গ্রন্থের নামঃ শ্রাবণের আকাশে রংধনু
লেখকঃ খন্দকার মোঃ আকতার উজ জামান সুমন
ধরনঃ কবিতা
প্রচ্ছদশিল্পীঃ রাজিব রায়
প্রকাশকঃ আহসান আল আজাদ
প্রকাশনী সংস্থাঃ বাংলার কবিতা প্রকাশন
দামঃ ১২০/-
বইমেলায় স্টল নংঃ ১১ (লিটল ম্যাগাজিন চত্বর- বাংলার কবিতাপত্র)
কখনো ভাবিনি নিজের কবিতার বই বের হবে । আবার তা যদি হয় একক কবিতার বই, তাহলে তো কথাই নেই । আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি । মানুষের অনুভূতিগুলো নিজের মতো করে অনুভব করতে ভালোবাসি । আর আমার এই ভালোবাসার বিষয়গুলোই ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করি কিছু লেখার মাধ্যমে । হয়তো লেখতে লেখতে অনেক জমা হয়ে গেছে আমার ভান্ডারে আজ । মাঝেমাঝে ভাবি এসব লেখে কি আর হবে? জীবনের জন্য এসবের কোন প্রয়োজন আছে কি ? এসব লেখে কি আমি এই কর্পোরেট সমাজে টিকে থাকতে পারবো ? হয়তো পারবোনা । তবে বেঁচে থাকতে পারবো বেঁচে থাকার মতো । সমাজটা কর্পোরেট হয়ে যেতে পারে কিন্তু রক্ত-মাংসের এ দেহের তো কোন পরিবর্তন হয়নি । এ দেহে যে এখনো অনুভূতি আছে, বিবেক আছে, ভালোবাসা আছে । যেহেতু এসব থেকে কেউ বেঁচে থাকতে পারবেনা তাই লেখালেখিরও প্রয়োজন আছে, নইলে যে ঐ আবেগ, ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে ব্যর্থ হয়ে পড়তে হবে আমাদের । ঐ কবিতা, গল্প, উপন্যাস লেখে হয়তো কারো সংসার চলবেনা কিন্তু সংসারে অর্থ ছাড়া যে অমূল্য বিষয়গুলো লাগে তার যোগান তো হবে । আর সে জন্যই আমার লেখে যাওয়া, লেখে যাওয়া মনের প্রশান্তিকে আরও ভালোভাবে স্পর্শ করার জন্য ।
শ্রাবণের আকাশে রংধনু আমার প্রথম একক কাব্যগ্রন্থ । জানিনা কেমন হয়েছে আমার লেখাগুলো । তবে আমি চেষ্টা করেছি, শুধু এটুকুই বলতে পারি । বাকিটুকু আপনাদের হাতে । যেহেতু প্রথম বই তাই আপনাদের উৎসাহ, অনুপ্রেরণা আমার জন্য অনেক প্রয়োজন । বইটি স্টল থেকে সংগ্রহ করে আপনাদের ভালোমন্দ লাগার অভিব্যক্তি আমাকে জানাবেন বলে আশা করি । বইটি সম্পর্কে প্রকাশক, আহসান আল আজাদ ভাই যা বলেছেন তা হলো:
”প্রকাশনার প্রথম বছরে যে ক'জনের বই করে শান্তি পেয়েছি তাদের মাঝে খন্দকার মোঃ আকতার উজ জামান সুমন অন্যতম। শান্তি পেয়েছি বলতে, পাণ্ডুলিপি আমার কাছে দেয়ার পর একদম নিশ্চিত মনে নাকে তেল দিয়ে ঘুমিয়েছেন তিনি! সেই ঘুম থেকে উঠেছেন সেদিন, যেদিন আমি জানালাম বইয়ের কাজ শেষ, আসুন!
নিশ্চিন্ত মনে থাকা এই মানুষটার স্বভাব চুপচাপ টাইপের। স্বভাবে চুপচাপ তার লেখাতেও প্রমাণ পেয়েছে। কবিতাগুলো কিছুটা ভিন্ন ধারার, তবে অবশ্যই সহজ এবং প্রাঞ্জল ভাষায়।
কবির প্রথম কবিতার বই এর শুভকামনায় আমরা ।”
এখন আপনাদের কাছ থেকে শোনার অপেক্ষায় রইলাম ।