।

স্মার্টনেসের সাথে প্রেমের কোনও সম্পর্ক নেইঃ

তবে এমন অনেক তরুনই আছেন যারা তারুণ্যে পা দিয়েই স্মার্টনেস হিসেবে ধরে নেন প্রেম করাকে।সব সময় পাশে একজন থাকবে যার সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করে নেয়া হবে, সেটা তো অবশ্যই একটি ভাল ব্যাপার।এমন সম্পর্কও হয় অনেক মহৎ।তাই বলে শুধু মাত্র প্রেম করলেই আপনি স্মার্ট, যদি এমন ভেবে থাকেন তো আপনাকে বলছি- এমনটা ভাবাটা একদমই ভুল হবে।কারণ স্মার্টনেস কখনোই কোন সম্পর্কের ভিত্তিতে গড়ে উঠে না।নিজের পাশে একজন সুন্দরী প্রেমিকা বা হ্যান্ডসাম প্রেমিক থাকলেই আপনি স্মার্ট হয়ে যাবেন না।ক্যাম্পাসের সব চাইতে জনপ্রিয় ব্যক্তির সাথে প্রেম হয়তো আপনাকে খানিকটা সময় জনপ্রিয় হওয়ার অনুভূতি দিবে,কিন্তু সেটার সাথে প্রকৃতপক্ষে স্মার্ট নেসের কোনও সম্পর্ক নেই। সমার্টনেস হল আপনার মাঝে। আপনার নিজেকে তুলে ধরার উপরে নির্ভর করেই অন্যরা আপনার স্মার্টনেস বিচার করবে।

স্মার্টফোনে নয় স্মার্টঃ

যুগটাই এখন স্মার্টফোন,এনড্রয়েড এর।হাতে হাতে স্মার্টফোন।নাম স্মার্টফোন, তাই হাতে থাকলেই আপনি স্মার্ট- এই ধারনা থাকলে তা অবশ্যই পরিত্যাগ করুন। ফোনটির নাম স্মার্ট ফোন তার নানাবিধ সেবা ও আধুনিকতার জন্য।তাই বলে হাতে স্মার্টফোন থাকলেই আপনি স্মার্ট, এর চাইতে হাস্যকর ধারণা আর কিছু হতে পারে?

মোবাইল ফোন সুবিধা ব্যবহার করুন বুঝে শুনেঃ

মনে করুন রাত ১টা বাজে।গভীর ঘুমে আপনি আচ্ছন্ন। হঠাত করে যদি ফোন বেজে উঠে তবে আপনার ভয় পাওয়াটাই কি স্বাভাবিক নয়?ফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।তাই বলে সময় ও পরিস্থিতি না বুঝে ফোন দিলে আপনার সম্পর্কে মানুষের ধারনাটাই বদলে যেতে পারে। অনেক তরুণ তরুণীরাই মনে করে রাত জেগে মোবাইল ফোনে আড্ডা দেয়া বা সারাক্ষণ মেসেজ পাঠানো মনে হয় খুব একটা আধুনিকতা বা স্মার্টনেসের লক্ষণ।অথচ এই ব্যাপারগুলো স্মার্টনেস তো নয়ই, বরং বিরক্তিকর এক অভ্যাস।

পরচর্চায় ব্যক্তিত্বহানীঃ

পরচর্চা একদম বাদ দিন।এটা এমন একটি অভ্যাস যা আমাদের সবার মাঝেই কমবেশি উপস্থিত আছে। তাই বলে এমন একটি খারাপ আচরণকে অব্যাহত রাখতে হবে, তা তো নয়। চেষ্টা করুন নিজের অভ্যাস বদলাতে।মনে রাখবেন আপনি যার সামনে অন্যের পরচর্চা করছেন সেই হয়ত আরেক জায়গায় গিয়ে আরেকজনের কাছে আপনাকে নিয়ে কথা বলবে। আর অন্যের সামনে পরচর্চা করলে তাতে কেবল আপনি আর আপনার ব্যক্তিত্বই খাটো হয়, অন্যের দোষ ধরার মাঝে কোনও স্মার্টনেস নেই।

