Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

সালাহ্‌ আদ-দীন

১০ বছর আগে

বিলেতের পথে পথেঃ ভুতের দুর্গ

টাওয়ার অব লন্ডন

দুর্গটির অনেক নাম। তবে বেশির ভাগ মানুষ একে টাওয়ার অব লন্ডন নামেই জানেন। আবার অনেকের কাছে হয়ত Her Majesty's Royal Palace and Fortress নামটাও পরিচিত। দুর্গটি কখনও রাজপ্রসাদ, কখনও জেলখানা, কখনও জল্লাদখানা, কখনও রাজ্যের কোষাগার আবার কখনও অস্রাগার হিসাবেই ব্যাবরিত হয়েছে। এখানেই রাখা হয়েছে রানীর মুকুট বা Crown Jewels. এত পরিচয়ের পরেও আমি একে ভুতের দুর্গ বলতেই বেশি সাচ্ছন্দ বোধ করছি। কারণটা অবশ্য টাস করে বলে ফেলতে চাইছিনা। শুধু এতটুকুই বলছি, সর্ব শেষ গত অলিম্পিকের ৯০৬ টি পদক রাখা হয়েছিল এই দুর্গে । তখন বেশ কয়েকটি পত্রিকা লিখেছিল, ভূতেরাই নিরাপত্তা দিচ্ছেন অলিম্পিকের গর্বের ৯০৬টি পদক।

অলিম্পিক গোল্ড মেডেলের পাশে আমি

কোথাও যাওয়ার আগে ইন্টারনেট থেকে সব কিছু আমি আগেই জেনে নেই। কাজেই টাওয়ার হিল পাতাল ষ্টেশনের বাহিরে এসে আমার কাছে জায়গাটা একটুও অপরিচিত মনে হল না। শীতকাল তাই একটু ঠাণ্ডাই মনে হল। সাথের সব কিছু ঠিক আছে কি না দেখে নিলাম আরেকবার। সাথের সবকিছু মানে ট্যাব, ম্যাপ, ক্যামেরা, ট্রাইপড, টিকেট ইত্যাদি।

স্টেশন থেকে বের হয়েই ষ্টেশনের সামনের বড় রস্তার নিচ দিয়ে যে সুড়ঙ্গ পথটি চলে গেছে ঐটাই হচ্ছে টাওয়ার অব লন্ডনে যাওয়ার পথ। একটু সামনে গেলেই যে বিশাল দুর্গ দেখবেন ঐটাই টাওয়ার অব লন্ডন। তবে আমি প্রথমে ঐ দিকে না গিয়ে টাওয়ার হিল মেমোরিয়ালে গেলাম। ঐটা একেবারেই ষ্টেশনের সামনে। এখান থেকে বেশ ভাল ভাবে টাওয়ার অব লন্ডন দেখা যায়। মেমোরিয়ালটা বেশ উঁচু জায়গায়, অনেকটা টিলার মত। পরে আবার নিচের দিকে এসে মূল রাস্তার নিচ দিয়ে চলে এলাম টিকেট অফিসে। আসার সময় আমাকে একটা ব্যাপার খুব অবাক করেছে। যেহেতু আমি দুর্গের পাশ দিয়েই টিকেট অফিসে এসেছি সেহেতু আমি মুটামুটি দুর্গের বাহিরের অংশটা দেখেছি। দুর্গের এক পাশে টেমস নদী এক পাশে টাওয়ার ব্রিজে যাবার রাস্তা আর দুই পাশে পরিখা! পরিখা বুজেন তো? একটু খোলাসা করি। পঞ্চম হিজরি সনে যখন ইহুদী ও কুরাইশদের সমবায়ে প্রায় দশ হাজার লোকের এক বিরাট বাহিনী মদিনায় আক্রমন করার পরিকল্পনা করে তখন আল্লাহ্‌র রাসুল হযরত সালমান ফারেসীর (রা) এর পরামর্শ অনুযায়ী মদিনার যে পাশ খোলা ছিল সেই পাশে একটি খাল খনন করে ফেলেন যাতে দুশমনরা সহজেই মদিনায় আক্রমন করতে না পারে, যা খন্দক বা পরিখার যুদ্ধ নামে ইসলামের ইতিহাসে প্রসিদ্ধ। এখানেও ঠিক একই সমর কৌশলের ব্যাবহার করা হয়েছে! আমার আরও যে কয়েকটা দুর্গে যাবার সুযোগ হয়েছে সেই সকল দুর্গে আমি এরকম পরিখা দেখিনি।


