Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Kazi Md. Obaydul Hoq

৭ বছর আগে

শিশুর জন্মগত ত্রুটির সাথে বাবার বয়স এবং লাইফস্টাইলের সম্পর্ক আছে!!ত বাবারা সাবধান!

সম্প্রতি American Journal of Stem Cells জর্নালে শিশুর জন্মগত ত্রুটির সাথে বাবার বয়স এবং লাইফস্টাইলের সম্পর্ক আছে বলে এক গবেষনা প্রতিবেদন ছাপা হয়। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হয়,বাবামা উভয়ের কর্মকান্ডই শিশুকে প্রভাবিত করে তবে মায়ের সাথে গর্ভাস্থায় শিশুর বিকাশ, আকৃতির সম্পর্ক অনেক আগেই প্রমানিত হলেও এই প্রথম স্পেসিফিক্লি বাবার সাথে সম্পর্ক নির্ণয়ের চেস্টা করেছেন Joanna Kitlinska এবং তার দল যিনি Georgetown University র বায়োকেমেস্ট্রি এন্ড মলিকিউওলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

তিনি বলেন,আমরা সবাই জানি, মা গর্ভাবস্থায় শিশুকে প্রয়োজনিয় পুষ্টিগত,হরমোন,এমনকি যাবতীয় মনস্তাত্বিক পরিবেশ বিনির্মানে যাবতিয় সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সন্তানের দেহ সৌষ্টব্‌,পাশাপাশি তার ভ্রুন কিংবা কোষের গঠন এবং তার নির্দিষ্ট বংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্যকে নিয়ন্ত্রণ করে।

কিন্তু এই গবেষনায় সন্তান জন্মদানের ক্ষেত্রে বাবার প্রভাব সম্পর্কে আলোকপাত করা চেষ্টা করা হয়েছে।কিভাবে বাবার বয়স,তার লাইফস্টাইল ভ্রুনকে প্রভাবিত করছে ,পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে নিজস্ব বংশানুক্রমিক বৈশিষ্ট্যকে বহন করার কলাকৌশল।সবচেয়ে মজার ব্যপার হল,বাবা যে কেবল তার সন্তানকেই প্রভাবিত করে তা নয়,সে তা পরবর্তি প্রজন্মকেই প্রভাবিত করে।

উদাহরন হিসেবে তারা বেশ কিছু কেইস এর কথা উল্লেখ করেছেন,তারা অনেক নবজাতক পেয়েছেন যাদের fetal alcohol spectrum disorder (FASD) আছে,অথচ তাদের মা'রা গর্ভাবস্থা ত দূরের কথা ,কোন সময়ই এলকোহলে আসক্ত ছিল না।fetal alcohol spectrum disorder (FASD) হল এমন একটা রোগ,যা হলে শিশুরে নানা জটিলতা তথা অস্বাভাবিক শারীরিক অবয়ব বা চেহারা দেখা যায়,আকারে ক্ষদ্রাকৃতি,অল্প ওজন,ক্ষুদ্র মাথা এবং অপরিপক্ক মস্তিস্ক, কম বুদ্ধিমত্তা এমনকি তার বিভিন্ন আচরনগত সমস্যাও দেখা দেয়।এছাড়া এই বাচ্ছাগুলো ভবিষ্যতেও স্কুল কলেজে এবং পরবর্তিততে সামাজিক নানা সস্মস্যা জড়িত হবার প্রমানও পাওয়া গেছে।বাচ্ছার এই রোগটি হলে ধরেই নেওয়া হত,গর্ভাস্থায় তার মায়ের আচরনগত ত্রুটির কারনেই বাচ্ছার এমন সর্বনাশ হয়েছে।এটাই এই গবেষনার সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মনে করেন Kitlinska। তিনি ৭৫% এর বেশি FASD আক্রান্ত শিশুদের পেয়েছেন,যাদের বাবারা ছিল এলকোহ্লিক।মাকে আর এই অভিযোগে অভিযুক্ত করা গ্রাউন্ড থাকে না।আরেকটা ব্যপার হল,পিতার এলকোহল আসক্তি তার পরবর্তি প্রজন্মকে কোন না কোন ভাবে প্রভাবিত করবেই,তাই এই নেগেটিভ এফেক্ট দূর করার জন্য এলকোহল বর্জনের কথা বলেছে বেশ জোর দিয়েই।

এই গবেষনার প্রতিটি ধাপেই যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে বলেই রিভিঊ কমিটি তার পর্যবেক্ষন প্রতিবেদনে মতামত দিয়েছেন।নিম্নে গবেষনায় প্রাপ্ত ফাইন্ডিংস এর সার অসংক্ষেপ উপস্থাপন করা হল।

১.বেশি বয়সে বাচ্ছা নিলে নানাবিধ জটিলতা তথে সমস্যা দেখা দিতে পারে,বাচ্চার সিজোফ্রেনিয়া,অটিসম এ আক্রান্ত হতে পারে এমনকি জন্মগত নানা ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিতে পারে।
২.এটা খুব মজার,বাবার কিশোর বয়সের খাদ্যাভ্যাস নিয়ন্ত্রিত থাকলে,তার অনেক ভাল দিক খুজে পেয়েছেন গবেষনা দল এবং সেটা সন্তানকে প্রভাবিত করার সাথে সাথে পরবর্তি প্রজন্মকেও রক্ষা করে,যেমন কার্ডিওভাসকুলার মৃত্যুর ঝুকি থেকে মুক্ত হতে সাহায্য করে।
৩.স্থুলাকায় বাবার কারনেও নবজাতকের মেটাবলিক কার্যক্রমে নিয়ন্ত্রন থাকবে না,হতে পারে ডায়বেটিস,অবেসিটি এমনকি ব্রেইন ক্যন্সারে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনাও আছে অইসব শিশুদের।
৪.বাবা যদি মানসিক যন্ত্রনায় থাকেন সেটাও গর্ভস্থ বাচ্ছাকে প্রভাবিত করে ,বাচ্ছা বিভিন্ন জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্ম নিতে পারে।
৫.বাবা যদি এলকোহলে আসক্ত হয়,তবে বাচ্ছা জন্মের সময় অনেক কম ওজন হবে,যা পরবর্তিতে নানা জটিলতা তৈরি করবে,বাচ্ছার মস্তিস্কের আকারকেও প্রভাবিত করবে।
১ Likes ০ Comments ০ Share ৭৪৭ Views