Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

ফারজানা মৌরি

৯ বছর আগে

বাড়ি তৈরির কিছু সাধারন কৌশল.........

 

নির্মান ব্যায় কমাতে চাইলে, ছাদের উচ্চতা কমিয়ে ৯’ এমনকি ৮’ ও করা যেতে পারে। উচ্চতা কমালেও বাসার কম্ফোর্ট বাড়বে। যে ভাবে ওয়েল ডেকোরেটেড অফিসগুলোর ফল্স সিলিঙ ৮’ হাইটের হয়।

 ১) প্ল্যান & ডিজাইন : বিল্ডিঙের প্ল্যান আর প্লেসিং সঠিক ভাবে করতে পারলে, ফ্ল্যাট গুলো কম্ফোর্টেবল করা সহজ হয়। 

ক/ বিল্ডিঙের প্লেসিং : সাধারন বিল্ডিং গুলো ২ ইউনিটে ভাগ করা হয়। চেষ্টা করতে হবে দক্ষিন-পশ্চিম দিকটা যেনো ২টি ইউনিটে সমান ভাবে ভাগ হয়ে যায়। কারন এই দিকটাই গরম কালে সবচেয়ে উত্তপ্ত হয়। এতে করে কোন ১ দিকের ইউনিট গুলো একক ভাবে গরমে এ্যাফেক্টেড হবে না।  

 খ/ ঘরগুলোর অবস্থান : অনেকে ঘরে আলো-বাতাস বেশি ঢোকার জন্য দক্ষিন দিকে বেডরুম, লিভিংরুম গুলো করেন। কিন্তু জলবায়ুগত পরিবর্তন আর বিদ্যুত বিভ্রাটের জন্য এখন এই ধারনা গ্রহনযোগ্য নয়। রোদ সবচেয়ে বেশি পরে বাসার দক্ষিন-পশ্চিম দিকে। গরম হওয়া সেই দেয়াল রাত পর্যন্ত ঘর গরম রাখে। তাই দক্ষিন-পশ্চিম দিকে কিচেন, টয়লেট আর ড্রয়িংরুম করতে হবে। পক্ষান্তরে গ্রিষ্মকালে বাসার উত্তর-পুর্ব দিকে শুধু দুপুর পর্যন্ত মৃদু রোদ লাগে। বেডরুম বা লিভিংরুমের মতো দির্ঘ সময় কাটাবার ঘর গুলো রাখতে হবে অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা সেই দিকে।

গ/ বারান্দা : সম্ভব হলে ফ্ল্যাটের দক্ষিন-পশ্চিম দিকে শুধু গ্রিল ঘেরা টানা বারান্দা দিতে হবে। কিন্তু সেই গ্রিলে আবশ্যই বাশ বা পাটের পর্দা দিতে হব। বিশেষ ঐ পর্দা দেয়া বারান্দা তখন এর লাগোয়া ঘরের জন্য একটা হিট রেজিস্টরের মত কাজ করবে।* 

ঘ/ দক্ষিন-পশ্চিম সাইড: এই দিকটায় রোদ পরে পুরো বিল্ডিঙ গরম হয়। এজন্য এই সাইডে ইউক্যালিপ্টাস ধরনের উচু গাছ রাখতে হবে।

ঙ) রুফ টপ গার্ডেন: টপ ফ্লোরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনের জন্য ছাদে আম জাতিয় ছোট গাছ থাকতে হবে। লাউ-কুমড়ার সব্জি মাচাও খুব কাজে দেবে। লতানো গাছ বিল্ডিঙের চতুর্দিকে নামিয়ে দিতে হবে। এতে পাশের দেয়াল গুলোও ঠান্ডা থাকবে । 

