Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ভালবাসার সমীকরণ........



বেশ কদিন প্রচন্ড দাবদাহের পর হঠাৎ বৃষ্টি, সব্বাই ভীষন খুশী। বাবা নিশ্চয়ই রাতের খাবারে খিচুড়ির প্ল্যান করছেন। বাসায় গিয়ে দেখবে বাবা হয় রবীন্দ্র সংগীত বা ইন্দ্রাণীর গান শুনছেন। কিন্তু ব্যাগ গোছাতে গোছাতে আয়েশার যখন মনে পড়ল বৃষ্টিতে ভিজে বাসায় ফিরতে হবে, সেই রোজকার মত বাসের ভীড় ধাক্কাধাক্কি করতে হবে ভেবেই বেশ মেজাজ খারাপ হল।

ভিআইপি রোডে অফিস বলে রিক্সাও চলে না। মনে মনে বাবাকে ধন্যবাদ দেয় জোর করে ছাতা ব্যবহার করার অভ্যেস করিয়েছেন বলে। ছাতাটা ব্যাগে আছে বলে একটু স্বস্তি পাচ্ছে। ঝটপট পিসি অফ করে দ্রুত বের হয়ে পড়ে অফিস থেকে।

যা ভেবেছিল তাই, হঠাৎ বৃষ্টিতে সবাই এলোমেলো হয়ে গেছে, যে যা পাচ্ছে বাস বা সিএনজি তাতেই উঠে পড়ছে। পর পর কটা বাস মিস করল আয়েশা, ভিড়ে কারণে উঠতেই পারল না। মন মেজাজ খারাপ করে দাঁড়িয়ে আছে চৌরাস্তার মোড়ে বড় গাছটার নীচে। হঠাৎই দেখল একটা লোক গাড়ী থেকে নেমে ড্রাইভার বিদায় দিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ভিজছে। আয়েশা তো পুরো হতবাক, লোকটা পাগল নাকি। কি সুন্দর গাড়ীর মধ্যে ছিল, সুখে থাকলে ভুতে কিলায়।

ধ্রুব, সদ্য বিলেত ফেরত এক বৃষ্টি পাগল তরুণ। আহা কি শান্তি, কি অপার সুখ এই দেশের মাটি, আলো বাতাস আর বৃষ্টি। কত অধীর অপেক্ষায় ছিল এই বৃষ্টির জন্য। লন্ডনেও বৃষ্টি হত কিন্তু ধ্রুবর ওই প্যাচপেচে বৃষ্টি কখনই ভাল লাগত না। দেশের ঝুমঝুম বৃষ্টির মজাই আলাদা। বৃষ্টির পড়ে চারপাশের গাছপালা কেমন সদ্যস্নাত কোন তরুণীর স্নিগ্ধ আর সজীব হয়ে উঠে। প্রাণ ভরে আজ সে স্নান করবে বৃষ্টিজলে। ভাবতে ভাবতেই সামনের দিকে একটু এগোতেই দেখে এক বৃষ্টি ভেজা তরুণী এক রাশ বিস্ময় নিয়ে তাকে দেখছে। ধ্রুব এমন ভরা বৃষ্টিতে, এই রাত্রিতে একা একটা তরুণীকে দেখে অবাক হয়ে এগিয়ে যায়।

ধ্রুব : হাই, মে আই হেল্প ইউ?
আয়েশা: ওরে বাবা পাগলটা দেখি ইংরেজিও বলে।

জবাব না পেয়ে ধ্রুব আরেকটু কাছে যেতেই আয়েশার হুস হয় সে একা, আশেপাশে কেউ নেই। এবার সত্যিই ও ভয় পেয়ে পিছিয়ে যায়।

ধ্রুব আরেকটু কাছে এগিয়ে বলে, আপনার কি লিফট লাগবে? আর যায় কোথায়, আয়েশা উল্টো দৌড়। দৌড়াতে গিয়ে ছাতাটা সামাল দিতে পারে না, উড়ে যায়। ধ্রুব অবাক হয়ে ওই মেয়েটির কান্ড দেখে। আজব তো, সাহায্য করতে চাইল আর মেয়েটা এমন ভয়ে পালিয়ে গেল কেন? তার চেহারা কি খারাপ লোকের মত! সে শুনেছে দেশের বর্তমান পরিস্তিতি ভাল না তাই বলে কেউ কাউকে অতটা অবিশ্বাস করে নাকি!

