Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রাজু আহমেদ

৯ বছর আগে

মানসপটে অঙ্কিত বাংলাদেশ আর বাস্তব বাংলাদেশে অনেক অমিল

বাংলাদেশের প্রখ্যাত বিজ্ঞানী, লেখক ও অধ্যাপক জাফর ইকবাল স্যারের ‘না, বাংলাদেশ মারা যায়নি’ শিরোনামে একটি চমৎকার লেখা বাংলাদেশের কয়েকটি জাতীয় সংবাদপত্রে ১৯ ডিসেম্বর ছাপা হয়েছিল । লেখাটিতে মূলত দু’জন লেখকের উক্তির সমালোচনা এবং বাংলাদেশের অর্জন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনার কথা লেখক নিপুন সৃষ্টি কৌশলে ফুঁটিয়ে তুলেছেন । জাফর ইকবাল স্যারের প্রায় সকল লেখাই পড়ার কারণে তাকে অত্যন্ত আশাবাদী মানুষ হিসেবেই জানি । অধ্যাপক জাফর ইকবাল স্যার যে দু’জন লেখকের সমালোচনা করেছেন তাদের একজন জিয়া হায়দার । যিনি বাংলাদেশকে নিয়ে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে মৃতদের দেশ !’ । অন্য যে লেখকের লেখার সমালোচনা করা হয়েছে তিনি দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবি আবুল মকসুদ । যিনি লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ হচ্ছে মৃত চিন্তাভাবনার দেশ’ । শিরোনাম দু’টি দেখলে এবং এ বিষয়ক লেখা পড়লে শুধু জাফর ইকবাল স্যারের নয় বরং প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের অন্তরে আঘাত করবে  । বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা বলে শেষ করার নয় । এদেশের ভূ-পৃষ্ঠে যতটা সম্ভাবনা তার চেয়ে ভূ-গর্ভে সম্ভাবনার ক্ষেত্র অনেক বেশি । যে দেশে মোট জনসংখ্যার ৩০ ভাগ তরুন সে দেশের ভবিষ্যত উজ্জ্বল-একথা চোখ বন্ধ করে বলে দেয়া যায় । তবে জাফর ইকবাল স্যারের মত এ দেশটাকে নিয়ে কতজন ভাবেন ? এক বা দু’জন জাফর ইকবালদের কি দেশের চেহার পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা আছে ? বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে জাফর ইকবাল স্যারের লেখালেখি কিংবা শহীদ মিনারে স্ব-স্ত্রীক অবস্থান কতটা কাজে এসেছে ? দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট যে, প্রতিটি পাবিলিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছে এবং তা পেয়ে এদেশের সিংহভাগ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে তবুও প্রশাসন থেকে এখনো ঢালাওভাবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ব্যাপারটি প্রমাণিত নয় বলে উড়িয়ে দেয়া হয়েছে । বাংলাদেশের প্রাকৃতিতে বয়সের বিবেচনায় জাফর ইকবাল স্যারকে প্রৌঢ় হিসেবেই বিবেচনা করতে হবে । এ বয়সে এসে জাফর ইকবাল স্যারদের মত মানুষদের কাজ করার শারীরিক ক্ষমতা খুব বেশি থাকে না বরং তারা দিক নির্দেশনার মাধ্যমে তার অনুজদের দিয়ে রাষ্ট্রের কল্যানে অনেক কাজ করাতে পারেন । জাফর ইকবাল স্যারের মত যদি কিছু নিষ্ঠাবান মানুষ সমাজের প্রতিটি স্তরে থাকত তবে দেশের পরিবর্তন নিশ্চিত ছিল কিন্তু আমরা কয়জন জাফর ইকবালকে পেয়েছি ? জাফর ইকবাল স্যারকেও স্বীকার করতে হবে, তিনি দেশকে নিয়ে যতটা আশাবাদী সে তুলনায় তার অনুজরা কতটা স্বপ্ন এ দেশেকে নিয়ে দেখেন ? জাফর ইকবাল স্যার দেশের অনেকগুলো অর্জনের কথা তার লেখায় উল্লেখ করেছেন । এমনকি দেশ যা অর্জন করেছে তার সবটা তিনি ফুটিয়ে তুলেননি । জাফর ইকবাল স্যারের আশার চেয়েও দেশ বেশি অর্জন করেছে কিন্তু দেশের স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছরে এটা কি যথেষ্ট ? আমাদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা কি বিশ্ব দরবারে আরও এগিয়ে যেতে পারতাম না ? জিয়া হায়দার কিংবা তরুণ অনেক লেখক কিংবা বক্তার মুখ দিয়ে যে হতাশার কথা বের হয়, এটা এদেশের অধিকাংশ তরুণদের কথা । তারুণ্যের এ শক্তি নিশ্চয়ই ধ্বংস স্তুপের উপর দাঁড়িয়ে আবার নতুন করে সৃষ্টি সূখের উল্লাসে মাতবে । তবে তরুনদেরকেও তো সে সুযোগ করে দেয়ার জন্য রাষ্ট্র কিংবা কোন উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে । জাফর ইকবাল স্যার ও পাঠকদের অবগতির জন্য লেখার পরবর্তী অংশে কিছু পরিসংখ্যান দেয়ার চেষ্টা থাকবে যাতে আমাদের দেশের সম্ভাবনা এবং সম্ভবনার প্রতিকূলের প্রতিবন্ধকতা স্পষ্ট হয় ।

