Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বাংলা নিউজ

১০ বছর আগে

সিনেমা বানানোর কাহিনী

বিছানায় নায়ক-নায়িকার অভিসারের দৃশ্য শ্যুট করা সহজ কথা নয়৷ এ ধরনের দৃশ্য শ্যুট করায় সত্যিই খুব মুন্সিয়ানার প্রয়োজন হয়৷ এক ধরনের জড়তা তো থাকেই৷ টেনশনও থাকে অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং পরিচালকের মধ্যে৷

নগ্নদৃশ্য শ্যুটিং-এর ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হয়, সব কিছুর পরেও যেন দৃশ্যটি শৈল্পিক হয়৷ রুচিসম্মত হয়৷ অথচ যেন অবাস্তব না লাগে৷ শুধু নগ্ন দৃশ্য কেন, ধরা যাক একটা দৃশ্য, যেখানে নায়িকা পোশাক পাল্টানোর জন্য শাড়ি ছাড়ছে, আর হঠাত্‍ ঘরে কেউ ঢুকে এসে অপ্রস্তুত হয়ে যাবে৷ এই শাড়ি ছাড়ার মধ্যে থাকে একটা চাপা উত্তেজনা অথচ মিনিস্কার্ট বা হটপ্যান্ট পরে অবলীলায় নায়িকা যখন নাচের দৃশ্য করেন, তখন তেমন রাখঢাক ব্যাপারটা থাকে না৷

রোমাঞ্চক আর এক অর্থে কিছুটা নিষিদ্ধ এবং শক্ত দৃশ্য যেমন  চুম্বন দৃশ্য, ‘রেপ ইন ম্যারেজ’ দৃশ্য ইত্যাদি৷  সবাই টেনসড থাকে৷ এমন একটি স্পর্শকাতর দৃশ্যর শ্যুটিং হবে, সকল কলাকুশলীরাই ঢুকতে পারছে না, এমনকি প্রযোজকও ঢুকতে পারেন না! সমস্যায় পড়ে যান পরিচালক হাজার হলেও প্রযোজককে তো আর অশ্রদ্ধা করা যায় না৷ অনেক নায়ক নায়িকা অবশ্য ব্যাপারে একেবারে খুব দৃঢ় মনস্ক থাকে৷ অনেকের কাছেই ছবিটাকেই বড় করে দেখা হয়৷ আর ছবি ঠিক করে শ্যুট করতে হলে অভিনেতা-অভিনেত্রীর কমফর্ট লেভেল বা সোয়াস্তি দেখাটা পরিচালকের কাজ৷ তাই খুব সহজেই নায়িক নিজে গিয়ে প্রযোজককে হয়ত বলেন, ‘আজ তো আমি আর আমার গুটি কয়েক ক্রু সদস্য ছাড়া আর কেউ শ্যুটিং-এ থাকতে পারবে না, তাই আপনাকে অনুরোধ করছি, আপনি অন্য কোনও দিন আসুন৷ কিংবা যদি খুব দেখতে ইচ্ছে করে দৃশ্যটি, তা হলে এডিটিং-এর সময় চলে আসুন৷’ প্রফেশনাল নায়িকাদের কাছে সিনেমা তৈরিটাই থাকে মূল, তার জন্য কাউকে স্পষ্ট কথা বলতে ছাড়ে না৷ এমনকী প্রযোজককেও না৷

পরিচালকরা কত সহজেই বলে থাকেন, ‘হ্যাঁ পিঠের দিকে মুখটা দে’, ইয়েস, এবার আঁচলটা…’৷ বাকিটা না হয় উহ্যই থাক৷ অভিনেতাদের কতটা দর হওয়া প্রয়োজন ভাবুন তো! পুরো সিকোয়েন্সটা করতে হবে ক্যামেরার সামনে, শুনতে হবে পরিচালকের ইনস্ট্রাকশন, পুরো ব্যাপারটা হতে হবে পরিশীলিত, অথচ বাস্তবসম্মত… নাহ্, সহজ নয়, মোটেই সহজ নয়৷

তারপর ধরুন একটা কাহিনী কল্পনা করা যাক। একটি মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে ভাগ্যের ফেরে এক বস্তিতে এসে পড়ে৷ সেখানে এক গুন্ডার বিষ নজরে পড়ে যায় সে৷ এক দুপুরে এই গুন্ডা তাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়৷ এটা নিয়েও চলে নানান জল্পনা কল্পনা, কী ভাবে দৃশ্যটি ঠিক করে শ্যুট করা যায়? কোথায় হাত দেবে, কী ভাবে মাটিতে শোয়াবে ইত্যাদি ইত্যাদি… সাহসী নায়িকারা অবশ্য সামনে এগিয়ে যায়, ‘ছাড়ো তো তোমাদের এত আলোচনা৷ এই শান্তি, আয় কোমরে হাত দে, অন্য হাতটা দিয়ে জড়িয়ে ধর, মুখটা আমার মুখের কাছে আন, একটু প্রেসার দে, আমি নীচে নেমে যাব তুইও নামার…’ পুরো ঘটনাটা কী সরল, সাবলীল ভাবে করে ফেলল, ইনস্ট্রাকশন শুনে সব জড়তা গেলে কেটে৷

তবে আজও এ ধরনের দৃশ্য শ্যুট করতে একটা উত্তেজনা, একটা চাপ, একটা অন্য অনুভূতি কাজ করে৷

০ Likes ৪ Comments ০ Share ৫৬০ Views