Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ফারজানা মৌরি

৯ বছর আগে

সিলিং ডিজাইন

মেঝে ও দেয়ালের পাশাপাশি ঘরের ছাদেও প্রয়োজন বিচিত্র সাজের ছোঁয়া। কৃত্রিম ছাদের নান্দনিকতায় সাজাতে পারেন ঘর। আলো-আঁধারিতে ঢাকা দৃষ্টিনন্দন সিলিং বদলে দিতে পারে অন্দরের পুরো সাজসজ্জাই। 
আধুনিকতায় ঘেরা পরিপাটি একটি ঘর। যার প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে আছে মুগ্ধ হওয়ার মতো বিভিন্ন উপকরণ। 

একটি ঘরের প্রতিটি অংশই হওয়া চাই নজরকাড়া। তাই আধুনিক ঘরের সাজসজ্জার সঙ্গে ছাদ নিখুঁতভাবে মানিয়ে যাওয়া জরুরি। মানানসই ছাদ যেমন বাড়িয়ে দিতে পারে ঘরের সৌন্দর্য, তেমনি বেমানান ছাদ মুহূর্তেই মাটি করে দিতে পারে আপনার সব পরিশ্রম। ইদানিং খাঁজকাটা আর চারকোণা নকশার কৃত্রিম ছাদই বেশি জনপ্রিয়। শুধু মাঝখানে না লাগিয়ে ঘরের চারদিকেও লাগাতে পারেন কৃত্রিম ছাদ। অনেকে দরজার নকশা নিয়ে আসেন ঘরের ছাদে। দেখা যায় দরজা যেখানে শেষ হয়েছে, ফলস সিলিংয়ের শুরুটা হয়েছে সেখান থেকেই। প্রত্যেকটি রুমেই থাকতে পারে কৃত্রিম ছাদ। তবে তার ধরন ভিন্ন হলে ভালো হয়। বসার ঘর যেহেতু অতিথিদের জন্য তাই সিলিংয়ে থাকা চাই জমকালো ভাব। বসার ঘরের প্রবেশপথ থেকেই শুরু করতে পারেন ছাদের অংশ। বেডরুমের ছাদজুড়ে থাকা চাই স্নিগ্ধতা। তাই ছিমছাম নকশা বাছাই করুন। খাবার ঘরের টেবিলের উপরের অংশে লাগাতে পারেন ফলস সিলিং। এতে গুরুত্বপূর্ণ অংশটি আলাদা করা যাবে সহজেই। চাইলে দেয়ালের সঙ্গে মিলিয়ে রঙিন সিলিং লাগাতে পারেন। ফলস সিলিং হতে পারে কাঠ, জিপসাম, বোর্ড বা কাচের। অফিসের ছাদসজ্জায় সাধারণত জিপসাম ব্যবহার করা হয়। ঘরের ছাদে থাকতে পারে কাঠ বা পারটেক্সের ব্যবহার। ছাদে যদি কোনো রকম ত্রুটি না থাকে তবে ঝকঝকে কাচের ছাদ লাগাতে পারেন। তবে এ ধরনের ছাদ ব্যবহারের আগে এর সাপোর্টিভ এলিমেন্ট মজবুত কি-না তা পরখ করে নিতে হবে। না হলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যে কোনো সময়। ছাদে ফ্যান বা ঝাড়বাতি লাগাতে চাইলে সে অনুযায়ী ছাদ তৈরি করুন। ঘরের সাজসজ্জা যদি খুব বেশি আধুনিক না হয় তবে শুধু বোর্ড দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন কৃত্রিম ছাদ।

কৃত্রিম ছাদকে প্রাণবন্ত করে তুলতে আলোকসজ্জার কোনো বিকল্প নেই। ফলস সিলিংয়ের খাঁজে বাহারি লাইট দিয়ে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন ঘরকে। হিডেন লাইট, স্পট লাইট, টিউব লাইট বা ফলস লাইট নকশা করা ছাদে নিয়ে আসবে চমৎকার জৌলুস। কিছু লাইট আছে যা সরাসরি মেঝেতে এসে পড়বে কিন্তু উপরের অংশ থাকবে তুলনামূলক অন্ধকার। আবার রিফিউজ লাইট ছাদকে আলোকিত করলেও ঘরজুড়ে খেলা করবে আলোছায়া। ঘরের কোন জায়গায় বেশি আলো পড়বে আর কোন জায়গায় কম আলো পড়বে তা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন ফলস সিলিংয়ের সাহায্যে। চাইলে কোনো নির্দিষ্ট জিনিসকে ফোকাস করে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা যায়। যদি চান শুধু বসার ঘরের শোকেসটি অথবা খাবার ঘরের টেবিলটি থাকবে আলোকিত তবে সে অনুযায়ী নকশা করে লাইট বসিয়ে নিন সিলিংয়ে। আবার ইচ্ছা করলে কয়েক রঙা আলোয় ঘরে নিয়ে আসতে পারেন মায়াবী আবহ। ঘরের মেঝেতে যদি থাকে রিফ্লেক্টিং টাইলস তবে আলো-আঁধারির এই খেলা আরও জমে উঠবে। অফিসে সাধারণত বেশি আলো দরকার হয়। তাই ফলস সিলিং ঝালর দিয়ে সাজিয়ে নিতে পারেন। বড় রুম হলে ছাদের দুই প্রান্তের অংশ একসঙ্গে এনে মিলিয়ে দিতে পারেন। এছাড়া ফলস সিলিংয়ের মাঝে রঙ করা আয়না বসিয়েও ঘরের চাকচিক্য বাড়ানো যায়।

১ Likes ১ Comments ০ Share ২৬৭৩ Views

Comments (1)

  • - এস আহমেদ লিটন

    ভাল লাগলো লেখা পড়ে।

    এখনো আপনি জীবনী লেখা-লেখী করছেন। অনেক দিন পর আপনাকে পেয়ে ভাল লাগলো।