 

বাংলাদেশের রাজনৈতিক সহিংসতা নিয়ে ২০ ডিসেম্বর বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে । যে রিপোর্টে বিশ্বের ১৯৭ দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ২১ নম্বর স্থানে রাখা হয়েছে । আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান ম্যাপলক্রফটের গবেষণায় বাংলাদেশকে শুধু ২১তম স্থান দিয়েই শেষ করেনি বরং আরও অবনতির আশংঙ্কা করা হয়েছে । তারা স্পষ্ট করে রাজনৈতিক সংহিসতার জন্য প্রধানত দেশের দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ এবং বিএনপিকে দায়ী করেছে । তৃতীয় স্থানে রেখেছে জামায়াতে ইসলামীর নাম । ম্যাপলক্রফটের বরাতে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দ্য ষ্টেট অব গভর্ন্যাস বাংলাদেশ-২০১৩’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই উঠে এসেছে । প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে সংবাদপত্রের সংবাদ, জরিপ, বিভিন্ন সংস্থার তথ্য-উপাত্ত একত্রীকরণের মাধ্যমে । এছাড়াও দেশের বিশিষ্ট নাগরিকদের সাক্ষাৎকার ও বইয়ের তথ্য নেওয়া হয়েছে । প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর‌্যন্ত সারা দেশে ২ হাজার ৭২৩টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে । প্রতিবছর সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ । প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর‌্যন্ত ৫৮ শতাংশ সহিংসতার জন্য ক্ষমতাশীন আওয়ামীলীগ দায়ী । অন্যদিকে ২০১৩ যতগুলো রাজনৈতিক সংহিসতা হয়েছে তার ৭৬ শতাংশের জন্য বিএনপি-জামাআত দায়ী । উল্লেখ্য যে, আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে ২৭ শতাংশের জন্য দায়ী করা হয়েছে । পরের অবস্থানে রয়েছে ছাত্রদল । তারা জড়িত ৫ শতাংশ এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে ৪ শতাংশ ঘটনায় । যদিও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার পাঁয়তারা চলছে কিন্তু জরিপ বলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা । রাজনৈতিকভাবে এমন সহিংসতা চললে সেখানে আশার চিত্র কিছুটা ম্লান হবে সেটাই বোধহয় স্বাভাবিক । বাংলাদেশকে ঘুরে ফিরে যে রাজনৈতিক দলগুলো নেতৃত্ব দিবে তাদের এমন চিত্র দেশের নাগরিককে স্বস্তি দেয়ার সম্ভাবনা রাখে ?

