Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

nushrika mahdeen

১০ বছর আগে

শীতের পোশাক

শীতের শুরুতেই ফুটপাথে বসেছে গরম কাপড়ের পসরা। ক্রেতারাও ভিড় করতে শুরু করেছেন। শীতের পোশাকগুলো পাওয়া যাবে বঙ্গবাজার, পল্টন এলাকা, ঢাকা কলেজের আশপাশে, নিউমার্কেটের সামনের ফুটপাথ, মৎস্য ভবন থেকে শিল্পকলা একাডেমির রাস্তা, মিরপুর ১০ নম্বর এলাকা।     

কম্বল বাজার

রাজধানীর বঙ্গবাজার গেলে বোঝা যায় শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কেনাকাটার ধুম পড়েছে। বঙ্গবাজারকে এখন কম্বল বাজার মনে হতে পারে। এখানের বিভিন্ন পোশাকের দোকানগুলো পুরানো ব্যবসার পরিবর্তে কম্বলের পসরা সাজিয়ে বসেছে। তবে কিছু দোকানে ছেলেমেয়ে উভয়ের জ্যাকেট, সোয়েটার, ফুলহাতা গেঞ্জি, ব্লেজার, লেদার জ্যাকেট হাফহাতা ও ফুলহাতা এগুলোর দাম ৯শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা। বাজার ঘুরে দেখা গেল বেশিরভাগ ক্রেতাই কম্বল কেনার জন্য ভিড় করছে। বুশরা ফ্যাশন হাউজের বিক্রয়কর্মী মুক্তার হোসেন বলেন, “এ মার্কেটে চায়না, কোরিয়ান ও স্পেন এই তিন দেশের কম্বলই পাওয়া যায়।” দাম ১১০ টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়। রংয়ের বৈচিত্র্যও মিলবে এসব কম্বলে।

বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কম্বলের মধ্যে রয়্যাল স্পেন ১ হাজার ৫শ’ থেকে ২ হাজার ২’শ টাকা। ক্যাঙ্গারু ১ হাজার ৮৫০ থেকে ৩ হাজার টাকা। হোয়াইট বিয়ার ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। রয়্যাল স্পেন ২ হাজার ৫শ’ থেকে ৪ হাজার টাকা। সোলারন ৩ হাজার ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা। কিংস্টার ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা। জিনাক্স ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা । বুশরা ফ্যাশন হাউজের মালিক হাফিজুর রশিদ বলেন, “বার্মিজ কম্বলগুলোও ভালো চলে। এগুলোর দাম ৪৫০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকা।”
এছাড়াও গাউছিয়ার ফুটপাথ ও নিউমার্কেটেও বসেছে কম্বলের মেলা।

নিউমার্কেট ও ঢাকা কলেজ এলাকা

এরই মধ্যে নিউমার্কেটের সামনের ফুটপাথে শীতের পোশাকের জমজমাট বাজার বসেছে। “কেনাকাটাও বেশ জমে উঠেছে।” বলেন, ব্যবসায়ী মিরাজ হোসেন। এই এলাকায় পাওয়া যাবে ছেলেদের বিভিন্ন ধরনের সোয়েটার যেমন বুককাটা, গোলগলা, হাইগলা, ভি-গলা। দাম ১শ’ থেকে ৪শ’ টাকার মধ্যে। মেয়েদের কোট কার্ডিগান দাম ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা। লেডিস জ্যাকেট দাম ৬শ’ থকে ৭৫০ টাকা। উলের থ্রি কোর্য়াটার গেঞ্জি ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা। ছোটদের সোয়েটার হাফ জিপার, ফুল জিপার দাম ৫০ থেকে ৪৫০ টাকা। বড়দের ৫৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। এখানে আরও পাওয়া যাবে মাংকি টুপি, দাম ৪০ থেকে ৮০ টাকা। গেঞ্জি কাপড়ের হাত মোজার দাম ৪০ থেকে ৬০ টাকা। লেদারের হাত মোজা ২শ’ থেকে ৪৫০ টাকা।

