Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

প্রবাসী একজন

৯ বছর আগে

সাম্যবাদ

সাম্যবাদ বা কমিউনিজম (ইংরেজি: Communism) হল শ্রেণিহীন, শোষণহীন, ব্যক্তিমুনাফাহীন এমন একটি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবাদর্শ যেখানে ব্যক্তিগত মালিকানার স্থলে উৎপাদনের সকল মাধ্যম এবং প্রাকৃতিক সম্পদ (ভূমি, খনি, কারখানা) রাষ্ট্রের মালিকানাধীন এবং নিয়ন্ত্রণাধীন থাকে। সাম্যবাদ হল সমাজতন্ত্রের একটি উন্নত এবং অগ্রসর রূপ, তবে এদের মধ্যেকার পার্থক্য নিয়ে বহুকাল ধরে বিতর্ক চলে আসছে।[১] তবে উভয়েরই মূল লক্ষ্য হল ব্যক্তিমালিকানা এবং শ্রমিক শ্রেণির উপর শোষণের হাতিয়ার পুঁজিবাদী অর্থ ব্যবস্থার অবসান ঘটানো।[২] কার্ল মার্ক্স যে মতাদর্শ উপস্থাপন করেছিলেন সেই মতে সাম্যবাদ হল সমাজের সেই চূড়ান্ত শিখর, যেখানে পৌঁছাতে হলে বিপ্লবের মাধ্যমে সমাজে আর্থনৈতিক সাম্য স্থাপন করতে হবে এবং সেই ক্রান্তিকালে উত্পাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পেলে, সমাজে সামগ্রী ও সেবার অতিপ্রাচুর্য সৃষ্টি হবে। কোনো দেশে সাম্যবাদ থাকলে সেখনে ধনী গরীবের ব্যাবধান থাকবে না । নাগরিকদের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করার দ্বায়িত্ব সরকার নেবে।
ব্যুৎপত্তি

লাতিন শব্দ Communis থেকে Communism শব্দটির উত্পত্তি। Communis মানে এজমালি অর্থাৎ সর্বজনীন। কমিউনিস্ট অর্থ সর্বজনীন। কমিউনিস্ট সমাজ হলো সর্বজনীন ভূমি, সর্বজনীন কলকারখানা, সার্বজনীন শ্রম, সমান অধিকার, কর্তব্যের অধিকার এবং শ্রেণীহীন সমাজ। এই মিলে হলো সাম্যবাদ। সাম্যবাদ হলো উত্পাদনের উপায়ের উপরে সামাজিক মালিকানা ভিত্তিক এক সামাজিক গঠনরূপ, যা উত্পাদনি শক্তিগুলোর বিকাশের পূর্ণ সুযোগ দেয়; তা হলো মানবজাতির সামাজিক অর্থনৈতিক প্রগতির সর্বোচ্চ পর্যায় এবং পুঁজিবাদকে তা প্রতিস্থাপিত করে।

সাম্যবাদের দুই স্তর

দুটি স্তর আছে: ০১. সমাজতন্ত্র, নিম্মতম স্তর- এ পর্বে উত্পাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র উত্খাত ঘটায় ব্যক্তিগত মালিকানার ও মানুষ মানুষের শোষণের, বিলোপ ঘটায় শ্রেণির (Abolition of Classes), বিলোপ ঘটায় অর্থনৈতিক সংকটের ও বেকারীর, উন্মুক্ত করে উত্পাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উত্পাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উত্পাদনের লক্ষ্য - জনগনের সচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ। সমাজতন্ত্রের মূলনীতি হলো- প্রত্যেকের কাছ থেকে সামর্থ অনুযায়ী, প্রত্যেকে শ্রম অনুযায়ী। দ্বিতীয় স্তরটি হচ্ছে, ০২. সম্পূর্ণ কমুনিজম, উচ্চতর স্তর। এ-পর্বে শ্রম অনুসারে বন্টন ছেড়ে সমাজ এগিয়ে যাবে চাহিদা অনুযায়ী বন্টনের দিকে। বাস্তবায়িত হবে কমুনিজমের মূলনীতি: প্রত্যেকের কাছ থেকে সামর্থ অনুযায়ী, প্রত্যেকে চাহিদা অনুযায়ী। শ্রেণি লোপ পেয়ে (Classes Disappear) লোকেদের সম্পূর্ণ সামাজিক সমতায় সমাজ হয়ে উঠবে শ্রেণিহীন।

সাম্যবাদ ও সমাজতন্ত্রের মধ্যে তফাৎ

১. সমাজতন্ত্রে শ্রেণী বিলোপের সূত্রপাত ও বৈরী শ্রেণীদের বিলোপ(abolition of classes) আর কমিউনিজমে সমস্ত শ্রেণীর উচ্ছেদ ও লোপ(classes disappear)। ২. সমাজতন্ত্রে কিছুটা কালযাবত্‍ বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকারই শুধু নয়,রাষ্ট্রও টিকে থাকে।আবশ্যিকতার রাজ্য।আর কমিউনিজমে বুর্জোয়া চেতনাগত অধিকার ও রাষ্ট্র কিছুই থাকবে না। মুক্তির রাজ্য। ৩. সমাজতন্ত্রে প্রলেতারিয়েতের একনায়কত্ব থাকে আর কমিউনিজমে কোনো শ্রেণীরই অস্তিত্ব থাকে না। শ্রেণীহীন সমাজ। ৪. সমাজতন্ত্রে বেতন ও মজুরির অনুপাত সমান থাকে এবং পরে কাগজি ভাউচার থাকে। আর কমিউনিজমে বেতন বা মজুরির অস্তিত্বই থাকে না। ৫. সমাজতন্ত্রে স্থায়ী সেনাবাহিনীর বদলে গণমিলিশিয়া থাকে আর কমিউনিজমে কোন বাহিনীরই অস্তিত্ব থাকবে না। ৬।সমাজতন্ত্রে কায়িক ও মানসিক,শিল্প ও কৃষি,দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমের ভাগ থাকে আর কমিউনিজমে ভাগ থাকে না। ৭. সমাজতন্ত্রে মালিকানার দুই রূপঃ সর্বজনীন ও সমবায় মূলক আর কমিউনিজমে একরূপঃ সমাজের। ৮. সমাজতন্ত্রে শ্রম জীবনধারণের উপায় আর কমিউনিজমে জীবনেরই প্রাথমিক প্রয়োজন শ্রম।

০ Likes ০ Comments ০ Share ৪২৫ Views

Comments (0)

  • - ফাতিন আরফি

    সাত সকালে দোয়েল ডাকে

    কী যে দারুন বেশ !

    সবার সাথে গর্ব করি

    আমার বাংলাদেশ ।

    • - এনামুল হক মানিক

      ধন্যবাদ ভাইজান ।