মাত্র সেদিন একটা পোষ্ট দিয়েছিলাম জবাবদিহিতা নিয়ে। সুখের ব্যাপারী। তার পরদিনই এই বিপদ। যে কারনে গত ক'দিন ব্লগে আসতে পারিনি।
আমার আজকের এই পোষ্ট আগের সেই পোষ্টের একটা উদাহরন হিসেবেও নিতে পারেন। ভিন দেশে জবাবদিহিতা কোন পর্য্যায়ে আর আমাদের দেশে কোন পর্য্যায়ে?
তো কী সেই বিপদ?
এই ব্লগে যাঁরা আমার বন্ধু হিসেবে আছেন তাঁদের কেহ কেহ জানেন এখানে আমি একটা মেটাল ফ্যাক্টরীর দায়ীত্বে আছি, ম্যানেজার হিসেবে। গত শুক্রবার একটা ছেলে এ্যাক্সিডেন্ট করলো। কাজ করতে গিয়ে এ্যাক্সিডেন্ট। আমি তো আর কাজ করছিলাম না, কাজ করাচ্ছিলামও না। তার জন্য সুপারভাইজাররা রয়েছে। তার পরও জবাবদিহি করতে করতে আমার ঘুম নাওয়া খাওয়া বন্ধ হবার অবস্থা। ব্লগিং করবো কখন?
যতক্ষন পর্য্যন্ত প্রমান করতে না পারছি আমার পক্ষ থেকে ওয়ার্কারের নিরাপত্তার ব্যাপারে কোন ক্রুটি ছিল না, ততক্ষন পর্য্যন্ত আমি খড়গের নীচে। চাকরী তো যাবেই, জেল পর্য্যন্ত হতে পারে। নির্ভর করবে ওয়ার্কারের জীবনহানী আর অবহেলার মাত্রার উপর।
প্রশ্ন হতে পারে এই জবাবদিহিতার ব্যাপারটা শুধু আমারই বেলায় কেন? আসলে তা নয়। এটা ওয়ার্কার লেভেল থেকে শুরু করে এম ডি পর্য্যন্ত সবার বেলায়ই প্রযোজ্য। যে যার অবস্থানে থেকে আনসার দিয়ে যাবে। এবং কোথাও ফাঁকি বরদাস্ত করা হবে না।
আমার কোন দূর্বলতা ছিল না। তবে জবাবদিহির প্রতিটা পর্যায় আমাকে পেরিয়ে যেতে হয়েছে। আর এই ধাপ গুলো পেরিয়ে যাবার পর কোন লোকই দ্বিতীয়বার আর এই পরিস্থিতিতে পড়তে চাইবে না। অর্থাৎ আরো ডেভেলপ করতে সচেষ্ট হবে নিজের কর্ম পরিবেশের।
আছে আমাদের দেশে এমন কোন ব্যাবস্থা? যাতে করে দায়ীত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তিদের ঘুম খাওয়া দাওয়া বন্ধ হতে পারে?
টেনশনে যদি ফেলতে না পারেন, লোকেরা দৌড়ুবে কেন?
কিছু না করে আরামে থাকতে পারলে লোকেরা কাজ করবে কেন?
দায়ীত্বে অবহেলার জন্য কোনরূপ জবাবদিহিতার মুখে না পড়লে লোকেরা দায়ীত্বশীলতার পরিচয় দিবে না, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের দেশে যা হর হামেশাই ঘটছে।
ঘটনাটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আপনারা এ ধরনের আরো ঘটনা মিডিয়ায় বা ব্লগে শেয়ার করুন। এক মুখ দু মুখ হতে হতে আমাদের দেশের কর্তাব্যাক্তিদের ঘুম যদি ভাঙ্গে!
সময় এখন জেগে পথ চলার। পৃথিবী এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা ঘুমিয়ে থাকবো আর কত?
Comments (7)
শুভেচ্ছা আপনার জন্য!
ভালো থাকবেন।