 

দুর্ভাগ্যের হলেও সত্য, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ অন্যতম একটি দুর্নীতিগ্রস্থ দেশ হিসাবে পরিচিত । স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের বয়স দীর্ঘ ৪৩ বছর হলেও কেবল দুর্নীতির কারণে দেশ তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে আজও পৌঁছতে পারেনি । বিভিন্ন মেয়াদে দেশের শাসন-ক্ষমতায় যারা আরোহন করেছে তারা দেশবাসীকে রঙিন রঙিন স্বপ্নে বিভোর রাখলেও দুর্নীতির কারণে সে স্বপ্নের পূর্ন বাস্তবায়ণ হয়নি । বিশ্বের বুকে কোন মহৎ কাজে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ণ হতে না পারলেও দুর্নীতিতে দেশটি ধারাবাহিকভাবে দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে (২০০১-২০০৫) । গত ৩রা ডিসেম্বর ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই) বিশ্বের ১৭৫টি দেশের মধ্যে দুর্নীতিগ্রস্থের ক্রমান্বয় করেছে । ০-১০০ স্কেলের মধ্যে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সে রিপোর্টে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪তম । ২০১৩ সালে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল তাতে ১৭৭টি দেশের মধ্যে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬তম । প্রকাশিত তথ্যে বাংলাদেশের আবারও অবনতির নির্দেশ দিয়েছে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে জালিয়াতি, ঘুষ বাণিজ্য, নিয়োগ বাণিজ্য, তদবির বাণিজ্যসহ যেভাবে বিভিন্ন অবৈধ বাণিজ্যের কাছে দেশের সর্বমহল নতজানু হয়েছে তাতে দেশের ভবিষ্যত যে কোন পথে যাচ্ছে তা সহজেই অনুমেয় । দুর্নীতির কারণে দেশের সর্বত্র অস্থিরতা বিরাজ করছে । ক্ষমতাওয়ালারা আরও ক্ষমতাশালী এবং অত্যাচারিতরা আরও নিরর‌্য্যাতিত হচ্ছে । একপক্ষ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছে অন্যপক্ষ সর্বস্ব হারিয়ে রাস্তার ভিখারীতে পরিণত হচ্ছে । অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম মেগাসিটি ঢাকাকে বসবাসের অনুপোযোগী শহরের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে ।

 

আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশের সবক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবে । ছাত্ররাজনীতি নিয়ে অনেক সমালোচনা থাকলেও জাতির আগামীর জন্য শিক্ষার্থীদেরকে ছাত্ররাজনীতির সাথে জড়িত হতে হবে । কিন্তু বর্তমানে শিক্ষার্থীরা ছাত্ররাজনীতির নামে এসব কি করছে কিংবা শিখছে ? দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থির অবস্থা বিরাজমান । ছাত্ররাজনীতির সহিংসতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় বারবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে কিংবা ছাত্ররাজনীতির বলি হয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে অকালে জীবন দিতে হয়েছে । যে শিক্ষার্থীরা রাজনীতিতে সংক্রিয় অংশগ্রহন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আদর্শের চর্চা করবে সেই তাদের হাতে শোভা পাচ্ছে মরণঘাতী আগ্নেয়াস্ত্র । মুহুর্তেই একে অপরের প্রাণ সংহার করতেও দ্বিধা করছে না । যে ছাত্ররাজনীতির হাত ধরে জাতি মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কিংবা শেখ মুজিবুর রহমানের মত আদর্শ নেতা পেয়েছিল সেই তাদের উত্তরসূরী এই সকল ছাত্ররাজনীতিকরা-তা ভাবতেই অবাক লাগে । ’৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ’৬২ এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ’৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ’৬৯ সালের গণঅভ্যূত্থান এবং এগারো দফা আন্দোলন, ’৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধের উদ্দেশ্যে মুজিব বাহীনি গঠন কিংবা ১৯৯০ সালে স্বৈরশাসক এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক আন্দোলনে যে ছাত্ররাজনীতিকরা অংশগ্রহন করেছিল এবং বাঙালীর পক্ষে সফলতা বয়ে এনেছিল সেই শিক্ষার্থীদের সাথে আজকের ছাত্ররাজনীতিকদের তুলনা করার কি কোন উপায় আছে ? সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যমতে, ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর থেকে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গত ছয় বছরে ৩৯ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছে । এ সময়ে ছাত্রলীগ নিজেদের মধ্যে বা অন্য সংগঠনের সঙ্গে অন্তত ৪৩২টি সংঘর্ষে জড়িয়েছে । এতে নিহত হয়েছে অন্তত ৫৪ জন । নিজ সংগঠনের ৩৯ জনের বাইরে বাকি ১৫ জনের মধ্যে দু’টি শিশু এবং অন্যরা প্রতিপক্ষ সংগঠনের কর্মী বা সাধারণ মানুষ । এসব সংঘর্ষে আহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি মানুষ । পরিসংখ্যান বলছে, গত ছয় বছরে ছাত্রলীগের সংঘাত-সংঘর্ষের কারণে অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে । ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়েছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে । একাধিকবার বন্ধের ঘটনা ঘটেছে অন্তত পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে । এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চারবার এবং কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় তিনবারের জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়েছে । বারবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীদেরকে । ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার‌্যক্রম । দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতিরও বেহাল দশা । বিবিসিসহ বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় সংবাদ সংস্থার মতে, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক । সাধারণ মানুষের মানবাধিকার তো রক্ষা পাচ্ছেই না সাথে বিভিন্ন বেসরকারি মানবাধিকার কমিশনের প্রধান কিংবা এর সাথে জড়িত ব্যক্তিদের উপরও বিভিন্ন সময় নেমে আসে জুলুম-নির‌্যাতনের খড়গ ।