ছেলেদের ট্রাউজার গেঞ্জি কাপড়ের দেড়শ থেকে ২শ’ টাকা। গ্যাবার্ডিন কাপড়ের ট্রাউজার ১৩০ টাকা থেকে ৩শ’ টাকা। মেয়েদের টাইটস, ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা। মার্কেটের ভেতরের রাস্তাতেও দেখা গেল শীতপোশাকের অনেক দোকান বসেছে। এসব খোলা দোকানে রয়েছে মেয়েদের চাদরের এক বিশাল সম্ভার। বেশিরভাগই দেশি এবং চায়না। প্রায় সব দোকানেই লেখা একদর একদাম। দোকানি আলাউদিন বলেন, “ক্রেতারা নির্ধারিত দামেই ক্রয় করেন। বিচিত্র রংয়ের এসব চাদরের দাম ৩৫০ থেকে ১ হাজার টাকা।  

নীলক্ষেত এলাকা

এখানের লেপ-তোশকের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের বেশ ভিড়। ভ্যালুয়েবল দোকানের মালিক সাইদুর বলেন, “শীত এলেই লেপের কদর বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে দামও।” রেডিমেইড সিঙ্গেল লেপ ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। ডাবল ১ হাজার ২শ’ থেকে ১ হাজার ৬শ’ টাকা। অর্ডার দিয়ে বানালে দরদাম করে নিতে হবে।

পল্টন এলাকা

এই এলাকার ফুটপাথগুলো এখন শীতের কাপড়ের খোলা দোকানে ভরপুর। জিপিওর সামনের ফুটপাথে মূলত বসে ছেলেদের কোট-ব্লেজারের দোকান। দোকানদার মহসিন বলেন, “সদরঘাটের জাম্বুরা মার্কেট ও কাশকো মার্কেট থেকে পাইকারি কিনে এনে এখানে খুচরা বিক্রি করা হয়।” বিভিন্ন ধরনের কোটের মধ্যে ‘ওয়ান বাটন’, ‘টু বাটন’, ‘থ্রি বাটন ন্যারো কোট’, ‘স্টেট কোট’ ও কটি পাওয়া যাচ্ছে। দাম ৪’শ টাকা থেকে ১ হাজার ৫’শ টাকা।

ফার্মগেইট এলাকা

সব ধরনের শীতের পোশাকই ফার্মগেইট এলাকার ফুটপাতে পাওয়া যায়। এখানকার দোকানিরা একসুরে বলতে থাকেন “বাইচ্ছা লন, দেইখা লন, একদর একদাম ১শ’, দেড়শ’, ২শ’।” ছেলেমেয়ে উভয়ের কাপড়ের পসরা বসেছে এখানে। নিজের পছন্দ মতো বেছে নিতে পারেন এসব দোকান থেকে।                      

গুলিস্তান এলাকা

এই এলাকার ফুটপাথেও প্রচুর দোকান দেখা গেল। পাশাপাশি নির্ধারিত দোকানগুলোতেও এসেছে শীতের পোশাক। ব্যবসায়ি শাহিন আলম বলেন, “এখানে ছেলেমেয়ে উভয়ের উলের জ্যাকেট দাম ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা। চায়না লেডিস চাদর দাম ৩শ’ থেকে ৪৫০ টাকা। এসি কার্ডিগান ৩শ’ টাকা। নরমাল কার্ডিগান ২শ’ থেকে ৩শ’ টাকা।

 


 

মলয় গাঙ্গুলী,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

১ Likes ৬ Comments ০ Share ১২১২ Views

Comments (6)

  • - ঘাস ফুল

    না জেনে বা না শুনে কারো ওপর রাগ করা বা অভিমান করা কিংবা ভুল বোঝা ঠিক না। অথচ তাতই তা-ই করেছিল। সজীবকে সে না চিনেই বা না বুঝেই ভুল বুঝেছিল, তার ওপর রাগ করেছিল। বন্ধুকে বাঁচাতে যেয়ে সজীব যখন না ফেরার দেশে চলে গেলো, তখন তাতইের ভুল ভাঙল। কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। তাই সজীবের কাছে আর ক্ষমা চাওয়া হল না। সাবলীল ভাষায় লিখা গল্পটা ভালো লাগলো বদরুল।