Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মনির হোসেন মমি

১০ বছর আগে

রাজনিতী এবং আমরা

অতি কৌশলে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামিলীগ সরকার সাংসদ মেজরিটির ক্ষমতা বলে এক সময় তাদের আন্দোলনের ফসল "কেয়ার টেকার সরকার ব্যাবস্হা বাতিল করেন।সেই ইস্যুকে কেন্দ্র করে বর্তমান বিরোধী দল বি,এন,পি ১৮ দলীয় জোট একের পর এক আন্দোলন করে যাচ্ছেন।তথাকথিত রাজনিতীবিদরা কি ভাবে ক্ষমতায় আসবেন সেই ব্যাবস্হা নিদিষ্ট করতে এ রক্তক্ষয়ী আন্দোলন।নতুবা বিরোধীদলের কাছে আর কোন ইস্যু ছিলনা যা রাষ্ট্রে বিশৃংখলা সৃষ্টি করে।তুলনামুলক ভাবে গত বারের ক্ষমতা পরিবর্তনে আন্দোলনের চেয়ে এবার আন্দোলনের পরিমান কম যা করেছে যুদ্ধাপরাধী বিচারে জামাত এবং হেফাযত।ক্ষমতার শেষ লগ্নে বরাবরের মত এবারও এর ব্যাতিক্রম নয়।সেই '৯০ এর স্বৈরাচার আন্দোলনে ছিল অসহনীয় ধ্বংসাজ্ঞ আর ডাঃ মিলনের মত নক্ষত্রের বিয়োগ।তখনকার ধ্বংস আর লাশের কষ্ট জনগণের বহন করার ক্ষমতা ছিল কারন রাষ্ট্রকে শুদ্ধিতে নিয়ে যাওয়া ছিল রাজনিতীবিদদের মূল উদ্দ্যেশ্য।আজকে কি প্রয়োজন ছিল এত দ্রুত কেয়ার টেকার ব্যাবস্হা বাতিল করতে।প্রয়োজন ছিল হয়তো রাজনিতীবিদদের আমজনতার নয়।ধন্যবাদ দিতে হয় গত ফখরুদ্দিন সরকারকে সে ভাল-মন্দ যাই করুন অন্ততঃ আমজনতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের প্রিয় নেতাদের ফুলের মত চরিত্রগুলোকে।অবৈধ টাকা কোথায় ছিলনা খাটের তোষকের নীচে,বালিশের ভিতর,এমন কি বাথরুমেও ছিল লুকায়িত অবৈধ সম্পদ।বি,এন,পি আর আওয়ামিলীগের অধিকাংশ নেতাই জীবনে ওয়ান এলেভেন ভুলতে পারবেন না।হয়তো সেই ভয়েই ক্ষমতসীন দলের সংবিধানে এমন পরিবর্তন আনা।আর আমাদের অবস্হা এমন হয়নি যে আমরা ক্ষমতাসীনদের আন্ডারে নির্বাচনে যাব।বিশ্বের উন্নত দেশের সাথে তুলনা করলে চলবেনা কারন ওরা জনগণের স্বার্থে রাজনিতী করে সামান্য ভুল করলেই স্ব ইচ্ছায়পদত্যাগ করেন পদ থেকে আর আমরা!আমরা লাশের উপর পা রেখে রাজনিতী করি বা করছি -দেশ যেখানে যাবার যাক সে দিকে নয় আমরা রাজনিতী করি আমাদের স্বার্থে দলের তরে,টেন্ডারবাজী,প্রভাব বিস্তার,আর সম্পদের পাহাড় করতে।

