হুমায়ুন আহমেদের একটা উপন্যাসের নাম আছে মেঘের উপর বাড়ি । সেই উপন্যাস আমার পড়া হয়নি । তবে মেঘের উপরের বাড়িতে একদিন অবস্থান করে আমি বুঝেছি ওখানে বসে নিঃসন্দেহে একটা উপন্যাস লিখে ফেলা যায় । বুঝতে পারছেন না ? কোন জায়গার কথা বলছি ? জায়গাটার নাম পাসিং পাড়া । ইহা একটি আদিবাসী গ্রাম । কেওকারাডাং পর্বত থেকে পূর্ব দিকের ঢাল বেয়ে ১০/১৫ মিনিটেই ওখানে পৌছে যাওয়া যায় । যার উচ্চতা ৩০৬৫ ফুট । ইহাই বাংলাদেশের সব চেয়ে উঁচু গ্রাম ।
(২) কেওকারাডাং এর চুড়ায় দাড়িয়ে পাসিংপাড়া দেখা যায় না, তবে তবে পুব দিকের ঢাল বেয়ে কিছুটা পথ পার হলেই উপর থেকে দেখা যাবে পাসিংপাড়ার এমন রুপ ।
(৩/৪) মেঘের ভেলার অনেক উপরে পাসিংপাড়া দেখতে খুবই চমৎকার, তবে এখানকার আদিবাসী / উপজাতিদের বিশাল একটা কষ্ট হলো অন্যান্য গ্রামগুলোতে যেমন ঝরণা থেকে পাইপের সাহায্যে ২৪ ঘন্টা অতি সহজেই পানির সরবরাহ পেয়ে থাকে এখানে সেটা নেই । কারণ কেওকারাডাং ছাড়া আসে পাশের সব পাহাড় এই পাহাড় থেকে নিচু, আর কেওকারাডাংএ কোন ঝর্ণা নাই । তাদের অনেক নিচের ঝর্ণা থেকে পানি সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হয় আর বৃষ্টির পানি যতটা সম্ভব ওরা জমিয়ে রাখার চেষ্টা করে ।
(৫) পাহাড় বেয়ে ক্লান্ত বন্ধুরা পাসিংপাড়ায় পৌছে গায়ের জামা খুলে একটু ঠান্ডা হাওয়া লাগিয়ে নিচ্ছে……
(৬/৭) পাহাড়ী ঝিঁঝিঁ পোকা । পুরো পাহাড়কে যারা মিষ্টি সূরের আবেশে মাতিয়ে রাখে সর্বদা, যার সুরেলা কন্ঠ পাহাড়ে পাহাড়ে প্রতিধ্বনিত হয়ে পর্যটকদের বিমোহিত করে । পাসিংপাড়ার এক ক্ষুদে আদিবাসীর হাতে সে বর্তমানে বন্দি ।
(৮) ওদের ধর্মীয় উপাসনালয়……..
(৯/১০) এদিন ওদের ধর্মীয় বড় কোন উৎসব ছিল, তাই আগের দিন সারারাতই ধর্মীয় আরাধনার সূর মাইকে ভেসে আসছিল, আর খানা-পিনার আয়োজন ও ছিল বেশ । শিশু থেকে বুড়ো সবাই উপস্থিত ছিল এই উৎসবে ।
(১১) পাসিং পাড়ার একটা দোকানে আমরা……
(১২) মেঘের উপরের এই গ্রামটিতে বম এবং মুরংদের বসবাস ।
(১৩) বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য মাটিতে খোড়া গর্ত ।
(১৪) পাসিং পাড়া থেকে পুবের ঢাল বেয়ে খাড়া নামলেই জাদিপাই পাড়া । পাসিং পাড়ায় দাড়িয়ে জাদিপাই পাড়ার এমন সুন্দর ছবি তোলা যায় অনায়াসেই। যেন পটে আঁকা কোন ছবি ।
(১৫) সব শেষে আমি সহ ভ্রমণ বাংলার আমরা কয়েকজন
Comments (6)
"ভালোবাসা আজ
সাজানো-গোছানো টুইট,
ভালোবাসা আজ
কমেন্ট কার কতো সুইট।"
বাহ দারুন তো।
শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।
ধন্যবাদ প্রিয় রব্বানী ভাই।।
শুভেচ্ছা
সব এই আধুনিকতার প্রভাব ভাই। ভালো লাগলো।
ধন্যবাদ আপনাকে । আপানার ভালোলাগাটুকু আমার কাছে খুব মূল্যবন।
শুভেচ্ছা নিরন্তর আর ভালোবাসা
দারুন
আন্তরিক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
পাশে পেয়ে ভালো লাগলো।
শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রলো