চিত্রিতা অন্ধকার চিনত কিন্তু ভয় পেতনা।কেন না ওখানে যারা যেত বা থাকত, তাদের সবাই তো চেনা।পাড়ার।মাঝে মধ্যে বাইরেরও দেখেছে।
তাছাড়া এসব তো এখন সর্বত্র।একে কেউ আর অন্ধকার বলেও না।
বলে - একটু আধটু রিলাক্স করতেই হয়।জীবনের এটাই তো চার্ম।কি হবে নিরামিষ থেকে!
সন্ধ্যেতে পড়ে ফেরার সময়, দুপুরে বাজারে যাওয়া আসায়, কিংবা বন্ধুদের সাথে চলাফেরার আড্ডায় এসব ওপেন দেখেছে চিত্রিতা।কোনভাবে কারও কাছে অন্ধকার বলে চিহ্নিত হয়নি।
কিন্তু চিত্রিতা এর ওর মুখে মুখে খবরে স্কুলের বন্ধুদের কাছে জেনেছে বুঝেছে, কিংবা ভিড়ের মাঝে বা একা একা চলার পথে কিছু অপ্রাসঙ্গিক মন্তব্যে বুঝেছে, এ অন্ধকার।সেখানে কখনও কখনও হঠাৎই চেনা পরিচয় অচেনা হয়ে যায়।
মা বলেছে – একটু সহনশীল হতে হয়।
বন্ধুরা বলেছে – মেয়ে হওয়ার এটাই সাজা।
বাবা দাদাকে তো বলাই যায়নি।পাড়া প্রতিবেশী মিশ্র।মেয়েরা যেন কেউ কেউ এটাই চায় – ওরে আমার সতী রে! কেউ নিজের ঘরে দেওয়াল তুলে নিরাপদ ভেবেছে।কেউ বেপরোয়া।আর ছেলেরা সব দায়, দোষ ঘুরেফিরে মেয়েদের দিকে তাক করেই রেখেছে।
চিত্রিতা মায়ের কোলে মুখ গোঁজে।আবছা অন্ধকারে চোখ খোলে। ঘ্রাণে কিছু মানুষের গন্ধ পায়।তারা কেউ ছেলে বা মেয়ে নয়।
-০-০-০-