রাতের আলোয় টেমস নদীর অন্য পাশ থেকে তুলা টাওয়ার অব লন্ডনের ছবি

টাওয়ার অব লন্ডন! বিলেতের ইতিহাসের অনেকটা জায়গা জুড়েই এর অবস্থান। ইতিহাসের পাতা উল্টালে জানা যায় ১০৬৬ সালের শেষের দিকে Norman’দের শাসন আমলে টেমস নদীর তীরে টাওয়ার হিল নামক স্থানে প্রায় ১১ একর জায়গার উপর নির্মিত হয় ঐতিহাসিক এই দুর্গটি। শুরুর দিকে দুর্গটি রাজপ্রসাদ হিসাবে ব্যাহরিত হলেও ১১০০ সাল থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত দুর্গটি জেল খানা হিসাবে ব্যাহরিত হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬শ থেকে ১৭শ শতাব্দিতেই দুর্গটি সবচেয়ে বেশি ব্যাবরিত হয়েছে জেলখানা হিসাবে। এসময় এখানে অনেক বিখ্যাত লোককে বন্ধী করে রাখা হয়েছিল। বিশেষ করে Elizabeth I ও রানী হবার পূর্বে এখানকার একজন কায়েদি ছিলেন। এখানে অফ টপিক একটা কথা বলে নেয়া ভাল। Elizabeth I এর মা Anne Boleyn ছিলেন Henry VIII এর দ্বিতীয় স্ত্রী যাকে টাওয়ার অব লন্ডনেই শিরশ্ছেদ করা হয়। বাবা চেয়ে ছিলেন ছেলে হবে কিন্তু হল মেয়ে। পরে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে মা Anne Boleyn কে মৃত্যুদণ্ড এবং মেয়ে কে জারজ আখ্যায়িত করেন বাবা King Henry VIII. শুধু তাই নয় ইতিহাস সাক্ষী দেয় Henry VIII এর সময়ে টাওয়ার অব লন্ডন কায়েদিদের জন্যে ছিল ভয়ঙ্কর এক জায়গা।


পর্যটকদের আনন্দ দেবার জন্যে এরা একজন রাজা হেনরি অষ্টম এবং একজন তার মেয়ে এলিজাবেথ প্রথম সেজে আছেন।


বাবা মেয়ে একসাথে। তবে বাস্তবে হয়ত কখনোই এমন হয়নি! এই বাবাই মেয়েকে জারজ ঘোষণা করে মাকে শিরশ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছিলেন

প্রথম এবং দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময়ে এখানে অনেক কায়েদি এবং গুপ্তচরদের ধরে এনে নির্যাতনের পরে হত্যা করা হয়েছিল। এদের মধ্যে হিটলারের সহকারী Rudolf Hess এর নাম উল্লেখযোগ্য। ১৯৪১ সালে তাকে এখানে চার দিন রাখা হয়েছিল। তিনিই ছিলেন এখানকার সর্ব শেষ রাজ বন্ধী এবং টাওয়ারে সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত গুপ্তচর ছিলেন জার্মান গুপ্তচর Josef Jakobs যাকে ১৯৪১ সালের ১৪ আগস্ট এখানে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এত কিছুর পরেও টাওয়ার অব লন্ডন পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে পরিচিত অন্য আরেকটি কারনে। রানীর মুকুটে রাখা পৃথিবীর সবচেয়ে মুল্যবান হীরা কুহিনূর বা Crown Jewels রাখা হয়েছে এখানে! টাওয়ার অব লন্ডনে ক্রাউন জুয়েল হাউজ তৈরি করা হয়েছিল মূলত রাজ মুকুট, স্বর্ণ এবং তলোয়ার জাতীয় মুল্যবান জিনিস পত্র রাখার জন্যে। ধারনা করা হয় King Henry III এর শাসন আমল থেকে এটি এখানে রাখা হয়ে আসছে। এই ডায়মন্ড সম্পর্কে একটি ভবিষ্যৎ বানী এরকম “He who owns this diamond will own the world, but will also know all its misfortunes. Only God, or a woman, can wear it with impunity”. ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায় রানী ভিক্টোরিয়ার শাসন আমলে ১৮৫০ সালের ৬ এপ্রিল পাঞ্জাবের মহারাজা দিলিপ সিং এর কাছ থেকে জাহাজে করে একই সালের ২রা জুলাই ইংল্যান্ডের পোর্টস মাউথ বন্দর হয়ে এটি লন্ডনে নিয়ে আসা হয়। পরে এটি নতুন করে কেটে রাজ মুকুটে স্থাপন করা হয়। শুরুর দিকে এর ওজন বেশি থাকলেও নতুন করে কাটার পরে এর ওজন দাড়ায় ১০৮ দশমিক ৯৩ মেট্রিক ক্যারেট।