পরের দিন অফিস থেকে বের হয়ে বাস স্টপেজের দিকে এগোতেই দেখে গতকালকের বৃষ্টি পাগল লোকটা তার ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আজব তো সত্যিই পাগল নাকি! আয়েশা পিছন ফিরে পরের স্টপেজ থেকে বাসে উঠে। তারপরও অন্তত ২০/২৫ দিনই একি ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আয়েশা ওই কদিন বাসের জানালা দিয়ে খেয়াল করেছে। লোকটা দেখতে খারাপ না, হয়ত তাকে সেদিন সত্যিই সাহায্য করতে চেয়েছিল। তাই বলে ছাতা ফিরিয়ে দেবার জন্য রোজ এখানে অপেক্ষা করতে হবে! নাকি ছাতার বাহানায় মেয়ে পটানোর ধান্দা?

হঠাৎ করেই একদিন খেয়াল করে লোকটা নেই। ক্লান্ত হয়ে গেছে নাকি নতুন কাউকে হেল্প করতে গেছে। বাসায় ফিরে প্রতিদিন নতুন কেনা ছাতাটা মেলে দিতে দিতে লোকটার কথা ভাবে। পরের কদিন মনে মনে খুঁজল, কে সে, কই থাকে, হঠাৎ কোথায় হারাল! আর সেই বা কেন এমন করে অচেনা একজনের কথা ভাবছে। ক্ষণিকের দেখাই তো, কিন্তু আয়েশা লোকটাকে ভুলতে পারে না। কি অদ্ভুত সমীকরণ! বৃষ্টি সে আর আয়েশা। বৃষ্টি এলেই তার কথা মনে পড়ে।

কদিন ধরেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। ওদের বাসার কদম গাছে বেশ ফুল ধরেছে। বাসার ছাদে উঠলেই হাত বাড়িয়ে ফুল তোলা যায়। রোজ সকালে অফিসে যাবার আগে বসার ঘরে কটা কদম রেখে যায়, তখন বাবার মুখটা খুশিতে ভরে উঠে। আয়েশার বাবা বড্ড রোমান্টিক মানুষ, মাকে অনেক ভালবাসতেন।
মা চলে যাবার পর আয়েশাকে ঘিরেই তার পৃথিবী। নিশ্চয়ই মাকে অনেক মিস করেন কিন্তু আয়েশার সামনে কখনই ভেঙে পড়েন না।

ধ্রুব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে দেশে ফিরেছে, দেশের টানে। দেশে ফিরেই গ্রামের বাড়ি যাবার পরিকল্পনা ছিল কিন্তু ওই মেয়েটা, ক্ষণিকের দেখা ওই শ্যামা তরুণী, ডাগর চোখের মিষ্টি মেয়েটা সব এলোমেলো করে দিল, কিছুতেই ভুলতে পারছে না। কেবলই মনে হচ্ছে ঠিক এমনই এক জনের জন্য অপেক্ষায় ছিল। আর মেয়েটার ভুলও ভাঙানো দরকার, কি ভেবেছে ওকে!

কদিন অপেক্ষা করেছে বাস স্টপেজে, পরে খেয়াল করল মেয়েটা বাসে করে যাবার সময় জানালা দিয়ে লুকিয়ে দেখছিল। কিন্তু তাকে এই স্টপেজ থেকে উঠতে দেখেনি। ধ্রুব আর যাবে না, কাউকে অস্বস্তিকর পরিস্তিতিতে ফেলার কোন ইচ্ছে নেই। তবে ও বিশ্বাস করে ওই ডাগর চোখের মেয়েটার সাথে তার দেখা হবেই।

গ্রাম থেকে ফিরেই ধ্রুব বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিতে যোগ দেয়। যদিও ব্যস্ততা বাড়ে কিন্তু শত ব্যস্ততা আর ভীড়ের মধ্যেই সে শ্যামাকে খুঁজে। এদিকে মাও বিয়ের জন্য বেশ চাপ দিচ্ছেন। কিন্তু মাকে কিভাবে বুঝাবে তার অপেক্ষার কথা ওই ক্ষণিকের দেখা ভীতু মেয়েটার কথা। কল্পনায় প্রায়ই দেখে নীল শাড়ি, নীল চুড়ি, টিপ আর খোঁপায় বেলী জড়ানো মেয়েটাকে। আচ্ছা মেয়েটার যদি নীল রং বা বেলী পছন্দ না হয়? আর শাড়ি, না বাঙালি মেয়ে শাড়ি অবশ্যই পছন্দ হবে।