ভুল স্বীকার করলে কেউ ছোট হয় নাঃ

কোন কাজে ভুল হয়েছে?স্বীকার করুন।অন্যকে দোষ দিতে যাবেন না।একে অন্যকে দোষারোপ করলেই যা ভুল হয়েছে তা ঠিক হয়ে যাবে এমন তো নয়।তাই অন্যকে দোষারোপ না করে নিজে কি কি ভুল করেছেন সেইটুকু জানার চেষ্টা করুন এবং শুধরিয়ে নিন।এতে আপনি ছোট হবেন না। বরং নিজের ভুল স্বীকার করতে যে সাহসিকতার পরিচয় নিহিত,সেটিই আপনাকে করে তুলবে স্মার্ট ও আকর্ষণীয় অন্যের চোখে।

শুধু বাইরে নয়, স্মার্ট হতে হবে ঘরেওঃ

অনেকেই হয়ত কথাবার্তায় অনেক স্মার্ট, স্মার্টনেস ধরা পড়ে পোশাকেআশাকেও।কিন্তু ঘরের আপন মানুষগুলোর সাথেই করেন খুব খারাপ আচরণ।কথায় কথায় মুখ খারাপ করা, এটা-ওটার জন্য মা বাবার ওপর চাপ প্রয়োগ করা, গুরুজনদের অবাধ্য হওয়া, ভাইবোন বা কাজের লোকদের গায়ে হাত তোলা ইত্যাদি সবই করে থাকেন।এমন ব্যক্তি আর যাই হন না কেন,কোনোভাবেই স্মার্ট বিশেষণের দাবিদার নন।যে ব্যক্তি নিজের পরিবারের উপরে শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করেন তিনি স্মার্ট নন।

সম্মান সকলের জন্যঃ

হয়তো উপরে বর্ণিত খারাপ আচরনগুলো আপনার মাঝে নেই, কিন্তু আপনার মধ্যে যদি ম্যানারিসজম বা আদব কায়দার বোধটাই না থাকে তবে সবটাই বাহুল্য বলেই মনে হবে।বড়দের সাথে শ্রদ্ধার সাথে কথা না বললে ও ছোটদের সাথে স্নেহপূর্ণ আচরণ না করে থাকলে আপনি কোনভাবেই স্মার্ট ব্যক্তি হিসাবে বিবেচিত হবেন না।যারা অন্যকে সম্মান করতে পারেনা তারা নিজেরাও কোন সম্মানের দাবিদার হতে পারেনা।আর যে ব্যাক্তি সম্মান অর্জন করতে পারে না অন্যদের চোখে,সে কোনভাবেই স্মার্ট ব্যাক্তি বলে চিহ্নিত হতে পারেনা।

ইন্টারনেট ব্যবহারে হতে হবে স্মার্টঃ

আমাদের দেশে বেশি ভাগ মানুষই জানেন না যে ইন্টারনেট ব্যবহারের মাঝেও আছে স্মার্টনেস নিহিত।আজকাল মুঠোফোনের কল্যাণে সকলের হাতে হাতে ইন্টারনেট সুবিধা। কিন্তু সুবিধাটা কেবল ব্যবহার করলেই হবে না,করতে হবে বুদ্ধিমত্তার সাথে।ইন্টারনেট সুবিধা আছে বলেই দিনরাত ফেসবুক বা অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট নিয়ে পড়ে থাকা বা আড্ডা বাজি করে মূল্যবান সময় নষ্ট কখনো স্মার্টনেস হতে পারে না।

তারুণ্য এমনিতেই সুন্দর তার নিজের মতন করে।তাই বিশেষ কিছু জোর করে নিজের ওপর আরোপ না করে বরং ঝেড়ে ফেলুন খারাপ অভ্যাস গুলো। আর হয়ে উঠুন সত্যিকারের স্মার্ট।

- See more at: http://alokitobangladesh.com/todays-feature/2013/06/25/7212#sthash.w24AmCJL.dpuf
১ Likes ১ Comments ০ Share ৬০৫ Views

Comments (1)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    সুন্দর। emoticons

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      emoticons

    - কাজী যুবাইর মাহমুদ

    “শান্ত থাকার জন্য লোভনীয় আবেগী চাদর বিছিয়ে দিলেও
    সমুদ্র দেবীর বুকের আগুন কমবে না একরত্তিও”

    অসম!

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    - মোঃসরোয়ার জাহান

    খুব সুন্দর হয়েছে

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ

    Load more comments...