কিছু কিছু লেখা লিখার আগে হাজার বার ভাবতে হয়, এই লেখাটার প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে।
এই কথাটা যেহেতু র্ধম নিয়ে আর কথাটা কিছু কিছু মুসলমান এর গায়ে লাগতে পারে তাই আগেই বলে রাখি,আমি নিজে একজন মুসলিম আর আমার জন্মও একটা মুসলিম পরিবারে।
যারা ধর্ম নিয়ে মুটামুটি জানেন তার নিশ্চয় এটাও জানেন, বাড়ী বাড়ী মসজিদ হওয়াটা কেয়ামতের লক্ষণ।
গতকাল রাতে এক বড় ভাই এর সাথে কথা হচ্ছিল এই মসজিদ নিয়ে। ৪৮ ফুট আয়তনের একা মসজিদে ৮টা এসি,২০টার উপরে ফ্যান। রাজকীয় বিষয়, অথচ ইসলাম বলে অপচয় কারী শয়তানের বন্ধু।
আমার বন্ধুর ভাষ্য মতে এখানে আট রকমের মানুুষ আসে নামাজ পড়তে যার মধ্যে ভালো মানুষের চেয়ে খারাপ মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই আট রকমের মানুষের মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য আটটা এসি। তারউপরে আবার ফ্যান। মসজিদ যেন নয় এন্টার্কটিকা মহাদেশ।
ঠিক তার পাশেই আরেকটা মসজিদ,নন এসি। এখানেও মানুষ নামাজ পড়ে আবার এসির মধ্যে মানুষ নামাজ পড়ে। উনার ভাষ্য মতে এই এসি মধ্যে মানুষগুলো জমে গেলেও এসির পাওয়ার কমে না,কিভাবে উনারা থাকেন এখানে। তারপরেও মানুষগুলো নামাজ পড়ে এটাই বড় কথা।
একটু পিছনের দিকে যাই, এই মসজিদে এত সুবিধা আসার কারণ তারাবির নামাজ। কিছু মানুষের গরম সহ্য হয় না তাই এই ব্যবস্থা।
উনি যখন ঠিক ঐ মসজিদের আশে পাশেও যান তখন অপচয়কারী শয়তানের ভাই দেয়াল লেখন দেখে উনার হাসি পায়। কারণটা যথেষ্ট শক্তিশালী।
এবার আমার কথায় আসি, আমি দেখেছি অর্থের অভাবে অনেক মসজিদের টিনের চালে ফুটো,আর এই বর্ষায় ঠিক মত নামাজ পড়া যায় না সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই। আবার কিছু কিছু মসজিদের এত বেহাল দশা যে তার সম্পর্কে লিখে প্রকাশ করাও আমার জন্য দূর্বোধ্য।
এই রকম হওয়ার পিছনেও কিছু কারণ আছে। মসজিদ এমন একটা জায়গা যেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ নামাজ আদায় করতে যায়। এখানে চোর-বাটপার-ধনী-গরিব সব এক কাতারে দাড়ীয়ে নামাজ আদায় করে। মত বিরোধ হয় ভিন্ন বিষয়ে। কিছু কিছু সময় সেই বিরোধ আবার ঝগড়াতে পরিণত হয়। ফলাফল হয় নিত্যনতুন মসজিদ তৈরি। তৈরি হয় সামাজিক বিচ্ছেদ।
আমার এলাকায় আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মাত্র মসজিদ ছিল একটা। অনেক দূরের মানুষ আসত নামাজ পড়তে। সপ্তাহের অন্তত্য একদিন অথাৎ শুক্রবার এলাকার সব মানুষগুলো এক সাথে হত, তাদের ভিতরে আন্তরিকতা তৈরি হত। দেখা সাক্ষাৎ হওয়া কথা বলা পরস্পর খোজ-খবর নেওয়া অনেক বিষয় থাকত সেখানে। যারা প্রতিদিন পাচ-ওয়াক্ত নামাজ পড়ত তাদের কাছে পুরু এলাকার খবর থাকত।
এখন মসজিদ কম করে হলেও পাচঁ-সাতটা হবে।
মানুষ বাড়ছে তাই মসজিদ বাড়ছে, বড় বড় মুসলিম কমিউনিটি ভেঙে ছোট ছোট কমিউনিটি তৈরি হচ্ছে। ভাল কথা, আমার কোন আপত্তি নাই এখানে। কিন্তু সমস্যাটা ওখানেই যখন এই মসজিদ কেন্দ্রিক কমিউনিটিগুলো পরস্পর ঝগড়া বিবাদ-প্রতিযোগীতা শুরু করে মসজিদ নিয়ে।
কোন মসজিদ কত উন্নত, কোন মসজিদে কত সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি তখন বিরোধের কারণ হয়ে যায়।
আমার এলাকার সব থেকে পুরুনো মসজিদে অবস্থা এখন সব থেকে করুন, অথচ সদ্য প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলোর অবস্থা শুরুতে বর্ণনা করা মসজিদের মত।
কোথা থেকে আসে এই ফান্ড? কিছু মসজিদে দেশের বাইরের অনুদান থাকে, আবার কিছু থাকে সমাজের হর্তা-কর্তাদের সাহায্য। তবে অধিকাংশ মসজিদের আয়ের মূল উৎস হচ্ছে মানুষের সেচ্ছায় দানের অর্থ।
আমার কথাটা এখানে, এই বিলাসবহুল মসজিদগুলো এমন না করে যে সব মসজিদগুলো অর্থের অভাবে অবস্থা খারাপ সেগুলোর দিকে নজর দিতে পারে না? যেখানে মানুষের ধর্ম পালন করতে কষ্ট হয় সেখানে সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারে না? এই ধরণের অপচয়গুলো রোধ করে অন্য কোর ধমীয় কাজে ব্যবহার করা যায় না?ধর্ম বিলাসীতা পছন্দ করে না এই বিষয়টা কি এই মানুষগুলোর কানে যায় না?
