একজন লেখক তার জীবনকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে সাজাতে পারেন। এক একটি অণুগল্প - লেখক জীবনের মুহূর্তগুলোর খন্ডাংশ!
নিজের জীবনের অণুগল্পগুলো লিখা শুরু করা দরকার। কিন্তু ঠিক কোথা থেকে শুরু করবে, ভেবে পায়না আমান।
চলমান সময় এক ব্যাধি। সময়ের বুক খুঁড়ে খুঁড়ে নিজেকে কি নির্বিকার ভাবেই না খেয়ে ফেলছে।
ব্যাধি আমানের নিজের শরীরেও বাসা বেঁধেছে। ওর নিজের শরীরের পুষ্টি পেয়ে ধীরে ধীরে ওকেই শুষে নিচ্ছে। সবসময়ে আমানের সাথেই এমন কেন হয়?
নক্ষত্রখচিত এক নিশ্চুপ আকাশ। থমকে থাকা সময়ের আঁচল ছেড়ে ছুটে আসা দমকা বাতাসের এলোমেলো তোড়ে আমানের চিন্তাস্রোত একটু হলেও যেন এলোমেলো হয়।
বেডসাইড টুলের ওপর ছবির একটি ফ্রেম। ওখানে স্মৃতিদের বন্দী করার এক অপচেষ্টা।
স্মৃতিদেরকেও কি বন্দী করা যায়? বন্দী স্মৃতিরা কি ভাবে? আমানের এই মুহুর্তে খুব জানতে ইচ্ছে হল।
পাশের ফ্ল্যাটে গান বাজছে। এক প্রেমিক পুরুষের হৃদয় নিঙড়ানো শাব্দিক অনুরণন বেশ জোরেই ভেসে আসে, " স্মৃতির মিনারে আজনম, তাই তোমাকে প্রয়োজন " ... ...
রুমু ই কি আমানের সেই তুমি? তাকে কেন প্রয়োজন? সে কি নেই? চলে গেছে?
চলে যাওয়া মানুষদের ফিরে আসতে কত সময় লাগে?
একটি গান স্মৃতিকাতরতায় ভোগাবার মত কিছু মুহুর্তের জন্ম দেয়। দুপুরের ভাতঘুমে ঢলে পড়ার ঠিক আগমুহুর্তে - বুকের উপর থেকে প্রিয় কবিতার বইটিকে আলতো হাতে পাশে রাখার সময়ে তনুমন যে স্বপ্নিল আবেশে স্নিগ্ধ হয়- এই গানটির এনে দেয়া মুহুর্তেরাও তেমন এক অনুভবে আমানকে বুঁদ করে রাখে।
রুমু ও কি আমানের জন্য এক ব্যধি নয়?
একটি খালি ফ্রেমে জোর করে ধরে রাখা কিছু বিশেষ সময়ের স্মৃতি..চিহ্ন..অণুসাক্ষর! এরাও ইদানিং আমানকে কুরে কুরে খায়। নিজের শরীর-মনের ভিতরে-বাহিরে বাস করা কালব্যাধিদের নিরন্তর দংশনে, শ্রবণাতীত চিৎকারে এক নবীন লেখক নিজের কষ্টের কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্ত কষ্টগুলো ওকে অন্যদের মত ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে। পাঠক মনে অবর্ণনীয় কষ্ট জন্মদানকারি কষ্টের স্রষ্টা আজ নিজের কষ্টকে অক্ষরে রুপ দিতে অপারগ! নিজের মনের দুয়ার খুলতে গিয়েও কেমন যেন ইতস্তত বোধ হয়। এক বিশেষ মুহুর্তের অপেক্ষা করেন।
একজন লেখকের বিশেষ মুহুর্তগুলো ঠিক কখন আসে?
" আমি যাদের যাদেরকে এই জীবনে ভালোবেসেছি, ভালোবাসার 'বাই রিটার্ণ' তারা আমাকে কষ্টই দিয়েছে। ভাবনার ভ্রান্তিবিলাসে উন্মুখ এক ছায়ামানবের উপলব্ধি!
