সুন্দরী প্রতিযোগিতা.......
মনে হয় এসব প্রতিযোগিতার আগে কেউ সুন্দরী ছিল না !!
নারী স্বাধীনতার নামে যে স্বেচ্ছাচারীতা চলছে, আমাদের দেশের মাথামোটা মেয়েগুলো কি বুঝে আসলেই এতে তাদের কতটা অসম্মান আর কটা অপমান হয়!!!!
বিধাতা প্রতিটা মানুষকে পরম যত্নে সৃষ্টি করেছেন। তুমি আর আমি কে সেই সৌন্দর্যৈর মাপকাঠি নির্ধারণ করার!!!
হাজার পুরুষের সামনে নিজের সম্ভ্রম, লজ্জা খুইয়ে যে প্রাপ্তি সেটা কি করে সম্মানের হয় আমি তাই বুঝি না।
প্রতিটা মানুষের সৌন্দর্য নির্ভর করে তার চিন্তায়, চেতনায়, ব্যবহারে, কাজে। মুখে রং চং মেখে ফেইক সুন্দরী সেজে, নিজেকে নগ্ন করে এরা মনে করে খুব স্বাধীনতা অর্জন করে ফেলেছে!!
আর এই দেশের কর্পোরেট কালচার নিজেদের ব্যবসার স্বার্থ এ এদেশের বোকা মেয়েদের আচ্ছা মত ব্যবহার করছে। এমন কোন পণ্য নেই যেখানে মেয়েদের ব্যবহার করা হয় না।
দেশে ফেরার পর গত বছর ঈদে আড়ং আর প্রাইডের বিজ্ঞাপন দেখে কি পরিমাণ মেজাজ খারাপ হয়েছে কাউকে বলে বুঝাতে পারব না। পৃথিবীর কোন দেশে মেয়েরা এমন পা ফাক করে অশ্লীল ভাবে শাড়ি পড়ে!!!!!!! শাড়ি একটা সুন্দর পোষাক, সারাজীবন সবাইকে কত সুন্দর করে শাড়ী পড়তে দেখেছি।
যে সব মেয়েরা এসব বিজ্ঞাপন করে তারাই বা কি কুৎসিত রুচির অধিকারী আমি ভেবে পাই না।
স্বাধীনতা মানে কি!!!????
নিজের মত বাঁচা, নিজের মত প্রকাশ করা, নিজের ইচ্ছে বা স্বপ্ন পূরন করা, সবার সাথে, সবাইকে নিয়ে, অবশ্যই সম্মানের সাথে, আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে না।
নারী, তুমিও পার এটা যদি প্রমান করতে চাও তাহলে নিজের যোগ্যতা, নিজের শিক্ষায় কিছু হয়ে দেখাও। ডাক্তার হও, ইঞ্জিনিয়ার হও, একজন আলোকিত শিক্ষক হও, এক সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেখাও, পাইলট হও, পুলিশ হও, আর্মি অফিসার হও।
একটা মেয়ে চাইলেই হতে পারে একজন সফল বিজ্ঞাপন নির্মাতা, একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, একজন সফল আইনজীবী।
একজন জাহানারা ইমাম, একজন নীলিমা ইব্রাহীম, একজন মাদার তেরেসা, একজন রোকেয়া সাখওয়াত,এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার , একজন ওয়াসিফা নাজি, সোনা বিজয়ী মাহফুজা বা মাবিয়ারা কিন্ত নারী এবং নিজের যোগ্যতায় তারা ইতিহাসে নাম করেছেন।
রাজনীতির কথা বলি সিলেটের মেয়ে রুসনারা আলী, ব্যরোন্নেসা পলাউদ্দিন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নিজ যোগ্যতায় তাদের স্থান দখল করে নিয়েছেন।
বৈমানিক নাইম হল বা তাম্মানা -ই - লুৎফি, কানিজ আলমাস, বিবি রাসেল কে সফল না???
চলচ্চিত্রে সোফিয়া কপোলা, জেন চ্যাম্পিয়ন, কল্পনা লাজমি, অপর্না সেন, আমাদের চয়নিকা, আজকের মেহের আফরোজ সবাই ক্যামেরা পিছনে পুরুষের সমান তালে কাজ করছেন।
অরুন্ধতী, সেলিনা হোসেনের কলমের কালির আচঁড় কার না হ্রদয় ছুঁয়ে যাইনি???
নিজের উন্নতির পাশাপাশি সমাজের জন্য দেশের জন্য, দশের জন্য, পরিবারের জন্য কিছু করেও সফল হওয়া যায়।
আমি একজন সুসন্তানের মাকেও সফল বলি, সবাই বাচ্চা জন্ম দিতে পারে কিন্তু সবাই সুসন্তানের মা হতে পারে না, স্ত্রী হতে পারে সবাই কিন্তু আত্মার সংগী সবাই হতে পারে না।
উপরে উঠার সিঁড়িটা যত সহজ, নামাটা কিন্তু অনেক কঠিন, অনেক।
তুমি যদি একটা একটা করে ধাপ বেয়ে উঠো, নামতেও পারবে কিন্তু আলো ঝলমলে সন্ধ্যেয় আতশবাজিতে উড়ে গেলে ধপাস করে পড়তে সময় লাগে না, ব্যাথাটা কিন্তু তখন খুব জোরে লাগে। আর সেই পরে যাওয়া থেকে সবাই উঠতে পারে না। অনেকেই মিলিয়ে যায়, মাটির সাথে।
( সরি, অনেককেই ট্যাগ করেছি, বিরক্ত হলে ট্যাগ রিমুভ করে দিবেন প্লিজ)
মনে হয় এসব প্রতিযোগিতার আগে কেউ সুন্দরী ছিল না !!
