Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বুদ্ধিমান বোকা

আমাদের গফুরে, বড় সড় রাখালে

দুই পশু আছে তার বিশাল গোয়ালে

তাইতো গফুরে উঠে রোজ সকালে

পশু নিয়ে যায় মাঠে ফিরে সেই বিকালে।

সাবধানি গফুর তাই বার বার নেয় খোজ

পশু গুলো আদরের হয়ে উঠে রোজ রোজ।

একখান ছাগী আর এক খান গাই গরু

এই নিয়ে গফুরের রাখালী হয় শুরু।

গরুটা বেয়াড়া কথা কভু শোনেনা

ছাগীটাও কম নয়, ভ্য ভ্য থামেনা।

তবুও সে দুটিকেই ভালবাসে সমানে

অস্থির হয়ে উঠে না থাকলে সামনে।

 

একদিন ছাগীটা চলে গেল পাহাড়ে।

পাহাড়ে উঠে গেলে বিলটাকে মাড়িয়ে

ভাবল ছাগীখানা গফুর কি খুড়া কানা

এই খানে কত ঘাস আমাদের আনেনা।

ভাবে ছাগী এই খানে সুখ কত আহারে

গফুর টা বোকা কত, বোঝেনা বাহারে।

এদিকে দিন শেষে নেমে আসে সন্ধ্যা

আলোটাকে হারিয়ে ছাগী এখন আন্ধা।

হঠাতই মনে হলো ফিরবে বাড়ীতে

কিন্তু সে হারালো আধারের সারিতে।

 

ঘুরে ঘুরে হয়রান, ক্লান্তিতে বেসামাল

ঘুরে ঘুরে পেয়ে গেল বড় গুহা একখান।

কাউকে না পেয়ে অসহায় লাগে তার

ভাবছে আনমনে, আসলে এটা কার।

হঠাত করে কার যেন পদধ্বনি শুনছে

ওইতো কে যেন আসছে, প্রহর গুনছে।

আসলে ছাগীটার ভয়ে প্রান অন্ত

বাঘের গুহা যে এটা কি সে জানতো?

 

এইবার বাঘটা গুহার দিকে চলছে।

দেখা গেল ভিতরে চোখ দুটি জ্বলছে।

ডাকলো বার বার, গুহায় কেরে তুই

বনের রাজা আমি, এই খানে আমি শুই।

ভয়ে মরে ছাগীটা, হঠাত বুদ্ধি খুলে যায়।

মনে মনে  সাহস এনে  ছন্দটা বলে যায়।

ঘন ঘন দাড়ি নড়ে দুই চোখে বিজলী

সিংহের মামা আমি দেই নর বলি।

আমার সামনে সবি বিড়াল ছানা।

বাচতে চাইলে তুই পালা পালা পালা।

 

এই শুনে বাঘরাজ ভয়ে যেন মরে যায়

দৌড়ায় প্রান পনে যদি কিছু হয়ে যায়।

নিজেকে কখনো ছোট নহে ভাবনায়

সময়ে বোকারাও বুদ্ধিমান হয়ে যায়।।

০ Likes ৩ Comments ০ Share ৭৪৬ Views