নিউইয়র্কের ব্যস্ত রাস্তায় পথচারীরা হঠাৎ শিশুর কান্না শুনে থমকে দাঁড়ান। কেউ কেউ এগিয়ে গেছেন কৌতুহলে। কিন্তু তাদের ফিরতে হয়েছে বিস্ময় আর চমক নিয়ে। সেদিন একটি ট্রলিতে করে এভাবেই সকলকে চমকে দিতে পথে নেমেছিল ব্রিটিশ রূপকথার থিঙ্কমডো বা শয়তানের শিশু। ভয়ঙ্কর চেহারার এই ‘শয়তানের বাচ্চা’ কেবল চমকে দিয়েই ক্ষান্ত হয় না। তীব্র স্বরে কাঁদতে কাঁদতে গায়ের ওপর উগরে দেয় বমি। যা দেখে অনেকেরই পেট গুলিয়ে উঠবার কথা। শুধু তাই নয়, তার ট্রলিটি কারো নির্দেশ ছাড়াই যেন রাস্তার জিনিসপত্র উল্টে ফেলে একা একা এসে থামে পথচারীর সামনে। তারপর সদ্যজাত শিশুর মতো কান্না করতে থাকে আর তার মুখের ওপর থাকা কাপড়টি সরালেই বিপদ। আসল ঘটনা হলো হলিউডের মুক্তি প্রতীক্ষিত হরর মুভি ‘ডেভিলস ডিউ’-এর প্রচারণার কৌশল হিসেবেই এই শয়তানের বাচ্চাকে পথে নামানো হয়েছিল। \ রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে চালিত ভয়ঙ্কর চেহারার এই বাচ্চা মূলত: সাধারণ পুতুল। এর রয়েছে মাথা ও চোখের পাতা নাড়ানোর এবং বমি করার ক্ষমতা। আর বমি বলতে যা দেখা যায় সেটি আসলে সাদা রঙ। আর পুতুল তৈরি থেকে শুরু করে পুরো ব্যাপারটির পরিকল্পনা করেছেন মিখায়েল ক্রিভিকা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একটি মজার সামাজিক গবেষণার জন্য তৈরি। যা দ্বারা দেখতে চেষ্টা করেছি একটা পরিত্যক্ত স্ট্রোলার দেখে কতজন কৌতুহলী হয়ে এগিয়ে যায় এবং থিঙ্কমডোকে দেখে ভয় পায়।
Comments (4)
মানুষই বটে। গরীব শীতার্তদের করুণ কাহিনী গল্পের উপজীব্য হয়ে ফুটে উঠেছে। পল্টুর মতো অনেক ছেলেই আমাদের দেশে শীতে জর্জরিত হয়ে আছে, যাদের দিকে ধনী লোকগুলো তাকানোর সময় পায় না। সেই হিসাবে মানুষটি তার নিজের ছেলের জ্যাকেটটা পল্টুকে খুলে দিয়েছে। এমন মানুষের সংখ্যা আমাদের সমাজে খুবই কম। কারো সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নাই। আবার যাদের সাধ্য আছে, তাদের সাধ নাই। বিচিত্র মানুষ জাতি। অনেক ভালো লাগলো গল্পটা জিয়াউল। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথাও বলেছেন গল্পটাতে। প্লটুকে ঘিরে উঠে এসেছে অসহায় মানুষের কিছু অসহায়ত্ব। শব্দের গাঁথুনি বেশ ভালো হয়েছে। তবে গল্পটাকে মনে হয় আরও একটু ছোট করা যেত জিয়াউল। অনেক সময় লেখা অযথা বড় করার চাইতে ছোট রাখাই ভালো। তাতে করে গল্পের বার্তাটা সহজেই পাঠক অনুধাবন করতে পারে। পাঠকের মধ্যে একগুঁয়েমি জাগে না। গল্পটি নিঃসন্দেহে বিচারকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হবে। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা রইলো জিয়াউল।
ধন্যবাদ ঘাসফুল ভাই আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য। আর আপনি ঠিক কথাই বলেছেন অযথা গল্প বড় না করাই ভালো কিন্তু ভাই আমার কলমটা বড় অবাধ্য কি করে যে গল্পটা কোন দিকে টেনে নিয়ে যায় আমি যেন বুঝে উঠতে পারি না। চেষ্টা করবো নিয়ন্ত্রন করার জন্য। ভাল থাকবেন।
ইস্ আমরা সবাই যদি এমন মানুষ হতে পারতাম ? তাহলে হয়তো দেশটা আরো অনেক সুন্দর হয়ে যেতো। গল্পে ভালো লাগা
যারা আমার গল্পের মানুষটার মতো মানুষ নয় তাদের কথা প্রায় সবাই বলে থাকে। তাই আমি যাদের কথা সাধারনত কেউ বলে না তাদের কথা বলার চেষ্টা করেছি। আমরা যেন সবাই যেন ঐরকম মানুষ হতে পারি এই কামনাই করি।
ভাল লেগেছে।
প্রতিযোগীতার বিবেচনায় নেয়ার জন্য দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
অনেকদিন পর পাশা ভাই আমার লেখায় এসেছেন পড়েছেন, সুন্দর একটি মন্তব্যও করেছেন কি বলে যে ধন্যবাদ দেই। আপনার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি।