মশা বড়ই ডিফারেন্ট জিনিস। দুনিয়াতে মশার উপকারিতা একটিও খুজে পাবেন না। আমার ছোট চাচার কাছ থেকে প্রায়ই শুনতাম মশার নাকি আড়াই দিন আয়ু। এই ক্ষুদ্র সময় নিয়ে তারা আমাদের নিয়ে কতই না খেলা খেলে। এই মশার ক্যান্টনমেন্ট খুঁজে পাই গ্রামের বাড়িতে গেলে। সন্ধ্যার পর থেকে মশার রেইড শুরু হয়। গ্রামে ছোট থাকতে যখন খেলতে যেতাম, দেখতাম বন্ধুদের মাথার উপর মশার একটা বড় সর ইনফ্যান্ট্রি। এরকম হয়ত আমার মাথার উপরও থাকতো। সন্ধ্যার সময় বাসায় ফিরতে ফিরতে যখন পথে একা হয়ে যেতাম হাতে জিলাপি নিয়ে খেতে খেতে মাথার উপর দিকে তাকিয়ে দেখতাম-মশা বাহিনী সাথে আছে কিনা। মাঝে মাঝে জিমমমমমমম... এরকম টাইপের শব্দ করলে এরা ডাইরেক একশনে যেত। এর উপর্যুপরি কোন কারন আজও জানা নেই।
তবে মজা পেতাম এই খেলা খেলে। শৈশব টাই এমন যন্ত্রণার উপকরণও ক্ষণেই মজার জিনিসে পরিণত করা যায়। কিন্তু এখন মশা আমাদের নিয়ে খেলে।মশা এখন অনেক আধুনিক। কোন কয়েলই তাদের ঘায়েল করা যায় না। মনে তার এর ট্যাক্টিক্সটা শিখে ফেলেছে। এমনও হাস্যকর কয়েল আছে যা ধরালে মশার পরিমাণ দ্বিগুণ হয়ে যায়। আবার এমনও আছে মশা জ্বলন্ত কয়েলের উপর বসে আছে নির্বিঘ্নে।
*** বিপদজনকঃ দয়া করে খেয়াল রাখবেন। পোস্ট পরে যেন আবার মশার জন্য মায়া না বেড়ে যায়।