Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

বাংলা নিউজ

১০ বছর আগে

বিরোধীদলীয় নেত্রী এতদিনে মাঠে নামছেন

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের টানা হরতাল অবরোধে ঢাকার বাইরে আন্দোলন জোরদার হলেও রাজধানীতে মাঠে পাওয়া যাচ্ছে না দলের শীর্ষ নেতাদের। সরকারের প্রতি প্রবল হুঙ্কার তুলে অন্দোলনের কঠোর কর্মসূচি দিলেও রাজপথে তাদের অনুপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এ নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ সারাদেশের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। শীর্ষ নেতাদের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেও। তাই নেতাদের উপর ভরসা না রেখে শিগগিরই মাঠে নামার পরিকল্পনা করছেন দলের হাইকমান্ড।

গত ২৫ অক্টোবরের পর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। বিগত সময়ের আন্দোলন কর্মসূচিতে ঢাকার বাইরের জেলাগুলোতে স্থানীয় নেতারা রাজপথে থাকলেও বেশিরভাগ অঞ্চলে শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ জোরালো নয়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা অনুপস্থিত। দলের হাইকমান্ডের নির্দেশ থাকলেও এসব নেতাদের অনেকেই ঢাকায় বসে এলাকায় অবস্থানের সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা গণমাধ্যমসহ জানিয়ে দেন কেন্দ্রকে। অনেকেই আবার সরাসরি আন্দোলনে যোগ না দিয়ে ফোনেই যোগাযোগ রাখেন না তৃণমূলের সঙ্গে।

অভিযোগ রয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশে আন্দোলন করতে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার, হামলায় আহত ও মামলায় আসামি হওয়া নেতাকর্মীদেরও খোঁজখবর রাখেন না নেতৃত্বস্থানীয় কেউ। এমনকি নেতৃত্ব শূন্যতায় আন্দোলনের দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না তৃণমূল। আর এতে করে আন্দোলনের আগ্রহ হারাচ্ছে তারা।

সরকারের আচরণে সারাদেশের মানুষ এখন সোচ্চার বলে মনে করছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। তাদের মতে, তীব্র আন্দোলন শুরু হলে ক্ষমতা ছেড়ে পালাবে সরকার। বাধ্য হবে সব দাবি মেনে নিতে। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতাদের কারণেই কোনো আন্দোলনের ফসল ঘরে তোলা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে তৃণমূলের অভিযোগ, এক নেতা একাধিক পদ দখল করে রাখাও দলে নেতা সঙ্কটের জন্য দায়ী। একজন একাধিক পদে না থাকলে ওই পদে স্থান করে নিতে পারতো অন্য কেউ। এতে দলে নেতৃত্বের সংখ্যা বাড়তো। সেই সব নেতারা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারতেন। সব মিলিয়ে এখন রাজপথে প্রথম সারির নেতাদের অনুপস্থিতি, আত্মগোপনে থাকা, তৃণমূল নেতাকর্মীদের খোঁজখবর না নেয়ায় দিন দিন ক্ষোভ বাড়ছে তৃণমূলে।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার এড়াতে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, যুগ্ম-মহাসচিব, সম্পাদকসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের প্রায় সব নেতারা আত্মগোপনের ‘কৌশল’ গ্রহণ করেছেন। তবে তৃণমূলের মতে, অনকূল-প্রতিকূল পরিস্থিতির সমষ্টির নামই রাজনীতি। বিরোধীরাই প্রতিকূল অবস্থায় থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। আন্দোলনের ঘোষণাস্থল রাজধানীতেই আন্দোলনের সফলতা না পেলে মফস্বলের আন্দোলন কোনো কাজে আসবে না। এজন্য তারা সরকারের বিরুদ্ধে সফল হচ্ছে না। রাজধানীতে আন্দোলনের সফলতা ফিরে আনতে হলে প্রথম সারির কেন্দ্রীয় নেতাদেরকেই প্রথমে মাঠে নামতে হবে। কিন্তু বিএনপির মতো দল কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড দল নয়। তাই কর্মসূচি দিয়েই লাপাত্তা হয়ে যাওয়া কোনো ধরনের কৌশল হতে পারে না।

এদিকে নেতাদের এমন অবস্থানে শিগগিরই দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া নিজেই মাঠে নামছেন বলে দলের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইতোমধ্যে বিষয়টি তার উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাভোকেট মাহবুব হোসেন বাংলামেইলকে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠে নেই এটা আসলে সত্য না। রাজধানীসহ পুরো দেশে আন্দোলনের তীব্রতা অনেক বেশি। তবে সঙ্গত কারণে নেতারা কৌশল অবলম্বন করে চলছেন।’

তিনি বলেন, ‘সরকার দাবি না মানলে শিগগিরই বেগম জিয়া রাজপথে নামবেন। সেদিন সরকার পালানোর আর সময় পাবে না।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আন্দোলনের তীব্রতা দেখে সরকার যৌথবাহিনী ও দলীয় ক্যাডার বাহিনী দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর পাখির মতো গুলি করছে।’ তবে জনগণের আন্দোলনের মুখে সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে বলেও মন্তব্য করেন অ্যাডভোকেট মাহবুব।

বিএনপির চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা আহমেদ আজম খান এ বিষয়ে বাংলামেইলকে বলেন, ‘পুলিশ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো যেভাবে দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশ দিচ্ছে সে জন্যই রাস্তায় নেতারা নামতে পারছে না। যদি পাখির মতো গুলি না করা হতো তাহলে আজ ঢাকার রাস্তায় কোটি মানুষের আন্দোলন হতো। তখন কিন্তু সরকারের নেতারা পালাতে সময় পাবেন না।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকা ছাড়া আজ পুরো বাংলাদেশ অচল। সরকার দেশের কথা ভাবছে না। সারাদেশে আমাদের আন্দোলন সফল। কেন্দ্রীয়ভাবে না হলেও তৃণমূলে আমাদের আন্দোলন চাঙ্গা রয়েছে।’

চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মে. জে. (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘সরকারবিরোধী আন্দোলনে আজ পুরো দেশ রাজধানীর সঙ্গে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঠিক দিকনির্দেশনা না থাকলে এমন অবস্থার সৃষ্টি করা যে তো না। তবে সরকারের নির্বিচারে গুলির কারণে রাজধানীতে এর প্রভাব কিছুটা কম।’

০ Likes ২ Comments ০ Share ৪৩১ Views

Comments (2)

  • - রোদেলা

    পুরাটাই চলিত হইলে সেইরাম হইতো।

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      বিশ্লেষণ গ্রহণ করলাম । ধন্যবাদ ।

    - লুৎফুর রহমান পাশা

    সহমত

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      হুম 

    • Load more relies...
    - লুব্ধক রয়

    লেখাটি ভাল লেগেছে। ধন্যবাদ দাদা

    • - জাওয়াদ আহমেদ অর্ক

      ধন্যবাদ । 

    Load more comments...