সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আপনাদের সামনে আমার ছোট একটি অনুবাদ।
মূল আরবী গল্পটি পড়তে হলে এখানে জাঁতা দিন।
কথিত আছে যে, এক মালি প্রতিদিন তার বাগানের গাছগুলোর যত্ন নিত। গাছে পানি দেয়া থেকে নিয়ে গোড়ায় মাটি দেয়া, আগাছা ছেঁটে দেয়া এবং অপ্রয়োজনিয় ঘাশগুলো পরিষ্কার সে করত।
বাগানের গাছগুলো বড় হয়ে এবং ফল ধরে ডাল-পালাগুলো ভরে উঠল। একদিন বিকালে একটি ক্ষুধার্ত শিয়াল ঐ বাগানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল।
সে বাগানের পাঁকা ফলগুলো দেখে জিহ্বার পানি ফেলতে লাগল এবং তা খাওয়ার লোভ করল। কিন্ত সে কীভাবে তাতে প্রবেশ করবে? কীভাবে এই উঁচু বেড়া অতিক্রম করবে?
শিয়াল বেড়ার পাশ দিয়ে ঘুরতে লাগল এবং তার নিচের দিকে একটি গর্ত পেয়ে সেই গর্ত দিয়ে অনেক কষ্টে প্রবেশ করল। প্রবেশ করেই এমনভাবে ফল খেতে শুরু করল যে, তার পেট ফুলে গেল।
যখন সে বের হওয়ার ইচ্ছা করল তখন আর বের হতে পারে না। সে মনে মনে ভাবল, আমি মৃতের মত পড়ে থাকব। যখন মালি আমাকে এভাবে দেখবে তখন আমাকে বেড়ার বাইরে ফেলে দিবে এবং আমি পালিয়ে বেঁচে যাব।
মালি তার বাগানে এসে দেখল গাছ-পলার ডাল ভেঙ্গে ফেলা এবং খোসা এদিকে সেদিকে ছড়িয়ে ফেলা। সে বুঝতে পারল যে, বাগানে কেহ প্রবেশ করেছে। সে খোঁজতে লাগল। সে দেখতে পেল একটি শিয়াল যমিনে পড়ে আছে। তার পেট ফোলা, মুখটি খোলা এবং চোখ বন্ধ।
মালি বলল, তোর বিনিময় পাবে হে ধূর্ত! এখনই কুড়াল নিয়ে আসছি এবং গর্ত খোড়ে তোকে জীবিত কবর দেব। যাতে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে না পড়ে।
শিয়াল ভয় পেয়ে গোপনে পালালো এবং ভীত অবস্থায় রাত্রি যাপন করল। ভোর বেলা যে গর্ত দিয়ে প্রবেশ করেছিল তা দিয়ে বের হয়ে গেল। অত:পর বাগানের দিকে থাকিয়ে বলল, তোমার ফল সুস্বাদু এবং তোমার পানি মিষ্ট কিন্ত আমি তোমার কাছ থেকে লাভবান হতে পারিনি।
এসেছিলাম ক্ষুধার্ত অবস্থায় আবার চলে গেলাম সেই ক্ষুধার্ত অবস্থায়। এর মধ্যে আবার জীবিত কবরে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল!
কোন ভুল হলে দয়া করে বলে গেলে আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব।
Comments (3)
খুব সুন্দর কবিতা । কিন্তু মন্তব্য নাই :(
ছড়া কবিতা মনে হল ।অসাধারণ ।
বন্ধু খুব ভালো লাগলো তোমার কবিতা।