সময় সকাল ১১ টা।
অফিসের কাজে গুলশান যাচ্ছিলাম। কড়া রোদ। রাস্তায় জ্যাম। বাস কম, যাত্রী বেশি। প্রতিদিনের মত অনেক হ্যাপা করে বাসে উঠলাম। সাথে আছে আমার ক্যামেরা। বাসে উঠার পরই দুইজনের সাথে কথা কাটাকাটি হলো। একজন তো আমাকে মেরেই বসল। ডান চোখের নিচে কেটে গেল। কাটা জায়গাটা সারা দিনই জ্বলছিল।
এত সহজ সরল জীবন যাপন করি। কত কিছু মুখ বুঝে সহ্য করি। বাসায় এসে আয়নায় তাকাতেই চোখের নিচে দেখি দাগ হয়ে আছে। দাগটা দেখেই মাথাটা গরম হয়ে গেল। এখন মনে হচ্ছে- ওই দুইটা বদমাশকে একটা থাপ্পড় হলেও দেয়া উচিত ছিল। আমি কাউকে কোনোদিন থাপ্পড় মারিনি, এর মানে এই না যে, আমি থাপ্পড় দিতে জানি না। ছোটবেলায় মা শিখিয়ে ছিল- সহ্য করে যাও। সেই থেকে সহ্য করে যাচ্ছি। কিন্তু আমি আর কত সহ্য করবো?
আমি ঘরে বাইরে খুব বেশি ভদ্র। বাসে উঠলে আরও বেশি ভদ্র হয়ে যাই। কেউ আমার পালিশ করা জুতো পাড়িয়ে দিলেও কিছু বলি না। সাদা জামা ময়লা করে দিলেও কিছু বলি না। বাসের কন্ট্যাকটর ভাড়া বেশি নিলেও আমি কিছু বলি না। ছোটবেলা থেকেই আমি খুব নিরীহ। আমার এখনও মনে আছে- ছোটবেলা যখন সব বাচ্চারা একসাথে খেলা করতাম, এদের মধ্যে কেউ যদি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ড্রেনে ফেলেও দিত- তখনও আমি চুপ করে থাকতাম। সহ্য করে নিতাম।
আর আজ আমাকে বাসের মধ্য মারল !! খারাপ ব্যবহার করল। বাজে বকা দিল। আমি তো কোনো দোষ করিনি। আমি বললাম, একটু চেপে দাঁড়ালে ভালো হয় অথবা আমাকে পেছনে যেতে দিন। এই কথা কেউ গায়ে হাত তুলতে পারে? দিনদিন মানুষ এত হিংস্র হয়ে যাচ্ছে কেন? মায়া মমতা কি শুধু বইয়ের পাতায় লেখা থাকবে? আবার বলে বাসের জানালা দিয়ে আমাকে ফেলে দিবে। মোবাইল বের করে কাকে যেন ফোন দেয়- আমাকে শায়েস্তা করার জন্য।
কিন্তু আমি যদি চাইতাম, ওই দুইটাকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারতাম। আমিও ফোন করে অনেক মানুষজন জড়ো করতে পারতাম। কিন্তু কুকুর কামড়ালে আমি তো আর কুকুরকে কামড়াতে পারি না। ঝগড়া না করে, মারামারি না করে- আসো, আমার সাথে আলোচনায় বসো, দেখো লজিক দিয়ে কিভাবে তোমাকে হারিয়ে দেই। আমার পক্ষে তো সম্ভব না কুৎসিত শব্দ ব্যবহার করা। পাবলো পিকাসো, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এমিলি ডিকেনসন ব্রনটি, চার্লস ডিকেন্স, পাওলো কোয়ালহো, মারিও পুজো, ভিক্টর হুগো, হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড, মার্ক টোয়েন অথবা দস্তভয়স্কি পড়ে লাভ কি হলো?
