Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আবিদ রহমান

৯ বছর আগে

ব্যবসা কত ধরণের

অর্থশাস্ত্রের পরিভাষায় ব্যবসা এক ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ড (বা বিজ্ঞান) যেখানে নির্দিষ্ট সৃষ্টিশীল ও উৎপাদনীয় লক্ষ্যকে সামনে রেখে বৈধভাবে সম্পদ উপার্জন বা লাভের উদ্দেশ্যে লোকজনকে সংগঠিত করা হয় ও তাঁদের উৎপাদনীয় কর্মকাণ্ড রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। ব্যক্তির মুনাফা পাওয়ার আশায় পণ্যদ্রব্য ও সেবাকর্ম উৎপাদনের মাধ্যমে উপযোগ সৃষ্টি এবং মানুষের বস্তুগত ও অবস্তুগত অভাব পূরণের লক্ষে সেগুলো বণ্টন এবং এর সহায়ক সবরকম বৈধ, ঝুঁকিবহুল ও ধারাবাহিক কার্যকে ব্যবসায় বলে।

আইনানুসারে, ব্যবসায় বলতে সেই সংগঠনকে বুঝায় যা অর্থের বিনিময়ে ভোক্তাকে পণ্য বা সেবা কিংবা দুটো সুবিধাই প্রদান করে। পুঁজিবাদ অর্থনীতিতে ব্যবসায় লক্ষণীয় ভাবে বিদ্যমান এবং গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। এখানে প্রায় সব ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয় যা গঠন করা হয় মূলত মুনাফা অর্জন করে মালিকের পুঁজি বৃদ্ধির জন্যে। ব্যবসায় মুনাফার জন্য ব্যক্তি মালিকানার ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিক বা পরিচালকবৃন্দের মূল উদ্দেশ্যের মধ্যে একটি হলো, ঝুঁকি গ্রহণ ও কার্যের বিপরীতে বিনিয়োগকৃত পুঁজি ফেরত পাওয়া। মুনাফাবিহীন বা রাষ্ট্র মালিকানার অধীনেও ব্যবসায় করা যায়।

"ব্যবসায়" শব্দ টি ইংরেজি "business" শব্দের পারিভাষিক প্রতিশব্দ। "business" শব্দের আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে "ব্যস্ত থাকা" অর্থাৎ হয় ব্যাক্তিগত ভাবে অথবা সমষ্টিগত ভাবে বানিজ্যিক ভাবে সমর্থনযোগ্য ও লাভজনক কাজে ব্যস্ত থাকা। সুবিধামত "ব্যবসায়" শব্দটির কমপক্ষে তিনটি ব্যবহার রয়েছে -

একটি নির্দিষ্ট কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝাতে একক ভাবে ব্যবহার হয় একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার বাজার ক্ষেত্র বুঝাতে সাধারনত ব্যবহার হয়; যেমন - ফুলের ব্যবসায় মিশ্র অর্থে, বা বৃহৎ অর্থে পণ্য ও সেবার সরবরাহ করার জন্যে সকলপ্রকার কার্য সম্পাদন করে এমন দল বা গোষ্ঠীকে বুঝায়।
ব্যবসায় মূলত চার ধরনের হয়:   একমালিকানা ব্যবসায় (Sole proprietorship): অংশীদারী ব্যবসায় (Partnership): কোম্পানি (Corporation) সমবায় সমিতি (Cooperative)
একমালিকানা ব্যবসায় (Sole proprietorship):

একমালিকানা ব্যবসায় বা এক মালিকানা ব্যবসায় হল একজন ব্যাক্তির মালিকানাধীন এবং মালিক কতৃক পরিচালিত ব্যবসা। একমালিকানাধীন ব্যবসা এবং মালিক দুটি আলাদা স্বত্বা নয় বরং ব্যবসার সকল দায় দেনা এবং সম্পদ সমস্তই মালিকের একার। ব্যবসার সমস্ত লাভ-ক্ষতি মালিক একাই ভোগ করেন । এক মালিকানাধীন ব্যবসার মালিক ইচ্ছে করলে তার নিজের বা ব্যবসায়িক নামে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারেন। সুবিধা এই ধরনের ব্যবসা পরিচালনা করা সহজ এবং শুরু করতে কম পুঁজির প্রয়োজন। এটি মালিককে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক স্বাধীনতা প্রদান করে। ব্যবসায় সমস্ত দায় মালিকের বলে অর্থ লগ্নিকারীরা সহজেই অর্থ লগ্নি করতে আগ্রহী হয়। পরিচালনায় গোপনীয়তা বজায় থাকে। অসুবিধা
একজন ব্যাক্তির পক্ষে ব্যবসার সকল পুঁজি সংগ্রহ করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অসীম দায়ের ব্যবসা হওয়ার ফলে ব্যবসার সকল দায় মালিকের উপর বর্তায়। মালিকের মৃত্যু হলে বা ব্যবসা পরিচালনায় অপারগ হলে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু মালিক নিজেই ব্যবসা পরিচালনা করেন তাই মালিকের অনভিজ্ঞতার কারণে ব্যবসার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অংশীদারী ব্যবসা (Partnership)

