কালকে রাতে দুইটায় ঘুমাতে গিয়েছি।সাহিত্যের সাধনায় নিয়োজিত থাকতে থাকতে আপন অস্তিত্ব নাওয়া খাওয়া ঘুম সব জৈবিক প্রাকৃতিক ক্রিয়াকান্ড নাকি ভূলে যেতে বসেছি। প্রিয়জনদের এই মত আমার সম্পর্কে। আমি নিজে ও এখন এটা ভাবতে শুরু করেছি হয়তবা যে কোনভাবে হোক আইনষ্টাইন হয়তবা ছিলেন আমার দাদার পরদাদা বা পরদাদার পরদাদা। যে কোন ভাবে নিশ্চয় ই আইনষ্টাইনের সাথে আমার লিন্ক আছে। ঘটনা বর্ননা করলে সবাই তা উপলব্ধি করতে পারবে।
আইনষ্টাইন তার থিয়োরী অব রিলেটিভিটি আবিস্কার করতে গিয়ে অনেক অন্যমনস্কতার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি নাকি তার লাঠিটিকে বিছানায় শুইয়ে তারপর সারারাত জেগে দাড়িয়ে থাকতেন লাঠির জায়গায়। আমার ও সম্প্রতি এরকম হচ্ছে পায়ের জুতা খুলে বিছানায় শুইয়ে আমি দাড়িয়ে থাকি জুতার স্টান্ডের পাশে।
আমার অন্যমনস্কতার গল্প (যা আমার মা বাবার কাছে থেকে শোনা) শুনলে সবাই তা একবাক্যে স্বীকার করবে আমি অবশ্যই আইনষ্টাইনের উত্তরসূরী।
ছোটবেলায় যখন আমি পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ি তখন নাকি এরকম করতাম রোড ক্রস করার সময় ভূলে যেতাম রাস্তার ওই পাড়ে যাওয়ার কথা। আমি নাকি দুলকি চালে রাস্তার মাঝখান দিয়ে হাটতে থাকতাম। আমার পিছনে বিপদজনক ট্রাক হর্ন দিতে থাকত। আমি হর্ন ও শুনতাম না। যাই হোক ওই ট্রাক গুলি ছিল জুটমিলের ট্রাক ।তাই তারা আমাকে পিষ্ট করে কখন ও চলে যায়নি। কিন্তু আমার আব্বাকে তারা বলত ডি সি সাহেব আপনার মেয়ের পিছনে বাস ট্রাক হর্ন দিতে থাকে তার কোন খবর থাকেনা সে কি যেন ভাবতে থাকে সারাদিন।
টরন্টো তে আসার পরে যেটা হয়েছে সবসময় যখন বাসে উঠি অবধারিতভাবে আমি আমার স্টপ ছেড়ে অন্য স্টপে নেমে পড়ি।গাড়ী চালাতে গিয়ে রেড লাইট ক্রস করে চলে যাই।এজন্য গাড়ী চালানো এখন আমার জন্য বিপদজনক ।
তো সবাই ভেবে দেখ অন্ততপক্ষে অন্যমনস্কতার কথা চিন্তা করলেও তো আইনষ্টাইনের সাথে সম্পর্ক দাড়িয়ে যায় ।না হয় আবিষ্কার করলাম থিওরী অব রিলেটিভিটি।
সবাইকে অনেক অনেক শুভ অপরাহ্ন।