দিনের শেষে, এই বলে নিজেকে শান্ত্বনা দিলাম- বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোকই খুব দুঃখি। তাদের ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। ছোট্র একটা দেশ। মানুষ বেশি। অভাব আর বেকারত্ব মানুষকে হিংস্র করে তুলেছে। কিছু খারাপ মানুষ তো থাকবেই। তাদের যদি আমরা ভালো না করতে পারি- সেটা তো আমাদের'ই ব্যর্থতা।
অফিসের কাজে গুলশান যাচ্ছিলাম। কড়া রোদ। রাস্তায় জ্যাম। বাস কম, যাত্রী বেশি। প্রতিদিনের মত অনেক হ্যাপা করে বাসে উঠলাম। সাথে আছে আমার ক্যামেরা। বাসে উঠার পরই দুইজনের সাথে কথা কাটাকাটি হলো। একজন তো আমাকে মেরেই বসল। ডান চোখের নিচে কেটে গেল। কাটা জায়গাটা সারা দিনই জ্বলছিল।
এত সহজ সরল জীবন যাপন করি। কত কিছু মুখ বুঝে সহ্য করি। বাসায় এসে আয়নায় তাকাতেই চোখের নিচে দেখি দাগ হয়ে আছে। দাগটা দেখেই মাথাটা গরম হয়ে গেল। এখন মনে হচ্ছে- ওই দুইটা বদমাশকে একটা থাপ্পড় হলেও দেয়া উচিত ছিল। আমি কাউকে কোনোদিন থাপ্পড় মারিনি, এর মানে এই না যে, আমি থাপ্পড় দিতে জানি না। ছোটবেলায় মা শিখিয়ে ছিল- সহ্য করে যাও। সেই থেকে সহ্য করে যাচ্ছি। কিন্তু আমি আর কত সহ্য করবো?
আমি ঘরে বাইরে খুব বেশি ভদ্র। বাসে উঠলে আরও বেশি ভদ্র হয়ে যাই। কেউ আমার পালিশ করা জুতো পাড়িয়ে দিলেও কিছু বলি না। সাদা জামা ময়লা করে দিলেও কিছু বলি না। বাসের কন্ট্যাকটর ভাড়া বেশি নিলেও আমি কিছু বলি না। ছোটবেলা থেকেই আমি খুব নিরীহ। আমার এখনও মনে আছে- ছোটবেলা যখন সব বাচ্চারা একসাথে খেলা করতাম, এদের মধ্যে কেউ যদি আমাকে ধাক্কা দিয়ে ড্রেনে ফেলেও দিত- তখনও আমি চুপ করে থাকতাম। সহ্য করে নিতাম।
আর আজ আমাকে বাসের মধ্য মারল !! খারাপ ব্যবহার করল। বাজে বকা দিল। আমি তো কোনো দোষ করিনি। আমি বললাম, একটু চেপে দাঁড়ালে ভালো হয় অথবা আমাকে পেছনে যেতে দিন। এই কথা কেউ গায়ে হাত তুলতে পারে? দিনদিন মানুষ এত হিংস্র হয়ে যাচ্ছে কেন? মায়া মমতা কি শুধু বইয়ের পাতায় লেখা থাকবে? আবার বলে বাসের জানালা দিয়ে আমাকে ফেলে দিবে। মোবাইল বের করে কাকে যেন ফোন দেয়- আমাকে শায়েস্তা করার জন্য।
কিন্তু আমি যদি চাইতাম, ওই দুইটাকে মাটিতে পুঁতে ফেলতে পারতাম। আমিও ফোন করে অনেক মানুষজন জড়ো করতে পারতাম। কিন্তু কুকুর কামড়ালে আমি তো আর কুকুরকে কামড়াতে পারি না। ঝগড়া না করে, মারামারি না করে- আসো, আমার সাথে আলোচনায় বসো, দেখো লজিক দিয়ে কিভাবে তোমাকে হারিয়ে দেই। আমার পক্ষে তো সম্ভব না কুৎসিত শব্দ ব্যবহার করা। পাবলো পিকাসো, আলবার্ট আইনস্টাইন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, এমিলি ডিকেনসন ব্রনটি, চার্লস ডিকেন্স, পাওলো কোয়ালহো, মারিও পুজো, ভিক্টর হুগো, হেনরী রাইডার হ্যাগার্ড, মার্ক টোয়েন অথবা দস্তভয়স্কি পড়ে লাভ কি হলো?
দিনের শেষে, এই বলে নিজেকে শান্ত্বনা দিলাম- বাংলাদেশের বেশির ভাগ লোকই খুব দুঃখি। তাদের ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। ছোট্র একটা দেশ। মানুষ বেশি। অভাব আর বেকারত্ব মানুষকে হিংস্র করে তুলেছে। কিছু খারাপ মানুষ তো থাকবেই। তাদের যদি আমরা ভালো না করতে পারি- সেটা তো আমাদের'ই ব্যর্থতা।
Comments (0)
নদী কথা রেখেছিলো-
আসমান ভেদ করে নেমেছিলো প্রবল বর্ষণ
চমৎকার !!!
কবি দারুণ লেগেছে।