কোন পন্যের প্রচার বা প্রসারের জন্য যে পন্থাগুলো অবলম্বন করা হয় সেগুলোর মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে কোন প্রফেশনাল কর্মীর মাধ্যমে ঐ পন্যের বাজার ধরার একটি কৌশল ।এই ক্ষেত্রে সাধারনত একটি পন্য, প্রফেশনাল কর্মী বিভিন্ন বিক্রয় কেন্দ্র বা বিপনীগুলোতে নিয়ে গিয়ে পন্যের গুনগত ও ব্যবহারিক মান সম্পর্কে সব কিছু দোকানীর কাছে তুলে ধরে ।তারপর যদি পন্যটি পছন্দ হয় এবং তার সকল শর্ত পূরন হয় তবেই পন্যের জন্য অর্ডার দেওয়া হয় ।কিন্তু যারা এই পন্যের বিপনননে কাজ করছেন তাদের কথা কি আমরা ভাবছি ? পেশা হিসাবে নিলেও এর পেছনের যে না পাওয়াগুলো আছে সেটাও কিন্তু একটা চরম সত্য উপলব্ধি ।এই পেশার মধ্যে সবচেয়ে বেশী লোক নিয়োজিত রয়েছে ঔষধ শিল্পে ।এক দোকান থেকে অন্য দোকান ঘুরে ঘুরে যেন সারাদিনই কেটে যায় একটি টার্গেট পুরনের লক্ষে । দেশের সব্বোর্চ্চ ডিগ্রী প্রাপ্ত একজন মানুষ তার কথার সমস্ত ধার দিয়ে মন জয় করে পন্য বিক্রি করে আসে । এভাবেই চলতে থাকে তাদের জীবন । একজন ডাক্তারের সাথে সাক্ষাতের জন্য একজন রিপ্রেজেন্টেটিভ বসে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা । তারপর ডাক্তারের সহকারীকে কিছু উৎকোচ না দিলে বা মিস্টি কথা না বললে যেন ভেতরে ঢোকাই অসম্ভব কাজ । কখনও ঔষধের স্যম্পল বা কখনও একটি প্যাড দিয়ে সহকারীর মন জয় করে ঢুকতে হয় ডাক্তারের রুমে । পেশার জন্য নিজেকে সম্পূর্ন বিশ্বস্ত ভাবাতে পারাই যেন একজন রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ হয়ে দাঁড়ায় ।
শুধু কি তাই একটি পন্যকে জনপ্রিয় করার জন্য কোম্পানি ডাক্তারদের সকল সুবিধা দেওয়ার আশ্বাস দেয় ।বিশেষ করে ছোট কোম্পানিগুলো তাদের নিম্নমান সম্পন্ন পন্যের বাজার জাত করার জন্য অপেক্ষাকৃত বেশী সুবিধা দেওয়ার অফারগুলো দিয়ে থাকে । এই অফারগুলোই পৌছে দেয় বা দিতে হয় এই রিপ্রেজেন্টেটিদের যারা টার্গেট পূরনের লক্ষে অবিরাম কাজ করে যায় সারা দিন । একদিকে মানুষের মন জয় করা অন্যদিকে নিজের কিছুটা হলেও অন্যের হাতে সমর্পন যেন শিক্ষিত হওয়ার একটা বোঝাই কাধেঁ চলে আসে । যখন কোন পন্যর প্রয়োজন না হয় তখন একেবারে অশিক্ষিত কোন মানুষের কাছেও হেনস্থা হতে হয় অনেকবার ।
মাকেটিং ভালো পেশা অবশ্যই । কিন্তু উচ্চ শিক্ষিত মানুষগুলো যখন তার স্বত্তা বিক্রি করে শুধুমাত্র তার জীবিকার জন্য একজন অতি সাধারন মানুষের দ্বারা হেনস্তা হয় তখন পেশার চেয়েও আত্বসম্মান বোধে যে আঘাত এসে লাগে তা নিত্যান্তই কষ্টেরই । শিক্ষিত মানুষদের মধ্যে নিজেকে একটু অন্য রকম ভাবা বেশী কিছু নয় । শিক্ষা বলতে এমন যে, সে সমাজের একটি একটি করে গুরু দায়িত্ব নিয়ে ফেলে ।কিন্তু পেশার জন্য যদি সে হেনস্থাই হতে থাকে তবে তা সত্যিই খুব অস্বস্তিকর । মার্কেটিং ব্যপারটির ক্ষেত্রে ক্রেতা এবং বিক্রেতার মধ্যে সামজ্ঞস্য সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য নতুন করে ভাবা দরকার । যেকোন পন্যের মার্কেটিং হওয়ার আগে বার বার যাচাই করার নিয়ম চালু থাকলেও আমাদের বিএসটিআই সে দায়িত্ব কতটুকু পালন করছে তাও ভাববার বিষয় । প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে যোগাযোগের ক্ষেত্রটি উন্নত হলে একটি অনাকাঙ্খিত র্দুব্যবহারের হাত থেকে বাঁচতে পারে একজন শিক্ষিত মানুষ । পেশাটি হতে পারে সম্মানের এবং সত্যিকারের জীবিকা অর্জনের ।
Comments (0)
বেশ সুন্দর লিখেছেন গল্পটি জিয়াউল ভাই। অনেক অনেক ভালোলাগা আর শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ শিল্পী আপা। শুভেচ্ছা জানবেন।
দাদা
৫ম ভোট দিলাম
আমাকেও ভোট করুন সংগীত বিভাগে
ধন্যবাদ লিটন ভাই।
গল্পটা পড়ে কেন জানি তৃপ্তি পেলাম না জিয়াউল। হয়তো আপনার কাছে প্রত্যাশাটা বেশী থাকে বলে এমন হয়েছে। নামকরণটা বেশ ভারী কিন্তু সেই তুলনায় কাহিনীর গভীরতা অনেক কম বলে মনে হল। কিন্তু আপনার লেখনী ঠিক আছে, বিশেষ করে বাক্য গঠন এবং শব্দের গাঁথুনি। অনেক শুভ কামনা রইলো জিয়াউল।