আষাঢ় মাস প্রায় শেষ হয়ে এল, শ্রাবণের আর অল্প কদিন বাকি। ধ্রুবর লাগানো বেলী গাছগুলো ফুলে ফুলে ছেয়ে আছে। ভীষন ইচ্ছে করে এক ঝাক বেলীর সুরভী আকাশে ছড়িয়ে দিতে, যার সুবাস ওর প্রিয়ার কাছে ওর ভালবাসার কথা পৌছে দেবে। ভীষন কষ্ট হয় ধ্রুবর, এত বড় শহরে কোথায় খুঁজবে তাকে। অফিসের ঠিকানাটা কি চেষ্টা করলে পাবে? আর পেলেই কি যাওয়া ঠিক হবে? যদি বিরক্ত হয়, বিব্রত হয়, না থাক, দেখা হবেই।

ধ্রুব অনলাইনে পত্রিকাগুলোতে খোঁজ করছিল, শ্রাবণ সন্ধ্যা উপলক্ষে কোথাও কোন গানের আয়োজন আছে কিনা। হঠাৎই চোখে পড়ল দৃক গ্যালারীতে একটা ফটো প্রদর্শনীর, কজন উদীয়মান তরুণ তরুণীর। তাদের ছবি আর নামও দেয়া আছে আর তার মধ্যে ধ্রুবর শ্যামা! খুশিতে চিৎকার করে উঠতে ইচ্ছে করছিল। দুটো দিন আর মাত্র দুটো দিন, অপেক্ষার প্রহর যেন কাটতেই চায় না।

অবশেষে এল সেই বহু প্রতীক্ষিত মুহুর্তটি। বের হবার আগে ছাদে গিয়ে এক মুঠো বেলী নিল পাঞ্জাবীর পকেটে। মা জিজ্ঞেস বললেন, একটু পরেই বৃষ্টি নামবে, আকাশে মেঘ করেছে বাপ, গাড়ী নিয়ে যাও। না আজ ও রিক্সায় যাবে, ফেরার পথে রিক্সায় করে নীল পরীকে বাসায় পৌছে দিয়ে আসবে।

দৃক গ্যালারীতে পৌছেই দুনয়ন শুধু তাকেই খোঁজে। নাহ কোথাও নেই, ছবি দেখতে দেখতে হঠাৎ একটা কদম ফুলের ছবির সামনে থেমে যায়। বেশ জীবন্ত ছবিটা, কোনায় ছোট করে লেখা, আয়েশা আহমেদ। পিছন থেকে হঠাৎ সালাম দিয়ে ওর ছাত্র আয়মান এসে বলে স্যার আপনি?
ছবি দেখতে এলাম
খুব ভাল লাগছে আপনাকে দেখতে পেয়ে।
এই ছবিটা খুব জীবন্ত, তাই না?
হ্যা এক বড় আপুর তোলা, বাসার ছাদ থেকে। দিতে চাইনি জোর করে এনেছি।
উনি নেই এখানে?
না স্যার, আসবার কথা ছিল, এখনো আসেননি।
আচ্ছা তোমাদের সবাই মানে প্রতিযোগীরাই কি আছেন এখানে।
হ্যা স্যার, চলেন পরিচয় করিয়ে দেই।
একে একে বাকি তিনজনের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। কিন্তু পঞ্চমজন কই, সেই ডাগর নয়না, তার নীল পরী। তার সমস্ত ভাবনা ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে সবুজ শাড়ী পড়া আয়েশা হৈ চৈ করে ঢুকে বিরক্ত হয়ে বলতে থাকে, বৃষ্টিটা আসার আর সময় পেল না। কি বিচ্ছিরি কান্ড দেখ বাসা থেকে বের হব এর মধ্যেই শুরু হয়ে গেল।

বলতে বলতেই চোখে পড়ল অপলক মুগ্ধ নয়নে কেউ থাকে দেখছে, সে আর কেউ না! সেই বৃষ্টি পাগল লোকটি, সে এখানে কিভাবে এলো? গত দেড়টা মাস ধরে মনে মনে কত খুঁজেছে কিন্তু কেন খুঁজেছে নিজেও জানে না। আয়মান বলে উঠে আপু, আমার স্যার, ডিপার্টমেন্টে নতুন যোগ দিয়েছেন। উনি তোমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন, তোমার ছবিটা উনার কাছে খুব ভাল লেগেছে। স্যার এই সেই আপু যিনি কদম ফুলের ছবিটা তুলেছেন।

ধ্রুব এক রাশ বিস্ময় নিয়ে কেবলই দেখে উজ্জ্বল শ্যামলা গায়ের রং, সবুজ শাড়ী, সবুজ টিপ, চুড়ি নাকফুলে অসম্ভব রকমের সুন্দর, স্নিগ্ধ লাগছে। একহারা চুলগুলো বৃষ্টির কারণে একটু ভেজা এলোমেলো হয়ে আছে আর তাতে ওর রূপে একটু ভাটা পড়েনি। না খোঁপা না বেলী তাও মনে হচ্ছে একে পেলে আর কিচ্ছু চাই না এ জীবনে।

