Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এম রহমান

৯ বছর আগে

বেজাতের কচুঃ সালাহউদ্দিন শুভ্র

 

‘প্রথম আলো’তে না-লেখার মতো বিপ্লব আনু মুহাম্মদ কবে ঘটাইবেন?


আগে অনেকবার এ কথা শুনছি যে প্রথম আলো আনু মুহাম্মদের লেখা কাটে। স্যারের ঘনিষ্ঠজনেদের মুখে জানছিলাম যে তিনি এমন লেখা কাটা পছন্দ করেন না। তারপরেও কেন তিনি লেখেন? কারণ একটা পাবলিক স্পেস। তার যুক্তি, রাজনৈতিক দিশা, মত, বিরোধীতা পাবলিকলি হাজির করার উপায় হিসাবে পি আলো বেটার। নো ডাউট।

তবে এরও একটা সময় বা পর্যায় থাকা দরকার, সীমানা নির্ধারণ করা দরকার। নইলে তিনি যারে উপায় হিসাবে ব্যবহার করতে চাইতেছিলেন, সেই উপায় নিজেই তারে উপায় হিসাবে ব্যবহার করতে কতক্ষণ।

এই হুঁশ কি আছে না বিপ্লবে মশগুল মন সেই বিবেচনার মধ্যে নাই? সোজা কথায় প্রথম আলোর বন্দুক হিসাবে আনু মুহাম্মদ নিজেরে ব্যবহার করতে দিতে অজ্ঞানেই রাজি হয়ে গেলেন?
সংবাদপত্র হিসাবে প্রথম আলো তার বেশিরভাগ চরিত্র খোয়াইছে। তারা নিজেরাই বলে সংবাদপত্রের চাইতে বেশি কিছু। ওই বেশি কিছু নামের ডালপালা এখন তাদের আসল। আর পত্রিকা পরিচয়টা গৌণ।

মানের আলাপ বাদ দিলেও এই পত্রিকাটা এমনকি ইন্ডিয়ার হিন্দু থিকা শুরু কইরা আনন্দবাজারের মতো সাংবাদিকতা প্রধান থাকতে পারে নাই। এরা এখন বিএনপি-আওয়ামীলীগের রাজনীতির বাইরে কিছু একটা রাজনীতি করতে চায়। সিঁধ কাইটা কোনো সাপ-কেঁচো ডাইকা আনতে চায়। তা আনুরা এমন সিঁধকাঠির বুদ্ধিজীবীতা চালায়েই যাইবেন এই পত্রিকায় লেখা ছাপানোর বদৌলতে?

কথাটা এ জন্যই বলা যে আনু মুহাম্মদ বিপ্লব করতে চান। বেশিরভাগ মানুষের গণতন্ত্র কায়েম করতে চান। নইলে তার এমন লেখালেখি নিয়া আমার আপত্তির কারণ ছিল না।

তিনি আজকে  (০২-০৬-১৪)  একটা কমেন্টারি দিছেন যে বিএনপি-আওয়ামীলীগ দুই দলই ফরমালিনযুক্ত। আমার ধারণা পি আলোরে এভয়েডের টেন্ডেন্সি থাকলে তিনি এই কমেন্টারি দিতেন না। এইটা ভুল কমেন্ট।

শাসক এবং বিরোধী দলেরে এক কাতারে রাখা পলিটিক্যালি ঠিক হয় না। আওয়ামীলীগ যদি শাসক হয় তাইলে বুঝতে হবে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মীরে সে পীড়নের মধ্যে রাখছে। তাদের প্রতি সহানুভূতির অর্থেও এই সময়ে দুইটারে একই দল সাব্যস্ত করার দরকার ছিল না। এইটা তো কোনো খুতবা পাঠের আসরও না, ধর্মের আলাপও না। পলিটিক্যালি আওয়ামী লীগেরে মাইনা নেয়ার কায়দা বরং। দুই দলই সমান হইলে আওয়ামী লীগ এখন যেমন-তেমন ক্ষমতায় থাকতে সমস্যা কী? আনু মুহাম্মদের মনেও তাই আছে। তিনি বলছেন, ‘কিন্তু ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর থেকে এই বিচার–প্রক্রিয়ায় শ্লথগতি এবং উল্টো কথায় ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির আভাস পাওয়া যাচ্ছে।’ মানে ৫ তারিখের নির্বাচন ঠিকাছে। এখন বিপ্লবের জন্য বইসা থাকো। আওয়ামী লীগের অযাচিত সন্তান হিসাবে বিপ্লব নাজেল হওয়া তক প্রথম আলোতে লেইখা যাও?

একই ভাবে আওয়ামী হেজিমনির মধ্যে নিজের কিছু সময় নষ্ট করার নজির হিসাবেও এইটা উত্তম। মানে ফরমালিন দিয়া রাজনীতি বুঝার কমদরি বুদ্ধিজীবীতা ওনার কাছ থেকে অন্তত আমি আশা করি নাই। এমনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে যেইটা লেখা যায় সেটা প্রথম আলোতে ছাপার রাজনৈতিক অর্থের যে তফাৎ তৈরি হয় সে বিষয়েও কি তিনি সজাগ ছিলেন না?

তাইলে স্বাস্থ্যকর (ধইরা নিলাম ফরমালিনের বিপরীত) রাজনীতি কই আছে দেশে? মানে অপুষ্ট ফরমালিনবিহীন ফলেও কি জাতির কোনো উপকার আছে? নাকি জামায়াত নিষিদ্ধ পর্যন্ত সব ছহি। আর যেহেতু পক্ষ নাই, আনু মুহাম্মদও এ বিষয়ে পি আলো আর আওয়ামী লীগে আস্থা রাখতেছেন?

আমার অন্তত খুব আক্ষেপ আছে এসব পরিষ্কার না-হওয়াতে।

১ Likes ২ Comments ০ Share ৪৭৯ Views

Comments (2)

  • - মাসুম বাদল

    অশেষ ধন্যবাদ ও শুভকামনা...

    - প্রহেলিকা

    ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

    - MD JAHID HOSSAIN

    সকলের জন্য এই বিষয়টি আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

     

    Load more comments...