Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

রাজু আহমেদ

৯ বছর আগে

বাচ্চাদের স্কুলের সামনে থেকে ভাসমান খাদ্যের দোকান উচ্ছেদ করুন

 

বৈশাখের তীব্র দাবদাহের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়া পানিবাহিত রোগ হওয়ার কারনে গরম মৌসুমে ডায়রিরা প্রকোপ মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায় বিশেষ করে রাজধানীসহ বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের উপচে পড়া ভিড় দেখে অনুমান করা যায় দেশের ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা তীব্র গরমে যারা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যাই বেশি যে শিশু মায়ের বুকের দুধ খায় তাদের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও স্কুল পড়ুয়া শিশুদের সংখ্যার সীমা নাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের সিট সল্পতার কারনে সকল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে ভর্তি করে সু-চিকিৎসা দিতে পারছেনা গরমে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয় বিশেষ করে গ্রামে বিশুদ্ধ পানির সংকটের তুলনায় শহরে বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করে কাজেই শিশুরা বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া শিশুরা ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হয় গরম মৌসুম আসলেই অভিভাবকরা তাদের শিশু সন্তানদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করলেও অনেক ক্ষেত্রে তাদেরকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে শিশুদেরকে রক্ষা করা যায় না

স্কুলগামী শিশুদের ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার পিছনে সবচেয়ে বড় কারন খোলা স্থানের খাবার গ্রহন । যে সকল খাদ্য গ্রহনের জন্য স্কুলগামী শিশুরা বেশি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় তা হল স্কুল ও কোচিং সেন্টারের সামনে ভাসমান খোলা খাদ্যের দোকানের খাদ্য ভূণা খিচুরীরর নামে ডাল, পাম ওয়েল এবং নালার  পানির মিশ্রন, আখের রস, উম্মুক্ত স্থানে কেটে রাখা তরমুজ, কম দামী আইসক্রিম এবং বিভিন্ন ধরনের নিম্নমানের জুস স্কুল কিংবা ছুটির পর শিশুরা বায়না ধরে ঐ ধরনের খাদ্য থেকে কিছু একটা কিনে দেয়ার জন্য অভিভাবকরা বিগড়ে গেলে শিশুরা রাস্তায় বসেই কান্না-কাটি করতে শুরু করে অভিভাবকরা তখন অনেকটা বাধ্য হয়েই শিশুদেরকে খোলা স্থানের নিম্নমানের খাবার কিনে দিতে বাধ্য হয় ঐ খাবার খাওয়ার ফলশ্রুতিতে শিশুরা ডায়রিয়ার মত মারাত্মক রোগের আক্রান্ত  হয়

 

যারা খোলা ভ্যানে কিংবা অন্য উপায়ে স্কুল কিংবা কোচিং সেন্টারের সামনে খাবার বিক্রি করে তাদেরকে গরমের মওসুমে বিশেষ করে বৈশাখের এই তীব্র দাবদাহে ঐ সকল স্থান থেকে খাদ্য বিক্রি করতে নিষেধ করতে হবে স্কুল কর্তৃপক্ষ অথবা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদেরকে ডায়রিয়ার এই সময়টাতে স্কুলের পাশে ভিড়তে দেয়াই উচিত হবে না কোমলমতি বাচ্চাদের বায়না থেকে বাচার জন্য আপাতত এরকম কঠোর সিদ্ধান্তের বিকল্প কিছুই নাই আমাদের বাচ্চাদের আবদারের কাছে আমরা নিরুপায় না হলেও তাদের ক্রন্দন এবং সে বায়না মিটানোর পর ডায়রিয়া হলে মানসিক ও শারীরীরক ধকল থেকে বাঁচার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেয়া অত্যাবশ্যক কাজেই স্কুল প্রশাসন এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের কাছে বিণীত আরজ, যে কোন ভাবে বাচ্চাদের স্কুল ও কোচিং সেন্টারের সামনে থেকে  এ রকম মানহীন ভাসমান দোকান উচ্ছেদ করে ছোট্ট ছোট্ট শিশুদের অভিভাবকদের শান্তিতে এবং সন্তানদের নিয়ে নিরাপদে থাকতে দিন

 

 

 

 

 

রাজু আহমেদ কলাম লেখক

 

raju69mathbaria@gmail.com

 

 

 

 

 

০ Likes ১ Comments ০ Share ৩০৯ Views