 

আমি জাফর ইকবাল স্যারের মত অতটা আশাবাদীও নই এবং জিয়া হায়দার কিংবা আবুল মকসুদের মত অতটা নিরাশও নই । দেশটা পুরো সুস্থ আছে কিংবা একেবারে ব্যর্থ হয়েছে এমন কথা আমি বলিনা । তবে বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ব্যর্থ হতে খুব বেশি সময় লাগবে না । আবার শক্তভাবে হাল ধরলে দেশে মারাও যাবে না । দেশের প্রতি টান থেকে প্রশ্ন জাগে, আমাদের দেশটার কি এমন পথে যাত্রা করার কথা ? দেশের প্রতি ভালোবাসা রেখে এদেশের অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগালে দেশটা স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৩ বছর পরে বর্তমানের মত এমন বেহাল অবস্থায় থাকত না । সকল বাঁধাকে উপেক্ষা করে জাফল ইকবাল স্যারের পক্ষ নিয়ে আমিও দেশকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধি । মনে-প্রাণে বিশ্বাস করি, আমার দেশটা উন্নতি করবেই । এমন শক্ত কথা বলে বসে থাকলেই শুধু হবে না বরং সকলকে মিলে দেশের তরে কাজ করতে হবে । সকল ভেদাভেদ ভূলে দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে নিকট ভবিষ্যতেই যেন বলতে পারি, আমাদের মানসপটে অঙ্কিত বাংলাদেশর চিত্রের সাথে বাস্তব বাংলাদেশের চিত্রের কোন অমিল নাই বরং চিত্রের চেয়ে বাস্তবে বেশি-ই আছে । বিজয়ের মাসে যেন শপথ করে বলতে পারি, আমাদের দেশকে গড়ব রাজনৈতিক সহিংসতা মুক্ত, দুর্নীতি মুক্ত । থাকবেনা কোন অনাচার কিংবা অত্যাচার । দেশের স্বাধীনতার জন্য ৩০ লাখ তাজা প্রাণ এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এ দেশেটা যেনো স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ করে গড়তে পারি । কষ্টে অনেক হতাশার কথা আসে কিন্তু সেটা তো আর মনের কথা নয় । বুকে হাত দিয়ে বলছি, আমার দেশকে নিয়ে আমার চেয়ে উজ্জ্বল স্বপ্ন আর কেউ বুনে না ।

 

রাজু আহমেদ । কলামিষ্ট ।

raju69mathbaria@gmail.com

 

 

০ Likes ০ Comments ০ Share ৩৬৪ Views

Comments (0)

  • - আলমগীর সরকার লিটন

    শব্দ চয়ণ অনেক সুন্দর

    • - মোকসেদুল ইসলাম

      ধন্যবাদ