রাজ মুকুট

টিকিট সংগ্রহ করে আমি কিউ করলাম মানে লাইনে দাঁড়ালাম। এদেশের এই একটা জিনিস আমার খুব ভাল লাগে। পৃথিবী উল্টে গেলেও এরা বিশৃঙ্খলা করে না। সবাই লাইনে দাঁড়াবে। নেই কোন ধাক্কাধাক্কি! হোক যত ভিড়। দুর্গে প্রবেশের দুইটি পথ থাকলেও আমি মূল প্রবেশ পথ মিডল টাওয়ার এর ভিতর দিয়েই প্রবেশ করলাম। গেইটে আমার ব্যাগ ভাল করে পরীক্ষা করা হল। সমস্যা সৃষ্টি করল ক্যামেরার ট্রাইপড। প্যাকেট করা ছিল তাই পুরাটা খুলে নিরাপক্তা কর্মীকে দেখাতে হল! মিডল টাওয়ার থেকে একটু সামনে গেলেই byward tower. এখানে চাইলে যে কেউ গাইড বুক করতে পারে তবে আমি যেহেতু আগে থেকেই সব কিছু জেনে ইন্টারনেট থেকে খুঁটিনাটি প্রিন্ট করে নিয়ে এসেছি তাই আমার এসবের দরকার হল না। water lane ধরে হেটে St Thomas’s Tower এ প্রবেশ করলাম। এখান থেকে দুর্গের মূল প্রাচীরের ভিতর দিয়ে হেটে দুর্গ প্রদক্ষিণ করা যায়। এখান থেকে আমি ধারাবাহিক ভাবে Wakefield Tower, Lanthorn Tower, Salt Tower, Broad Arrow Tower, Constable Tower, Martin Tower, Brick Tower, Bowyer Tower হয়ে আমি Waterloo Block এর সামনে চলে এলাম। দেখতে হবে রানীর মুকুট। তবে এখানে ক্যামেরা ব্যাবহার করা একেবারেই নিষেধ। কিন্তু রানীর মুকুটের ছবি তুলার ভূত আমার মাথায় চেপে বসল। অবশেষে ছবি তুলতে না পারলেও বুক পকেটে লাগানু গোপন ক্যামেরায় ভিডিও করে ফেললাম পুরা মুকুট। আমি এর আগেও বেশ কয়েকটি জায়গায় পিউর হীরা দেখেছি। তবে কুহিনূর আমাকে সত্যি অবাক করেছে। জুয়েল হাউজের অন্ধকার একটি ঘরে রাখা হয়েছে এটি। তবে ঘরটি অসম্ভব রকম ভাবে আলোকিত হয়ে আছে হীরা থেকে বিচ্ছুরিত আলোয়। আর হয়ত সে কারনেই এর নাম দেয়া হয়েছিল কুহিনূর (mountain of light). এখানে একটা কথা বলে নেয়া ভাল যে, রানীর মুকুট পাহারা দেবার জন্যে খোদ বাকিংহাম প্যালেস থেকে বিশেষ সৈন্যবাহিনীর সদস্যরা এখানে আসেন। শুধু কি তাই? সম্পূর্ণ নিরাপক্তা নিশ্চিত করার জন্যে প্রতিদিন সকালে সৈন্যদেরকে the word নামক বিশেষ কাপড়ে খচিত পাসওয়ার্ড দেয়া হয় যাতে রাতে কেউ দুর্গে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে চ্যালেঞ্জ করার জন্যে।


জুয়েল হাউজের সামনের গার্ড এরা একদম নড়াচড়া করে না। ঐ সৈনিকটাকে আমি বেশ কিছুক্ষন জ্বালিয়ে ছিলাম। তবে এরা যেহেতু কথা বলেনা এবং নড়ে না তাই আমি বেচে গিয়েছিলাম।


