১।
আশ্বিনের দুপুরে জল-ধোয়া নদীর নির্লিপ্ত জলে
উদভ্রান্ত আবেগে
কুর্চির যে ছায়া ভেসেছিল
তার সবটুকুই মায়া ছিল! আকুল সায়রে ভেসে যায় ভিনদেশী দোহালা ফুল!!
সন্ধ্যা নামতেই ঘাটে স্নান শেষ করে কুর্চি; মুছে ফেলে দোহালার সকল স্পর্শ!
২।
নদীর কাছে যাবে?
কেন!! নদীর জল দেখতে ইচ্ছে করছে?
নাহ!
তবে?
আশ্বিনের নদী তোমাকে দেখতে চেয়েছে!
কুর্চি আমার হাত ছুঁয়ে বসে থাকে! আমাদের মাঝে খুব নীরবে নদীটি কুলকুল করে বয়ে যায়! ফিসফিস স্বরে কাশফুলেরা আমাদের কথা কইতে থাকে।
আমি নদীকে কথা দিয়েছি তোমাকে নিয়ে একটি বিকেল কাটাবো!
কাশফুলের ঝাড় ছুঁয়ে যে বাতাস দোল খায়, তেমন কিছু মৃদু বাতাস তোমার আঁচলে করে নিয়ে আসবো!
একদিন দুজনে
জল ভরা সুখবাতাস ছড়িয়ে দেব ইট-কাঠের এই নগরীতে।
... কুর্চি, নদী ও কাশফুল
৩।
: শোন!
: বল!
: নাহ! কিছু না।
এমন করে ডেকে কিছু না বলেও কত কি বলা যায় সেটা পৃথুর চোখ মুখ দেখে সহজেই বোঝে কুর্চি! এই এক অভ্যাস তার। হুট-হাট কথার মাঝেও সে ঝট করে বলে বসবে, শোন! আমি তাকাবো এবং সে খুব আয়েশ করে আমার পুঙ্খানুপুঙ্খ দেখে বলবে নাহ! কিছু না।
এখন আমরা কেউই কিছু বলিনা
দূর দেশে থাকি
অতো দূরে থেকে কি করে বলা যায় কথা!!
তবু আমি ঠিক শুনি পৃথু আমাকে ডাকছে; আমিও সেই ডাক শুনে ফিরে তাকাই!
শুনি সেই পুরনো কথাটি!
আমি কবে মেঘ হবো?
কবে হবে ঝড়! কবে মাখামাখি!!
জানিনা
জানিনা
মেঘ এসে ছুঁয়ে যায় পাহাড়ের প্রান্তর,
আমি শুধু দূরে রই!
... কুর্চি, মেঘ
৪।
আয় চাঁদ আয় ! শুয়ে থাকি খোলা হাওয়ায়!
কাটুক অযুত নিযুত যত প্রহর –
উড়ুক বিরহের কালো মেঘেরা, শুভ্রতায় মিশে যাক জোছনা ভরা আদুরে সময়!!
৫।
নদী
নীল
আকাশ
আর কাশফুল!!
আর কি চাই!?
নাইবা রইলে তুমি! কি আসে যায়!!
৬।
তোর এক আঁজলা জলের অপেক্ষায় মেঘকে ফিরিয়ে দিয়েছি আমি!
এখন মৃত্যুতেও কিছু যায় আসে না! হরিৎ জ্যোৎস্নায় ভিজে গেছে জনপদ, আমি শুধু একা রয়ে গেছি সবুজ বনে।
আমার একলা পাখি উড়ে গেছে ফিরে আসবে বলে।
Comments (9)
দারুন লিখেছেন নীলদা
মায়াবী ছাড়া কিছু বলার নাই !!
এক প্রেমিক তার আরাধ্য প্রেম নিয়ে অপেক্ষা করছে কোন স্বর্গীয় প্রেয়সীকে--
এক নদী প্রেম নিয়ে সে আসছে কবি.........।।