এটি এক মালিককানা ব্যবসার মতই। কিন্তু মালিক একজনের চেয়ে বেশি থাকে।   কোম্পানি (Corporation)

কোম্পানি বা কর্পোরেশন, এক অভিনব ও সর্বাধুনিক ব্যবসায় সংগঠন, যা সর্বাপেক্ষা আইনসৃষ্ট প্রতিষ্ঠান, এবং শেয়ারহোল্ডারদের মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়।

কোম্পানির গঠনপ্রণালী মূলত কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়।
ধাপ ১: আইনানুগ সর্বনিম্ন সংখ্যক ব্যাক্তি পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন
ধাপ ২: কোম্পানীর প্রবর্তকগণ নিম্নোক্ত দুটি দলিল সংগ্রহ করেন বা প্রস্তুত করেন

ক. স্মারকলিপি বা সংঘস্মারক বা পরিমেলবন্ধস্মারকলিপি হলো কোম্পানীর মূল দলিল। এর দ্বারাই কোম্পানীর কার্যক্ষেত্র ও ক্ষমতার সীমা নির্ধারিত হয়।খ. পরিমেল নিয়মাবলী বা সংঘবিধিএই দলিলে অন্তর্ভুক্ত থাকে কোম্পানির অভ্যন্তরীণ কার্যকলাপ পরিচালনা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম-কানুন। এতে পরিচালকদের কর্তব্য, অধিকার ও ক্ষমতা, ব্যবসায় পরিচালনার পদ্ধতি ও প্রকৃতি ইত্যাদিরও উল্লেখ থাকে।

ধাপ ৩: প্রবর্তকগণ এ পর্যায়ে দলিলপত্রাদি সংযোজনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশনের নির্ধারিত ফি প্রদানপূর্বক রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে রেজিস্ট্রেশন ফরম পূরণ করেন ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য দলিলাদি সংযোজন করেন।
ধাপ ৪: শুধুমাত্র পাবলিক লিমিটেড কোম্পানীর ক্ষেত্রে এপর্যায়ে কাজ আরম্ভ করার অনুমতি পত্র সংগ্রহ করতে হয়। এজন্য প্রবর্তকগণ আরও কিছু দলিল নিবন্ধকের নিকট জমা দেন এবং কোম্পানীর বিবরণপত্র প্রস্তত করেন। নিবন্ধকের সন্তুষ্টিতে কার্যারম্ভের অনুমতিপত্র সংগৃহীত হয়।
ধাপ ৫: কোম্পানী কাজ আরম্ভ করে।

শ্রেণীবিভাগ
সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি

বাংলাদেশে ১৮৪৪ সালে কোম্পানি আইন পাশ হওয়ার আগে তৎকালীন গ্রেট ব্রিটেনের রাজার বা রাণীর বিশেষ ফরমান বা সনদবলে যে কোম্পানী গঠিত হতো তাকে সনদপ্রাপ্ত কোম্পানি (Chartered Company) বলে। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী, চার্টার্ড ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, চার্টার্ড মার্কেন্টাইল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এই ধরণের কোম্পানীর উদাহরণ। পরে অবশ্য বাংলাদেশে কোম্পানি আইন পাশ হওয়ার পর এধরণের কোম্পানি গঠনের সুযোগ রহিত করা হয়।

সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি

যেসকল কোম্পানি আইন পরিষদের বিশেষ আইন দ্বারা বা রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ বলে গঠিত এবং নিয়ন্ত্রিত হয়, তাদেরকে সংবিধিবদ্ধ কোম্পানি (Statutory Company) বলে। এসকল কোম্পানিকে সাধারণত একচেটিয়া ক্ষমতা দেওয়া হয় এবং এদেরকে কোম্পানি আইনের আওতার বাইরে রাখা হয়। এরা সাধারণত পরিবহণ, জলবিদ্যুৎ এবং সেবামূলক কাজের ক্ষেত্রে গঠিত হয়। বাংলাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকবাংলাদেশ বিমানবিআরটিএবিসিআইসি,ওয়াসা ইত্যাদি এধরণের প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ।