নারী স্বাধীনতার নামে যে স্বেচ্ছাচারীতা চলছে, আমাদের দেশের মাথামোটা মেয়েগুলো কি বুঝে আসলেই এতে তাদের কতটা অসম্মান আর কটা অপমান হয়!!!!
বিধাতা প্রতিটা মানুষকে পরম যত্নে সৃষ্টি করেছেন। তুমি আর আমি কে সেই সৌন্দর্যৈর মাপকাঠি নির্ধারণ করার!!!
হাজার পুরুষের সামনে নিজের সম্ভ্রম, লজ্জা খুইয়ে যে প্রাপ্তি সেটা কি করে সম্মানের হয় আমি তাই বুঝি না।
প্রতিটা মানুষের সৌন্দর্য নির্ভর করে তার চিন্তায়, চেতনায়, ব্যবহারে, কাজে। মুখে রং চং মেখে ফেইক সুন্দরী সেজে, নিজেকে নগ্ন করে এরা মনে করে খুব স্বাধীনতা অর্জন করে ফেলেছে!!
আর এই দেশের কর্পোরেট কালচার নিজেদের ব্যবসার স্বার্থ এ এদেশের বোকা মেয়েদের আচ্ছা মত ব্যবহার করছে। এমন কোন পণ্য নেই যেখানে মেয়েদের ব্যবহার করা হয় না।
দেশে ফেরার পর গত বছর ঈদে আড়ং আর প্রাইডের বিজ্ঞাপন দেখে কি পরিমাণ মেজাজ খারাপ হয়েছে কাউকে বলে বুঝাতে পারব না। পৃথিবীর কোন দেশে মেয়েরা এমন পা ফাক করে অশ্লীল ভাবে শাড়ি পড়ে!!!!!!! শাড়ি একটা সুন্দর পোষাক, সারাজীবন সবাইকে কত সুন্দর করে শাড়ী পড়তে দেখেছি।
যে সব মেয়েরা এসব বিজ্ঞাপন করে তারাই বা কি কুৎসিত রুচির অধিকারী আমি ভেবে পাই না।
স্বাধীনতা মানে কি!!!????
নিজের মত বাঁচা, নিজের মত প্রকাশ করা, নিজের ইচ্ছে বা স্বপ্ন পূরন করা, সবার সাথে, সবাইকে নিয়ে, অবশ্যই সম্মানের সাথে, আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে না।
নারী, তুমিও পার এটা যদি প্রমান করতে চাও তাহলে নিজের যোগ্যতা, নিজের শিক্ষায় কিছু হয়ে দেখাও। ডাক্তার হও, ইঞ্জিনিয়ার হও, একজন আলোকিত শিক্ষক হও, এক সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেখাও, পাইলট হও, পুলিশ হও, আর্মি অফিসার হও।
একটা মেয়ে চাইলেই হতে পারে একজন সফল বিজ্ঞাপন নির্মাতা, একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, একজন সফল আইনজীবী।
একজন জাহানারা ইমাম, একজন নীলিমা ইব্রাহীম, একজন মাদার তেরেসা, একজন রোকেয়া সাখওয়াত,এভারেস্ট বিজয়ী নিশাত মজুমদার , একজন ওয়াসিফা নাজি, সোনা বিজয়ী মাহফুজা বা মাবিয়ারা কিন্ত নারী এবং নিজের যোগ্যতায় তারা ইতিহাসে নাম করেছেন।
রাজনীতির কথা বলি সিলেটের মেয়ে রুসনারা আলী, ব্যরোন্নেসা পলাউদ্দিন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নিজ যোগ্যতায় তাদের স্থান দখল করে নিয়েছেন।
বৈমানিক নাইম হল বা তাম্মানা -ই - লুৎফি, কানিজ আলমাস, বিবি রাসেল কে সফল না???
চলচ্চিত্রে সোফিয়া কপোলা, জেন চ্যাম্পিয়ন, কল্পনা লাজমি, অপর্না সেন, আমাদের চয়নিকা, আজকের মেহের আফরোজ সবাই ক্যামেরা পিছনে পুরুষের সমান তালে কাজ করছেন।
অরুন্ধতী, সেলিনা হোসেনের কলমের কালির আচঁড় কার না হ্রদয় ছুঁয়ে যাইনি???
নিজের উন্নতির পাশাপাশি সমাজের জন্য দেশের জন্য, দশের জন্য, পরিবারের জন্য কিছু করেও সফল হওয়া যায়।
আমি একজন সুসন্তানের মাকেও সফল বলি, সবাই বাচ্চা জন্ম দিতে পারে কিন্তু সবাই সুসন্তানের মা হতে পারে না, স্ত্রী হতে পারে সবাই কিন্তু আত্মার সংগী সবাই হতে পারে না।
উপরে উঠার সিঁড়িটা যত সহজ, নামাটা কিন্তু অনেক কঠিন, অনেক।
তুমি যদি একটা একটা করে ধাপ বেয়ে উঠো, নামতেও পারবে কিন্তু আলো ঝলমলে সন্ধ্যেয় আতশবাজিতে উড়ে গেলে ধপাস করে পড়তে সময় লাগে না, ব্যাথাটা কিন্তু তখন খুব জোরে লাগে। আর সেই পরে যাওয়া থেকে সবাই উঠতে পারে না। অনেকেই মিলিয়ে যায়, মাটির সাথে।
( সরি, অনেককেই ট্যাগ করেছি, বিরক্ত হলে ট্যাগ রিমুভ করে দিবেন প্লিজ)