আরেকটা কথা, কথায় কথায় টাকাওয়ালা মানুষগুলোর এই মসজিদ নির্মাণ বন্ধ না করা হলে এই মুসলিম কমিউনিটিগুলো ভেঙে দিনকে দিন ছোট হয়ে যাবে আর তাতে নিজেদের ভিতরেই দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মুসলিম সমাজগুলো গড়ে উঠে এই মসজিদ কেন্দ্রিক হয়ে এটা ত সবার জানা।
ধমীয় কর্তা ব্যাক্তিরা এই বিষয়গুলো একটু নজরে দিবে আশা করি। মহান সৃষ্টিকর্তা অামাদের সকলের মঙ্গল দান করুক। আমিন
এই কথাটা যেহেতু র্ধম নিয়ে আর কথাটা কিছু কিছু মুসলমান এর গায়ে লাগতে পারে তাই আগেই বলে রাখি,আমি নিজে একজন মুসলিম আর আমার জন্মও একটা মুসলিম পরিবারে।
যারা ধর্ম নিয়ে মুটামুটি জানেন তার নিশ্চয় এটাও জানেন, বাড়ী বাড়ী মসজিদ হওয়াটা কেয়ামতের লক্ষণ।
গতকাল রাতে এক বড় ভাই এর সাথে কথা হচ্ছিল এই মসজিদ নিয়ে। ৪৮ ফুট আয়তনের একা মসজিদে ৮টা এসি,২০টার উপরে ফ্যান। রাজকীয় বিষয়, অথচ ইসলাম বলে অপচয় কারী শয়তানের বন্ধু।
আমার বন্ধুর ভাষ্য মতে এখানে আট রকমের মানুুষ আসে নামাজ পড়তে যার মধ্যে ভালো মানুষের চেয়ে খারাপ মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই আট রকমের মানুষের মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য আটটা এসি। তারউপরে আবার ফ্যান। মসজিদ যেন নয় এন্টার্কটিকা মহাদেশ।
ঠিক তার পাশেই আরেকটা মসজিদ,নন এসি। এখানেও মানুষ নামাজ পড়ে আবার এসির মধ্যে মানুষ নামাজ পড়ে। উনার ভাষ্য মতে এই এসি মধ্যে মানুষগুলো জমে গেলেও এসির পাওয়ার কমে না,কিভাবে উনারা থাকেন এখানে। তারপরেও মানুষগুলো নামাজ পড়ে এটাই বড় কথা।
একটু পিছনের দিকে যাই, এই মসজিদে এত সুবিধা আসার কারণ তারাবির নামাজ। কিছু মানুষের গরম সহ্য হয় না তাই এই ব্যবস্থা।
উনি যখন ঠিক ঐ মসজিদের আশে পাশেও যান তখন অপচয়কারী শয়তানের ভাই দেয়াল লেখন দেখে উনার হাসি পায়। কারণটা যথেষ্ট শক্তিশালী।
এবার আমার কথায় আসি, আমি দেখেছি অর্থের অভাবে অনেক মসজিদের টিনের চালে ফুটো,আর এই বর্ষায় ঠিক মত নামাজ পড়া যায় না সামান্য একটু বৃষ্টি হলেই। আবার কিছু কিছু মসজিদের এত বেহাল দশা যে তার সম্পর্কে লিখে প্রকাশ করাও আমার জন্য দূর্বোধ্য।
এই রকম হওয়ার পিছনেও কিছু কারণ আছে। মসজিদ এমন একটা জায়গা যেখানে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ নামাজ আদায় করতে যায়। এখানে চোর-বাটপার-ধনী-গরিব সব এক কাতারে দাড়ীয়ে নামাজ আদায় করে। মত বিরোধ হয় ভিন্ন বিষয়ে। কিছু কিছু সময় সেই বিরোধ আবার ঝগড়াতে পরিণত হয়। ফলাফল হয় নিত্যনতুন মসজিদ তৈরি। তৈরি হয় সামাজিক বিচ্ছেদ।