মানুষের জীবনে স্মৃতিরাই কালব্যাধি। এক কালবেলায় স্মৃতিকাতর এক ছায়ামানব কেন জানি এই মুহুর্তে নিজের শরীরে পুষ্ট হওয়া ব্যাধিটির জন্য অপার মমতা অনুভব করে।।
নিজের জীবনের অণুগল্পগুলো লিখা শুরু করা দরকার। কিন্তু ঠিক কোথা থেকে শুরু করবে, ভেবে পায়না আমান।
চলমান সময় এক ব্যাধি। সময়ের বুক খুঁড়ে খুঁড়ে নিজেকে কি নির্বিকার ভাবেই না খেয়ে ফেলছে।
ব্যাধি আমানের নিজের শরীরেও বাসা বেঁধেছে। ওর নিজের শরীরের পুষ্টি পেয়ে ধীরে ধীরে ওকেই শুষে নিচ্ছে। সবসময়ে আমানের সাথেই এমন কেন হয়?
নক্ষত্রখচিত এক নিশ্চুপ আকাশ। থমকে থাকা সময়ের আঁচল ছেড়ে ছুটে আসা দমকা বাতাসের এলোমেলো তোড়ে আমানের চিন্তাস্রোত একটু হলেও যেন এলোমেলো হয়।
বেডসাইড টুলের ওপর ছবির একটি ফ্রেম। ওখানে স্মৃতিদের বন্দী করার এক অপচেষ্টা।
স্মৃতিদেরকেও কি বন্দী করা যায়? বন্দী স্মৃতিরা কি ভাবে? আমানের এই মুহুর্তে খুব জানতে ইচ্ছে হল।
পাশের ফ্ল্যাটে গান বাজছে। এক প্রেমিক পুরুষের হৃদয় নিঙড়ানো শাব্দিক অনুরণন বেশ জোরেই ভেসে আসে, " স্মৃতির মিনারে আজনম, তাই তোমাকে প্রয়োজন " ... ...
রুমু ই কি আমানের সেই তুমি? তাকে কেন প্রয়োজন? সে কি নেই? চলে গেছে?
চলে যাওয়া মানুষদের ফিরে আসতে কত সময় লাগে?
একটি গান স্মৃতিকাতরতায় ভোগাবার মত কিছু মুহুর্তের জন্ম দেয়। দুপুরের ভাতঘুমে ঢলে পড়ার ঠিক আগমুহুর্তে - বুকের উপর থেকে প্রিয় কবিতার বইটিকে আলতো হাতে পাশে রাখার সময়ে তনুমন যে স্বপ্নিল আবেশে স্নিগ্ধ হয়- এই গানটির এনে দেয়া মুহুর্তেরাও তেমন এক অনুভবে আমানকে বুঁদ করে রাখে।
রুমু ও কি আমানের জন্য এক ব্যধি নয়?
একটি খালি ফ্রেমে জোর করে ধরে রাখা কিছু বিশেষ সময়ের স্মৃতি..চিহ্ন..অণুসাক্ষর! এরাও ইদানিং আমানকে কুরে কুরে খায়। নিজের শরীর-মনের ভিতরে-বাহিরে বাস করা কালব্যাধিদের নিরন্তর দংশনে, শ্রবণাতীত চিৎকারে এক নবীন লেখক নিজের কষ্টের কথা বলার চেষ্টা করে। কিন্ত কষ্টগুলো ওকে অন্যদের মত ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে। পাঠক মনে অবর্ণনীয় কষ্ট জন্মদানকারি কষ্টের স্রষ্টা আজ নিজের কষ্টকে অক্ষরে রুপ দিতে অপারগ! নিজের মনের দুয়ার খুলতে গিয়েও কেমন যেন ইতস্তত বোধ হয়। এক বিশেষ মুহুর্তের অপেক্ষা করেন।
একজন লেখকের বিশেষ মুহুর্তগুলো ঠিক কখন আসে?
" আমি যাদের যাদেরকে এই জীবনে ভালোবেসেছি, ভালোবাসার 'বাই রিটার্ণ' তারা আমাকে কষ্টই দিয়েছে। ভাবনার ভ্রান্তিবিলাসে উন্মুখ এক ছায়ামানবের উপলব্ধি!
মানুষের জীবনে স্মৃতিরাই কালব্যাধি। এক কালবেলায় স্মৃতিকাতর এক ছায়ামানব কেন জানি এই মুহুর্তে নিজের শরীরে পুষ্ট হওয়া ব্যাধিটির জন্য অপার মমতা অনুভব করে।।
Comments (0)
ভাললাগা জানালাম সুন্দর লেখাটিতে।
শুভকামনা রইলো, ভাই!!!