চ) গ্রিন হাউজ: পাতলা কলাম বা স্টিল এঙ্গেল বা বাশের খুটি মজবুত করে দিয়ে তাতে পলিথিন আর বাশের বেড়া দিয়ে কম খরচে ছাদকে একটা গ্রিন হাউজ বানিয়ে ফেললে সবচেয়ে ভালো। উপরে কয়েকটা ছিদ্র পাইপ ফিট করে কৃত্তিম বৃষ্টি দিয়ে তাতে বাগান করতে পারবেন, আবার বিল্ডিঙের তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রনে থাকবে। * 

ছ) সাইড গার্ডেনিং : বোগেনভিলিয়া জাতের লতানো গাছের জন্য বিল্ডিঙের যে দিকে রোদ বেশি পরে, সেদিকের দেয়ালে টব আটকে রাখার কিছু বিশেষ ব্যাবস্থা করতে হবে। সেই লতা আবার দেয়াল গুলোতে ড্রিল করে ছরিয়ে-ছিটিয়ে আটকিয়ে দিতে হবে। বট গাছ হলে ভালো হবে; কারন এ গাছ কোন প্রকার যত্ন ছাড়াই টিকে থাকবে। এক ধরনের গুল্ম লতা আছে যা দেয়ালে উঠিয়ে দিলে, পুরো দেয়াল ছড়িয়ে যায় । অনেকেরই ধারনা এসব দেয়ালের ক্ষতি করে । কিন্তু শুধু প্লাস্টারের ক্ষতি করলেও তা কমপক্ষে ১৫/২০ বছর থাকার পরে। কাজেই এর অপকারিতার চেয়ে উপকারিতাই বেশি।* 

জ/ ইউটিলিটিজ: ইলেক্ট্রিসিটি: সিড়ি বা গ্যারেজেরা বাতিগুলো যদি ট্রেসপাস-সেন্সর সম্বলিত হয়; তাহলে বাড়ির মালিকের কমন ইলেক্ট্রিসিটি কন্জাম্পশন কমে যাবে। মানে এগুলোর কাছে কেউ এলে জলবে, আবার চলে গেলে নিভে যাবে। আর ফ্ল্যাট গুলোতেও এই সিস্টেম থাকলে ভারাটিয়ারাও তাদের বিল কমাবার জন্য এসব ব্যাবহার করবেন। ওয়াটার: আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন, হাত-মুখ ধোয়া বা গোসলের সময় প্রচুর পানি অপচয় হয়। এখন সেন্সরযুক্ত ইলেক্ট্রনিক পানির কল/শাওয়ার পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোর নিচে হাত/শরির নিলে পানি পরে, সরলে অটোমেটিক বন্ধ হয়ে যায়। দাম একটু বেশি; কিন্তু পানির অপচয় কমিয়ে বাড়িওয়ালাদের পানির ঝক্কিও কমাবে  ২) তাপমাত্রা : ঢাকা এক প্রকার ইট-কংক্রিটের মরুভুমি হয়ে গেছে। গ্রাম-মফস্বলের খোলা-মেলা বাসা গুলোতে গরমে মানুষ চাইলেই বাইরে বেড়িয়ে হাওয়া-বাতাস খেতে পারে। কিন্তু শহরের বহু তল বদ্ধ ফ্ল্যাটগুলোয় সে সুযোগ নেই। আর এসি না থাকায় লোড শেডিঙে অধিকাংশেরই প্রান ওষ্ঠাগত হয়। টিভিতে রঙের কোন এ্যাডে যেনো দেখেছিলাম ওয়েদার কোট রঙ দেয়ালের তাপমাত্রা ২-৫ ডিগ্রি কমিয়ে রাখে। এটা নিশ্চই ওদের পরিক্ষিত বিষয়। এমনই কিছু বিষয়কে গুরুত্ব দিলে আপনি লোড শেডিঙের সময়ও এসি বা ফ্যান ছাড়াই বাসায় থাকতে পারবেন স্বাচ্ছন্দে। 

১ Likes ১ Comments ০ Share ৬০০ Views