বিশেষ গার্ডদের সাথে

আমি এই দুর্গটিকে ভুতের দুর্গ বলার কারণটা বেশ মজার আর ভয়ঙ্কর। যেহেতু এই দুর্গটি প্রায় নয় শত বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগার এবং জল্লাদ খানা হিসাবে ব্যাবরিত হয়েছিল তাই এখানে হত্যা করা হয়েছিল অনেক ব্যাক্তিকে। এদের মধ্যে Anne Boleyn, Henry VI, Lady Jane Grey, Margaret Pole, এবং the Princes in the Tower এর নাম বিশেষ ভাবে উল্লেখ যোগ্য। এরা সকলেই ছিলেন রাজ পরিবারের সদস্য। আর ভয়ংকর ব্যাপার হচ্ছে এদেরকেই বিভিন্ন সময়ে দেখা যায় দুর্গের বিভিন্ন স্থানে হাটা হাটি করতে। দেখেছেন অনেকেই! মিলেছে একজনের সাথে আরেকজনের বর্ণনা। বিশেষ করে হোয়াইট টাওয়ারের ভিতরের চ্যাপেলে সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে Anne Boleyn কে। সকলেই দেখেছেন তিনি তার দ্বিখণ্ডিত মাথা বগলে নিয়ে আনমনে হাটছেন চ্যাপেলের ভিতরে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর ঘটনাটি ঘটে ১৮১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। একজন প্রহরী জুয়েল হাউজের সামনে দেখেন একটি ভয়ংকর ভাল্লুক (একজন রাজা টেমসে মাছ শিকারে যাওয়ার সময় ভাল্লুক সাথে করে নিয়ে যেতেন) তার দিকে এগিয়ে আসছে। প্রচণ্ড ভয় পেয়ে তিনি কিছু দিনের মধ্যেই মারা যান। ১৮১৭ সালের অক্টোবর মাসে জুয়েল হাউজের কিপার Edmund Lenthal Swifte প্রত্যক্ষ করেন এমনই আরেকটি ঘটনা। তবে এরকম প্রায় হাজার খানেক তথ্য রয়েছে কর্তৃপক্ষের কাছে। সর্ব শেষ খুব সম্ভবত ২০০৯ সালে দুর্গের রাত্রিকালীন বেশ কয়েকজন প্রহরীও একই অভিজ্ঞতার কথা বলেছিলেন।


এখানেই বেশি দেখা গেছে Anne Boleyn কে। সকলেই দেখেছেন তিনি তার দ্বিখণ্ডিত মাথা বগলে নিয়ে আনমনে হাটছেন চ্যাপেলের ভিতরে


এই জায়গাটিতেই অশরীরী আত্মাদের হাটতে দেখেছেন অনেকেই

রানীর মুকুট দেখার পর Chapel Royal of St Peter ad Vincula ভিতরে প্রবেশ করলাম। এখানেই মাঝে মাঝে Anne Boleyn কে তার দ্বিখণ্ডিত মাথা হাতে নিয়ে পায়চারী করতে দেখেছেন অনেকেই। এর পর চলে এলাম Tower Green এ। এখানে এসে দেখা হয়ে গেল Tower Ravens এর সাথে। দেখতে অনেকটা কাকের মত। এদের সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, "If the Tower of London ravens are lost or fly away, the Crown will fall and Britain with it." হয়ত এটা কুসংস্কার তবুও ব্রিটিশরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করে এটি।


দেখতে অনেকটা কাকের মত মনে হলেও এদের নামই ravens

এর পর হেটে হেটে চলে এলাম Bloody Tower এ। এখানে কায়েদীদের উপর নির্যাতন এমনকি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হত। সবশেষে গেলাম White Tower এবং Fusiliers museum এ।


হুয়াইট টাওয়ার


হুয়াইট টাওয়ারের বাহিরে আমি


হুয়াইট টাওয়ারের আরও একটি ছবি


এই ভদ্রলোককে চেনার দায়িত্ব আপনাদের


ছবিটি দুর্গের ভিতরের মিউজিয়াম থেকে তুলা

এবার ফিরে আসার পালা। পেছনে ফিরে তাকালাম। মনে হল কয়েক শতাব্দীর পেছনের সময় থেকে বেড়িয়ে আধুনিক সভ্যতায় প্রবেশ করছি। সামনে টাওয়ার ব্রিজ আর বিশাল বিশাল অট্টালিকা চোখে পড়ল!


এগুলো একসময় গোলাবারুদ ছুঁড়ার জন্যে ব্যাবহার করা হত।


ম্যাডিবাল টাওয়ার থেকে তুলা দুর্গের বাহিরে টাওয়ার ব্রিজ


দুর্গের ভিতর থেকে টাওয়ার ব্রিজের আরও একটি ছবি


এই ছবিটি Broad Arrow Tower এর বারান্দা থেকে তুলা


রাজ সিংহাসন



দুর্গ থেকে বের হবার পথে


ছুঁয়ে দেখার জন্যে দুর্গের কার্পেটের নমুনা


গোলাবারুদ ছুড়ে মারার জন্যে ব্যাবহার ক্রা হত এদের


বিশেষ ধরনের ধনুক

১ Likes ১৯ Comments ০ Share ১২২০ Views

Comments (19)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    নাইস ফুল্

    • - মরুভূমির জলদস্যু

      আসলেই

    - নীল সাধু

    বাহ!!

     

    শুভেচ্ছা আপনার জন্য।

    • - মরুভূমির জলদস্যু

      কাঠগোলাপের শুভেচ্ছা আপনার জন্যও

    - সনাতন পাঠক

    এ ফুলের নাম কি কাঠগোলাপ?

    ধন্যবাদ আপনাকে

    • - মরুভূমির জলদস্যু

      জ্বি, কাঠগোলাপ

    Load more comments...