নিবন্ধিত কোম্পানি

রেজিস্ট্রিকৃত বা নিবন্ধিকৃত কোম্পানি (Registered Company) বলতে কোম্পানী আইনের অধীনে গঠিত ও নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানকে বোঝায়। নিবন্ধিত কোম্পানিকে আবার কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। তন্মধ্যে দায়েরভিত্তিতে নিবন্ধিত কোম্পানিকে দুইভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

সসীম দায় কোম্পানি

যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দায় সীমাবদ্ধ থাকে, তাকে সসীম দায় কোম্পানী বলে। এধরণের কোম্পানি আবার দুই প্রকার। যথা-

প্রতিশ্রুত মূল্য দ্বারা সসীম দায় কোম্পানি

প্রতিশ্রুত মূল্য দ্বারা সসীম দায় কোম্পানির (Company Limited by Guarantee) শেয়ারহোল্ডারদের দায় স্মারকলিপিতে বর্ণিত থাকে এবং বর্ণনা অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা দায় পরিশোধ করে থাকেন।

শেয়ার মূল্য দ্বারা সসীম দায় কোম্পানি

যে কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দায় তাদের ক্রীত শেয়ারের আঙ্কিক মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে তাকে শেয়ার মূল্য দ্বারা সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানি (Company Limited by Share) বলে। এক্ষেত্রে কোনো অবস্থাতেই শেয়ারহোল্ডারদেরকে তাদের ক্রীত শেয়ারের আঙ্কিক মূল্যের অতিরিক্ত দায়ের জন্য দায়ী করা যায় না। পৃথিবীর সকল দেশেই এরকম কোম্পানি দেখা যায়।

প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যে সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানিতে সদস্যের সংখ্যা ন্যূনতম ২ বা সর্বোচ্চ ৫০ জন রাখা হয় এবং সীমাবদ্ধ দায়ের ভিত্তিতে কোম্পানিকে প্রদত্ত আইনের আওতায় নিবন্ধিত করা হয়, তাকে ঘরোয়া মালিকানায় সীমাবদ্ধ কোম্পানি বা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি (Private Limited Company) বলে।[ক]

পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি

পৃথিবীব্যাপী সবচেয়ে জনপ্রিয় কোম্পানি সংগঠন হলো পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (Public Limited Company)। এসকল কোম্পানী বাজারে শেয়ার ছাড়ার মাধ্যমে মূলধন জোগাড় করে থাকে। বাংলাদেশে এধরণের কোম্পানির সদস্যসংখ্যা সর্বনিম্ন ৭ জন এবং সর্বোচ্চ শেয়ার দ্বারা সীমাবদ্ধ থাকে, শেয়ার অবাধে হস্তান্তরযোগ্য এবং কোম্পানি শেয়ার ও ঋণপত্র জনগণের উদ্দেশ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের আহবান জানায়। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিকে মালিকানার ভিত্তিতে দুইভাগে এবং নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে আরো দুভাগে ভাগ করা যায়:

সরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি

কোনো কোম্পানির মালিকানা বা এর শেয়ার মালিকানার কমপক্ষে ৫১% শেয়ার যদি সরকারি মালিকানায় থাকে এবং এর পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সরকারের হাতে থাকে, তবে তাকে সরকারি মালিকানায় পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি বলে।

বেসরকারি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি

কোনো কোম্পানীর শেয়ারের কিয়দংশ সরকার গ্রহণ করলে তাকে আধা-সরকারি কোম্পানি বলে। কোনো কোনো সময় সরকার শেয়ার মূলধনের শতকরা ৩০% বা ৪০% গ্রহণ করে। এতে সরকারি ও বেসরকারি মালিকানার সংমিশ্রণ ঘটে বলে একে আধা-সরকারি কোম্পানি বলে।

হোল্ডিং কোম্পানি

যদি কোনো কোম্পানি অন্য কোম্পানির ৫০% শেয়ারের বেশি শেয়ারের মালিক হয় বা মোট ভোটদান ক্ষমতার ৫০%-এর অতিরিক্ত ভোটদান ক্ষমতা ভোগ করে অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অধিকাংশ পরিচালক নিয়োগ করার ক্ষমতার অধিকারী হয় তবে ঐ কোম্পানিকে নিয়ন্ত্রণশালী বা ধারক কোম্পানি বা হোল্ডিং কোম্পানি বলে।