আয়েশার জীবনে মুগ্ধ পুরুষের চাহনি নতুন কিছু নয়, বরং চারপাশের চাটুকারিতায় বিরক্ত হয়। কিন্তু আজ অন্য রকম এক ভাল লাগায় শিহরন জাগছে। চঞ্চল হরিণর হঠাৎ এই থমকে যাওয়া দেখে ওর বন্ধুরা বলে, কি রে তোরা চিনিস নাকি একে অন্যকে। ধ্রুব পরিস্তিতি সামাল দেয়, বলে হ্যা এক বার দেখা হয়েছিল।

প্রদর্শনী শেষে সবাই মিলে চা খেতে খেতে ছোট একটা আড্ডা হল। ধ্রুব, আড্ডার ফাকে ফাকে কেবলই চোখের পরশ বুলিয়ে যাচ্ছিল আয়েশার উপর। আর আয়েশা, প্রতিটা আড্ডার প্রাণ, আজ যেন তার শব্দ ভান্ডার ফুরিয়ে এসেছে। লজ্জায়, আবেশে ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠছে। ওই ডাকাতিয়া চোখের সামনে থেকে পালাতে পারলেই বাঁচে।

আড্ডা শেষে সবাই একে একে চলে গেলে, গ্যালারীর সামনে আয়েশা আর ধ্রুব রিক্সার জন্য অপেক্ষা করছিল। এর মধ্যেই বৃষ্টিটা থেমেছে, কিন্তু আকাশ এখনও থমথমে। আবার যে কোন সময় তার করুনাধারা বইবে এই পৃথিবীতে। যাবার সময় আয়মান জিজ্ঞেস করল আপু, তোমায় এগিয়ে দিতে হবে, ও মাথা নেড়ে না করল।

অনেকক্ষণ চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকার পর ধ্রুব বলল, আজ পালিয়ে গেলেন না যে! আজ ভয় করছে না? আয়েশা নীরবে চোখ তুলে থাকায়, কিচ্ছু বলে না। ধ্রুব, সেই চোখে ওর প্রতি আজ পরম আস্থা আর অনুরাগ দেখতে পায়, পায় প্রশয়। ওই ডাগর কালো চোখ দুটি যেন বলছে, আমাকে ভালবাস, আমি তোমার হতে চাই, আজীবনের।

আয়েশা, বিভোর হয়ে আছে,ধ্রুবর চোখে চোখ রেখে ভাবতে থাকে। এই যে সামনে দাঁড়ানো এক হারা লম্বা যুবকটি, যেন কত কালের চেনা। আজ তার কোন ভয় নেই বরং আজ ওই ভালবাসা আর আকুলতা ভরা চোখের মাঝেই সে খুঁজে নিতে পারে তার ঠিকানা, গড়তে পারে চিরআবাস। এর সাথেই সে বুড়ো হয়ে এক সাথে পুরো একটা জীবন কাটিয়ে দিতে পারে।

ধ্রুব, পাঞ্জাবীর পকেট থেকে হাত বের মুঠো মেলে ধরে আয়েশার সামনে। বলে আপনার জন্য কিছু এনেছিলাম, আয়েশা দুহাতের আঁচলা পেতে ধ্রুব দেয়া ভালবাসার অর্ঘ নেয়। ধ্রুবর সমস্ত পৃথিবীর এক মুহূর্তেই এক পশলা বৃষ্টির পর রংধনুর মত রঙিন হয়ে উঠে। সে আয়েশার আরেকটু কাছে গিয়ে আঁচলা ভরা হাতের নীচে নিজের হাত দুটো দিয়ে আয়েশার হাত দুটো তুলে নিয়ে।

ধ্রুব, আয়েশার চোখে চোখ রেখে বলে, "এমন না তোমাকে ছাড়া বাঁচব না, কিন্তু তোমাকে ছাড়া বাঁচতে চাই না।"

ওইদিকে অপূর্নতাটুকু ঘুছিয়ে দেয়ার জন্যই শ্রাবনের আকাশ বুক ছিড়ে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি ফেলে দুজনের উপর। আয়েশা আর ধ্রুব, একে অন্যের চোখে চোখে ভালবাসা, আকুলতা আর নির্ভরতা খুঁজতে খুঁজতেই শ্রাবণধারায় ভিজতে থাকে।
০ Likes ০ Comments ০ Share ৫৮০ Views

Comments (0)

  • - টি.আই.সরকার (তৌহিদ)

    Concept-গুলো বেশ ভালো ।

    শুভেচ্ছা ।