সেই সব পুরুষদেরকে বলছি ............
নারীরা তাদের নিজস্ব পুরুষকে উজাড় করা ভালবাসা দিতে চায়, সেই সাথে স্নেহ ও সম্মান । কিন্তু সত্যিকারের পুরুষ কোথায় ? পুরুষেরা সব মধুকর হয়ে পুষ্প থেকে পুস্পে ছুটে চলেছে ।এ যেন ‘ তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই ’ এর মত ! সে সোনার হরিণের দেখা আর কোনদিন মেলে না । এই সব পুরুষেরা যদি একজনে তৃপ্ত হত তাহলে বুঝত জীবনটা কত সুন্দর । তারা যদি তাদের নিজস্ব নারীকে ( স্ত্রী ) আবিস্কারের চেষ্টা করতো তাহলে বুঝতো সৃষ্টিকর্তা কতখানি মাধুরী মিশিয়ে নারীকে সৃষ্টি করেছেন । প্রতিটি নারীই অসাধারণ অনন্যা । শুধু এটা বোঝার মানুসিকতা থাকা চায় । ক্লান্ত বিশ্রান্ত দুঃসহ সময়ে নারীর কোলেই পুরুষ পেতে পারে পরম শান্তি । এ যুগের পুরুষেরা খুব সহজেই বলে ফেলে ভালবাসি ( এই শব্দটার ইংরেজিটাই বেশি বলে ) সন্দেহ জাগে এই শব্দতার মানে সত্যিই তারা উপলব্ধি কোন কালে করতে পারে কিনা । তাদের ভালবাসা পদ্মপাতার জল অথবা তার চেয়ে ও ক্ষীণ । তারা নারীর নাম জানার আগে তার শরীর জানতে চাই । এটা কখনো সত্যিকারের পুরুষের কাজ না । নারীকে আগে জান , তার হৃদয়ে অবস্থান পাকাপোক্ত কর । একটু একটু করে প্রথমে হৃদয় তারপর শরীর হরণ কর তারপর বুঝবে নারীর কত রহস্য । এই রহস্য জানতে সহস্র বছর কেটে যাবে তারপর ও জানা শেষ হবে না । কিন্তু তোমরা অতি আধুনিক, তোমাদের এত সময় কোথায় ? তাইতো এক রাতেই বউকে তোমাদের পুরানো লাগে । তোমাদের গোপন পাড়াতে যাওয়ার হিড়িক দেখে আর বিবাহ বিচ্ছেদের পরিসংখ্যান দেখলে বিনা দ্বিধায় বলে দেওয়া যায় নারীর সহস্র রহস্যের এক অংশ ও তোমরা জানতে পারনি । প্রেমিক প্রেমিকাদের কথা আর কী বলবো ? কী এক ব্রেকআপ কালচার চালু হয়েছে ! এসব দেখে শুনে রবীন্দ্রনাথের ভাষায় বলতে হয় “ এরা সুখের লাগি চাহে প্রেম , প্রেম মেলে না শুধু সুখ চলে যায় । ”
Comments (13)
খুবই ভালো লিখেছেন...
সামাজিকেই ব্যাধি যে কবে সারবে...
সুন্দর কবিতা
ওয়েল ট্রাই। এরকম আঞ্চলিক কবিতা লিখুন। ভাল হবে।