সাবসিডিয়ারি কোম্পানি

যে কোম্পানির ৫০%-এর বেশি শেয়ার বা ভোটদান ক্ষমতা অন্য কোম্পানির অধীনে চলে যায় সে কোম্পানিকে সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বলে। মূলত হোল্ডিং কোম্পানি যেসকল কোম্পানির ৫০% শেয়ার ক্রয় করে তাদেরকেই সাবসিডিয়ারি কোম্পানি বা অধীন কোম্পানি বলে।

অসীম দায় কোম্পানি

যে নিবন্ধিত কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের দায় অসীম অর্থাৎ শেয়ারহোল্ডারদের দায় তাদের বিনিয়োগের বাইরেও ব্যক্তিগতভাবে বর্তায় তাকেই অসীম দায়সম্পন্ন কোম্পানি বলে। বাংলাদেশে এধরণের কারবারের অস্তিত্ব নেই।

অনিবন্ধিত কোম্পানি

বাংলাদেশের কোম্পানী আইনের ৩৭১ ধারা অনুযায়ী অনিবন্ধিত কোম্পানী হলো ৭ সদস্যের অধিক সদস্য নিয়ে গঠিত কোনো অংশিদারী ব্যবসায় বা সমিতি যা কোম্পানি আইনের আওতায় নিবন্ধিত নয়। ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অনুযায়ী এধরণের প্রতিষ্ঠানকে কোম্পানি বলা চলে না। তবে, কোম্পানি অবলুপ্তির কালে সীমিত পর্যায়ে এটা কোম্পানি বলে গণ্য হয়। বাংলাদেশে কার্যত এরূপ কোম্পানির অস্তিত্ব নেই।

অন্যান্য
অব্যবসায়ী কোম্পানি

 

জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে কোনো অব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মুনাফা অর্জন করে তা জনকল্যাণ কাজে ব্যবহার করলে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে সরকার তার সন্তুষ্টিস্বাপেক্ষে সীমাবদ্ধ দায় কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধনের নির্দেশ দিতে পারে। একোম্পানির নামের শেষে ‘লিমিটেড’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয় না।

সমবায় সমিতি (Cooperative)

সমবায় একটি ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান যেটি একদল সদস্য তাদের সম্মিলিত কল্যাণের জন্য পরিচালনা করেন। আন্তজাতিক সমবায় মৈত্রী (International Co-operative Alliance) তাদের সমবায় পরিচিতি নির্দেশিকাতে সমবায়ের সংজ্ঞা দিয়েছে এই ভাবে যে, সমবায় হল সমমনা মানুষের স্বেচ্ছাসেবামূলক একটি স্বশাসিত সংগঠন যা নিজেদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে এবং এ লক্ষে অংশীদারিত্ব ভিত্তিতে গণতান্ত্রিকভাবে নিয়ন্ত্রিত ব্যাবসা পরিচালনা করে।  একটি সমবায় প্রতিষ্ঠানটি এমনও হতে পারে যেখানে ব্যবসাটি এর সুবিধাভোগী সকলে সমভাবে নিয়ন্ত্রণ করে অথবা তারাই এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। সমবায় ভিত্তিক ব্যাবসা নিয়ে শিক্ষার যে ধারায় পড়ানো হয় তাকে 'সমবায় অর্থনীতি' নামে পরিচিত।

সমবায় সংগঠনগুলো কার্যকর ভাবে ও দক্ষতার সাথে পরিচালনার লক্ষ্যে আন্তজাতিক সমবায় মৈত্রী (International Co-operative Alliance) কর্তৃক সমবায় পরিচিতি নির্দেশিকাতে ৭ টি মূলনীতি ঘোষণা করেছে।

স্বতঃস্ফূর্ত ও অবাধ সদস্যপদ (Voluntary and open Membership) সদস্যের গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণ (Democratic Member Control) সদস্যের আর্থিক অংশ গ্রহণ (Member Economic Participation) স্বায়ত্বশাসন ও স্বাধীনতা (Autonomy and Independence) শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও তথ্য (Education, Training & Information) আন্তঃসমবায় সহযোগিতা (Co-operation among Co-operative) সমাজিক অঙ্গীকার (Concern for Community)
তথ্যসূত্র
An Introduction to Business by Ashen Malven O'Sullivan, Arthur; Steven M. Sheffrin (2003)। Economics: Principles in action। Upper Saddle River, New Jersey 07458: Pearson Prentice Hall। পৃ: 202।
০ Likes ০ Comments ০ Share ২৩১৬ Views