আমার এলাকায় আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মাত্র মসজিদ ছিল একটা। অনেক দূরের মানুষ আসত নামাজ পড়তে। সপ্তাহের অন্তত্য একদিন অথাৎ শুক্রবার এলাকার সব মানুষগুলো এক সাথে হত, তাদের ভিতরে আন্তরিকতা তৈরি হত। দেখা সাক্ষাৎ হওয়া কথা বলা পরস্পর খোজ-খবর নেওয়া অনেক বিষয় থাকত সেখানে। যারা প্রতিদিন পাচ-ওয়াক্ত নামাজ পড়ত তাদের কাছে পুরু এলাকার খবর থাকত।
এখন মসজিদ কম করে হলেও পাচঁ-সাতটা হবে।
মানুষ বাড়ছে তাই মসজিদ বাড়ছে, বড় বড় মুসলিম কমিউনিটি ভেঙে ছোট ছোট কমিউনিটি তৈরি হচ্ছে। ভাল কথা, আমার কোন আপত্তি নাই এখানে। কিন্তু সমস্যাটা ওখানেই যখন এই মসজিদ কেন্দ্রিক কমিউনিটিগুলো পরস্পর ঝগড়া বিবাদ-প্রতিযোগীতা শুরু করে মসজিদ নিয়ে।
কোন মসজিদ কত উন্নত, কোন মসজিদে কত সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি তখন বিরোধের কারণ হয়ে যায়।
আমার এলাকার সব থেকে পুরুনো মসজিদে অবস্থা এখন সব থেকে করুন, অথচ সদ্য প্রতিষ্ঠিত মসজিদগুলোর অবস্থা শুরুতে বর্ণনা করা মসজিদের মত।
কোথা থেকে আসে এই ফান্ড? কিছু মসজিদে দেশের বাইরের অনুদান থাকে, আবার কিছু থাকে সমাজের হর্তা-কর্তাদের সাহায্য। তবে অধিকাংশ মসজিদের আয়ের মূল উৎস হচ্ছে মানুষের সেচ্ছায় দানের অর্থ।
আমার কথাটা এখানে, এই বিলাসবহুল মসজিদগুলো এমন না করে যে সব মসজিদগুলো অর্থের অভাবে অবস্থা খারাপ সেগুলোর দিকে নজর দিতে পারে না? যেখানে মানুষের ধর্ম পালন করতে কষ্ট হয় সেখানে সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারে না? এই ধরণের অপচয়গুলো রোধ করে অন্য কোর ধমীয় কাজে ব্যবহার করা যায় না?ধর্ম বিলাসীতা পছন্দ করে না এই বিষয়টা কি এই মানুষগুলোর কানে যায় না?
আরেকটা কথা, কথায় কথায় টাকাওয়ালা মানুষগুলোর এই মসজিদ নির্মাণ বন্ধ না করা হলে এই মুসলিম কমিউনিটিগুলো ভেঙে দিনকে দিন ছোট হয়ে যাবে আর তাতে নিজেদের ভিতরেই দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় মুসলিম সমাজগুলো গড়ে উঠে এই মসজিদ কেন্দ্রিক হয়ে এটা ত সবার জানা।
ধমীয় কর্তা ব্যাক্তিরা এই বিষয়গুলো একটু নজরে দিবে আশা করি। মহান সৃষ্টিকর্তা অামাদের সকলের মঙ্গল দান করুক। আমিন
Comments (2)
পৃথিবীর সকল সত্যের পরে
যখন তুমি আমার অভাব বোধ করবে
তখন তোমার কোমল হাতে
আমার শক্ত মুঠির দূর্বার গতি দিয়ে ছোঁব
অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ।
খুব ভালো লাগলো সাঈদ ভাই
ধন্যবাদ সোহেল ভাই সুন্দর করে বলার জন্য । ভালো তাকুন সবসময় ।
সুন্দর লাগল--
ভালো লাগার জন্য কৃতজ্ঞতা জানবেন ।