Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

Azimul Haque

৯ বছর আগে

ব্রিটিশের ত্রাস অগ্নিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার

                  

সালটা ছিল ১৯০৬, স্থান চিটাগাং । আড়াইশ বছর ব্রিটিশ রাজের শেষদিক । সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন অতোটা না হলেও তুঙ্গে, যার ঢেউ এসে লাগে চিটাগাং-এও । মাষ্টারদা সূর্যসেন ওখানেও তখন হামলা করে ব্রিটিশদের অস্থির ও ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছেন । এরই মাঝে দেখা করেন একদিন মাষ্টারদার সাথে, বলেন আমিও ব্রিটিশদের উপর হামলা চালাবো, আমাকে দায়িত্ব দিন । অবাক হয়ে যান মাষ্টারদা, বলেন, তুমি পারবেনা, এ বড় কঠিন কাজ প্রীতি । শেষে মেয়েটির জিদের কাছে হার মানতে বাধ্য হন মাষ্টারদা ।

চিটাগাং রেলস্টেশন বিল্ডিংটা ছিল ব্রিটিশদের ইউরোপিয়ান ক্লাব, ভারতীয়দের কুকুরের সাথ তুলনা করে যেখানকার ফটকে লিখা ছিল, ভারতীয় ও কুকুরের প্রবেশ নিষেধ । মাষ্টারদা পরিকল্পনা করেছিলেন, ইউরোপিয়ান ক্লাবে হামলা চালাবেন এবং সেজন্য একজন যোগ্য লোক খুজছিলেন তিনি । এরকম এক সময়ই প্রীতিলতার সাথে তাঁর পরিচয় । প্রীতিলতাও তার বান্ধবী কল্পনা দত্তের কাছ থেকে জেনেছিলেন ইউরোপিয়ান ক্লাবে হামলার কথা এবং এ-ও জেনেছিলেন যে, কল্পনা দত্তই হামলায় নেতৃত্ব দেবেন ।

মাষ্টারদার হামলায় দিশেহারা ব্রিটিশ তখন ব্যপক ধর-পাকড় করছিল এবং কল্পনা দত্ত ধরা পড়েন একসময় । ভাগ্য খুলে যায় প্রীতিলতার, কল্পনার পরিবর্তে নিবেনই তিনি ইউরোপিয়ান ক্লাব হামলার এ-দায়িত্ব । মাষ্টারদা অনেক বুঝান প্রীতিলতাকে । কিন্তু তাঁর সাফ কথা, এ-দায়িত্ব তাকে দিতেই হবে । এতে তার জীবনও যেতে পারে, এটার জবাবে প্রীতি বলেন, জীবনের মায়া তার একেবারেই নেই এবং কাউকে না কাউকে তো জীবনের ঝুকি নিতেই হবে । শেষে কোন যুক্তিতেই না পেরে প্রীতিলতাকেই দায়িত্বটা দিতেই হয় মাষ্টারদাকে ।

হামলায় সফল হন প্রীতিলতা । কিন্তু ফেরার সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে যান তিনি । কিন্তু ধরা না দ্বয়ার উদ্দেশ্যে সায়ানাইড (তখন বিপ্লবীরা ধরা দেওয়ার চেয়ে সায়ানাইড রাখতেন সাথে, যাতে প্রয়োজনে খ্যে আত্মহত্যা করতে পারেন)খেয়ে আত্মহত্যা করেন ।

মহান এই বিপ্লবীর জন্মদিন আজ, ৫-ই মে । জন্মদিনে তাঁকে সশ্রদ্ধ সালাম জানাই ।

১ Likes ২ Comments ০ Share ৩৫৩ Views

Comments (2)

  • - মাইদুল আলম সিদ্দিকী