কালে কালে কতজনকেই না ক্ষমতা হতে সরাতে হয়েছে করতে হয়েছে লাশের পর লাশ।বঙ্গবন্ধু,শহীদ জিয়ার মত আদর্শবান মহান নেতাদের আমরা কত নিষ্ঠুরতায় হত্যা করি।এর পর অসহযোগ আন্দোলনে সাধের গণতন্ত্রের আশায় দীর্ঘ নয়টি বছরের ক্ষমতাসীন পূরুষ এরশাদকে হটাই।দেশের দুই মহান নেতার সুযোগ্য উত্তোসরী এক সাথে অভাগা দেশের হাল ধরাতে বাংলার মানুষ ভেবেছিল হয়তো আমরা এবার পূরো স্বাধীনতার স্বাধ পাবো। কিন্তু কই সেই স্বাধীনতা?স্বাধীনের ৪২টি বছরের পাইনি জীবনের স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি।তবে যুদ্ধাপরাধী বিচার শুরু হওয়াতে একটু হলেও কলংকের দাগ মুছতে পেরেছি।কিন্তু তার পরও শংকা থেকে যায়।পরবর্তীতে যদি অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় আসে এর ভগ্যে কি ঘটবে।শুধু রায়ের পর রায় শুনছি এর কার্যকারীতা নিয়েও প্রশ্ন জাগে আদৌ কি এর কার্যকর হবে কি না।কার্যকর না করতে পারলে আর ক্ষমতার পরিবর্তন এলে শংকা হয় আমরা যদি আবার অন্ধকারে নিমজ্জিত হই।এ ভাবে আর কত রক্ত দিবে এ দেশের আমজনতা।মাসাল্লা আমাদের প্রিয় নেতাদের ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে সালা সমন্ধিরাও বিদেশে আর একটি রাজ্য গড়ে রেখেছেন যা ক্ষমতার পালাবদলে তারা আশ্রয় নেন নিশ্চিন্তে কিন্তু আমাদের মত আম জনতা,যাদের গায়ে বাঙ্গালীয়ানা মুখে জয় বাংলা আর প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ তারা কোথায় যাবে?বাংলার প্রতিটা আন্দোলনে যাতে রক্ত আমরা ভক্ষন করি,ছেলে হারা মাকে করি পুত্রশোকে কাতর,বোনকে পড়াই বিধবার সাদা শাড়ী তারা কোথায় যাবে?তাদের ভাষাতো আমাদের নেতাদের বোধগম্য নয়।আজ যে সরকারী দল বলছে হরতাল না দিতে সে যদি বিরোধীদলে আসে সে আবার এই হরতালই দিবে হয়তো আরো হিংস্রতায়।হরতাল আমজনতার স্বৈরাচার সরকারকে দমানোর শেষ ভরসা সেই হরতালকে এত ব্যাবহার করা হয়েছে যে এর আর গ্রহন যোগ্যতা নেই।শুধু নীরবে কিছু লোকের ধ্বংসাজ্ঞ দেখা।সন্তাসীরা পেয়ে যায় তাদের অস্ত্রের মহড়ার স্হান।হরতালে দেখা যায় পুলিশের পাশাপাশি কিছু গুন্ডা বাহিনী যারা প্রতিশোধের নেশায় মগ্ন।আমাদের বিজ্ঞ রাজনিতীবিদরা একে অন্যের উপর দোষারূপের কাদাঁ ছোড়াছুড়ী করেন অথচ তাদের একটি মাত্র সদিচ্ছায়ই পারে এর উত্তর দিতে।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল এক সময় বিশ্বের উন্নত লেখা পড়ার স্হান, রাষ্ট্রের গুণগত কর্ণদার তৈরীর কারখানা,ছাত্র বলতেই জনতার কাছে ছিল সম্মানীয় ব্যাক্তি,কালে কালে বাংলার ভাগ্যেকাশে যখনই কোন কালো মেঘের আগমন হতো ছাত্ররা ছিল তাদের যমদূত অথচ সেখানে আজ নোংরা রাজনিতীর কালো থাবায় এর সব ঐতিহ্য আর ভরসার আশ্রয়স্হল নিজেই দিশেহারা অসার।গতবারের বিরোধীদলের হরতালে বেশ কয়েকজন প্রায় ১৪টি লাশের বলি দিয়েছিল রাজনিতীবিদেরা তাদের পরিবারের খবর রেখেছে বলে আমার মনে হয়না।মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এক বক্তিতায় অনেক অক্ষেপের সুরে বলেছিলেন হরতালে বেগম জিয়া ছয় সাতজন লোক মেরে কি লাভ তার?তার মানে ছয় সাতজন লাশ তেমন কিছু নয় কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাছে সে কি আরো বেশী লাশ আশা করেছিলেন।

তর্ক করার সময় এখন নয় আমরা হাতে নিয়েছি স্পর্শকাতর বাঙ্গালী জাতির কলঙ্ক মুছার যুদ্ধাপরাধীর মত এক শক্তিধর রাজনিতীবিদদের বিপক্ষে যুদ্ধে নামা,করেছি সমাপ্ত জেল হত্যার মামলার রায়,করেছি শুরু বি ডি আর পিলখানা হত্যা মামলা বড়ই কষ্ট হয় যখন পিলখানায় আমাদের দেশের সম্পদ, বড় বড় অফিসারদের অকাল মৃত্যুর দৃশ্যের কথা মনে পড়ে কি অপরাধ ছিল তাদের হয়তো এর প্রকৃত মূল কারন এবং উসকানি দাতা আমরা আমজনতা কোন দিনই  আর জানতে পারবনা যা রাজনিতীবিদেরা জানে।এ সমস্ত কাজগুলোকে কার্যকর করতে না পারলে দেশ হয়তো আবার অন্ধকারে চলে যাবে তাই বড় প্রয়োজন ছিল দুই নেত্রী ঐক্যতা।যা এখন বড়ই দুস্প্রাপ্য।

 

১ Likes ৩ Comments ০ Share ৬২৩ Views