Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

মুক্তিযুদ্ধের বীর সেনানী কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তমের ৭৫তম জন্মদিনে শুভেচ্ছা


“নিঃশ্বঙ্ক চিত্তের চেয়ে জীবনে আর বড় সম্পদ নেই” এই উক্তিটি যার তিনি কর্নেল আবু তাহের বীরউত্তম। কর্নেল আবু তাহের একজন বাংলাদেশী মুক্তিযোদ্ধা এবং বামপন্থী বিপ্লবী নেতা। ১৯৫২ সালে ছাত্রাবস্থায় ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন কর্নেল আবু তাহের। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তিনি ১১নং সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। কর্নেল তাহেরের সব ভাইবোন মুক্তিযুদ্ধে তাঁর নেতৃত্বে ১১ নং সেক্টরে যৌথভাবে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাহের সম্মুখ সমরে আহত হন, ও এক পা হারান। ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর আসামে জন্মগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে তাহের প্রথমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্নেল পদে দায়িত্ব পালন করেন, কিন্তু মতবিরোধের জন্য পদত্যাগ করেন।মুক্তিযুদ্ধের এই বীর সেনানীর আজ৭৫তম জন্মদিন। জন্মদিনে তাঁকে স্মরণ করছি গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায়।

আবু তাহের আসাম প্রদেশের বাদারপুরে ১৯৩৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। পরে আসাম থেকে তাঁর পরিবার বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলায় আসেন। তাঁর বাবার নাম মহিউদ্দিন আহমেদ এবং মায়ের নাম আশরাফুন্নেছা। আবু তাহের ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন অসম্ভব মেধাবী। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করেন চট্টগ্রামের প্রবর্তক স্কুল ও কুমিল্লার ইউসুফ স্কুল থেকে। পরবর্তীতে ১৯৫৯ সালে সিলেটের এমসি কলেজ থেকে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পরে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করেন। ছাত্রাবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।

১৯৬০ সালে শিক্ষকতা ছেড়ে সেনাবাহিনীতে যোগদেন। ১৯৭১ সালে তিনি ১১ নাম্বার সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। ৭১’এর ১৪ নভেম্বর কামালপুরে সম্মুখ যুদ্ধে এই বীর সেনানী গোলার আঘাতে আহত হয়ে তার বা পা হারান। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল নিযুক্ত হন। একই বছর সেনাবাহিনী হতে পদত্যাগ করে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের আকাঙ্খায় জাসদীয় রাজনীতিতে যোগদান করেন। দেশের রাজনৈতিক পটভূমি পরিবর্তনের পর ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর জাসদ, গণবাহিনী ও সৈনিক সংস্থার উদ্যোগে কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে সিপাহী জনতার অভ্যূত্থান সংঘঠিত হয় যা খালেদ মোশাররফ সরকারের পতন ঘটায়, এবং জেনারেল জিয়াউর রহমানকে কারামুক্ত করে। এর পরবর্তী সময় জিয়াউর রহমানের সরকারের আনীত এক হত্যা মামলায় জাসদ নেতৃত্বসহ কর্নেল তাহের গ্রেফতার হয়ে সামরিক আদালতে বিচারের সম্মুখীন হলে কর্নেল ইউসুফ হায়দার সহ তাঁকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ জুলাই এই মহান স্বাধীনচেতা অকুতোভয় সৈনিক মৃত্যুবরণ করেন।

আজ তাঁর ৭৫তম জন্মদিন। জন্মদিনে এই বীর সেনানীর প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।

০ Likes ২ Comments ০ Share ৫০১ Views

Comments (2)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    যে যতই ভন্ডামি করুক। অসতের পতন হবেই।

    • - বাসুদেব খাস্তগীর

      একদম ঠিক বলেছেন।

    - ছাইফুল হুদা ছিদ্দিকী

    ইসলাম ধর্মে ঘোষ দেওয়া এবং নেওয়া দুটোই নিষিদ্ধ ।সব ধর্ম ও একই এবং মানবিক দিক থেকেও এটা বন্ধ হওয়া উচিৎ।কথা হল আমি এ বিষয়ে কতটুক মানছি।অসতের পতন সময়ের ব্যপার।

    • - বাসুদেব খাস্তগীর

      বন্ধতো হচ্ছেই না বরং আরো বাড়ছে । প্রশাসনে কাজে গেলে টের পাবেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

    - লুব্ধক রয়

    ভালো লেগেছে লেখা।

    ধন্যবাদ।

    • - বাসুদেব খাস্তগীর

      ধন্যবাদ

    Load more comments...