Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

পাশা নূর

৯ বছর আগে

বাংলাদেশের ভ্রমণ গাইড


নারায়ণগঞ্জের দর্শনীয় স্থান
বাংলার তাজমহল
ঢাকা থেকে নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব মাত্র ১৭ কিলোমিটার। নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁওয়ের পেরাবে গড়ে উঠেছে বাংলার তাজমহল। এই তাজমহল দেখতে হলে আপনাকে যেতে হবে সোনারগাঁওয়ের পেরাবে। এন্ট্রি ফি ৫০ টাকা। দেখতে পাবেন আগ্রার তাজমহলের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে বাংলার তাজমহলটি। 
সোনারগাঁ জাদুঘর
ঢাকার ঐতিহাসিক নগরী সোনারগাঁ। বাংলার এক সময়ের রাজধানী এই সোনারগাঁয়ে গড়ে তোলা হয়েছে জাদুঘর। 
লোকশিল্প জাদুঘর
সোনারগাঁয়ের পানামে রয়েছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্বপ্নে গড়া লোকশিল্প জাদুঘর। 
রূপগঞ্জ রাজবাড়ি
ঢাকা সিলেট মহাসড়কের মধ্যেখানেই রূপগঞ্জ। সেখানে আছে প্রায় শতবর্ষী রাজবাড়ি। অপূর্ব এই রাজবাড়ীর কারুকার্যমন্ডিত সৌন্দর্য দৃষ্টিনন্দন।

বিখ্যাত খাবারের নাম
নদী সমূহ শীতলক্ষ্যা, মেঘনা, পুরাতন ব্রক্ষপুত্র, বুড়িগঙ্গা, বালু এবং ধলেশ্বরী নদী
যেভাবে যাবেন
সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে অথবা গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র যাবার বাস আছে। 

মুন্সিগঞ্জের দর্শনীয় স্থান
ইদ্রাকপুর দুর্গ 
মুন্সীগঞ্জ ডাক বাংলোর পাশেই এ দুর্গটি অবস্থিত। ঢাকা থেকে সড়কপথে ফেরি পার হয়ে অল্প সময়েই পৌঁছা যায় মুন্সীগঞ্জ। গুলিস্তান থেকে এসব গাড়ি ছাড়ে।
রঘুরামপুরে প্রাচীন বৌদ্ধবিহার
কিছুদিন আগেও যে জমিতে ফসলের চাষ করা হতো, সে জমির নিচেই আবিষ্কৃত হলো হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধবিহার। মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামে এ বৌদ্ধবিহার আবিষ্কৃত হয়। ঢাকার গুলিস্তান মোড় থেকে দীঘিরপাড় ট্রান্সপোর্টের বাসে নামতে হবে ধলাগাঁও বাজারে। ভাড়া ৬০ টাকা। সময় লাগবে প্রায় দুই ঘণ্টা। বাজার থেকে হেঁটে যাওয়া যাবে বিহারে। 
বিখ্যাত খাবারের নাম সিরাজদিখানের পাতক্ষীরা
নদী সমূহ পদ্মা, মেঘনা, ধলেশ্বরী ও ইছামতি নদী 
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে সড়কপথে অল্প সময়েই পৌঁছা যায় মুন্সিগঞ্জ। গুলিস্তান থেকে এসব গাড়ি ছাড়ে। 
মানিকগঞ্জের দর্শনীয় স্থান
বালিয়াটি জমিদারবাড়ি
মানিকগঞ্জে অবস্থিত বালিয়াটি জমিদারবাড়ি।
 ঝিটকা, মানিকগঞ্জ (সরিষা ফুল)

ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জের ঝিটকায় দিগন্ত বিস্তৃত মাঠজুড়ে রয়েছে সরিষা ক্ষেত। দুই পাশে বিস্তৃত হলুদ ক্ষেতের মাঝে এখানে রয়েছে সারি সারি খেজুর গাছ। এখানকার সরিষা ক্ষেতগুলোর কোনো কোনো জায়গায় মধুচাষিরা বসেছেন মধু সংগ্রহের জন্য। তা ছাড়া খুব সকালে ঝিটকা পৌঁছুতে পারলে বাড়তি পাওনা হবে গাছ থেকেই সদ্য সংগ্রহ করা খেজুরের রস। এসব জায়গায় সূর্য ওঠার আগেই গাছিরা রস নামিয়ে ফেলেন।

কীভাবে যাবেন :পুরনো ঢাকার গুলিস্তান থেকে শুভযাত্রা ও বিআরটিসি পরিবহন, বাবু বাজার থেকে যানযাবিল ও শুকতারা, পশ্চিম ঢাকার গাবতলী থেকে যাত্রীসেবা, পদ্মা লাইন, নবীনবরণ, ভিলেজ লাইন ও জনসেবা পরিবহনে প্রথমে মানিকগঞ্জ যেতে হবে। ভাড়া ৫০-৬০ টাকা। সেখান থেকে আবার লোকাল বাসে চড়ে ঝিটকা। এ জায়গায় স্বাচ্ছন্দ্যে ভ্রমণের জন্য নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাওয়া ভালো। যাদের সে ব্যবস্থা নেই তারা ভাড়ায় মাইক্রো বাস কিংবা অন্য কোনো গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন। নিজস্ব গাড়ি নিয়ে গেলে ঢাকা-আরিচা সড়কে মানিকগঞ্জ অতিক্রম করে তরা সেতু পেরিয়ে কিছুদূর সামনে গেলে বাঁ দিকের সড়কটি চলে গেছে ঝিটকায়। 

নদী সমূহ পদ্মা, গঙ্গা, ধলেশ্বরী, ইছামতি, করতোয়া, বোরাসাগর তিস্তা ও ব্রক্ষ্মপুত্র
যেভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে অনেক বাস যাতায়াত করে, ভাড়া পড়বে ৫০-৬০ টাকা। 
নরসিংদীর দর্শনীয় স্থান
উয়ারী বটেশ্বর
বাংলাদেশের প্রাচীনতম বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার উয়ারী বটেশ্বর। 
লটকন বাগান: লটকন ফলের সীজনে , লটকন বাগান দেখতে যেতে পারেন নরংসিংদী ,বেলাব উপজেলার আমলাব ইউনিয়নের লাখপুর 
বিখ্যাত খাবারের নাম সাগর কলা
নদী সমূহ মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়ালখাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র 
যেভাবে যাবেন
এখানে যেতে হলে আপনাকে সায়েদাবাদ থেকে সরাসরি বেলাবোর বাসে যেতে পারবেন।
মানিকগঞ্জ র দর্শনীয় স্থান
বালিয়াটি জমিদারবাড়ি  
মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ১৭ কিলোমিটার উত্তরে বালিয়াটি গ্রাম। ঢাকা থেকে বড়জোর তিন ঘণ্টার পথ। বসন্তের এক স্নিগ্ধ সকালে আমরা মাইক্রোবাসে করে রওনা দিয়েছিলাম বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে। নাশতার জন্য পথে এক হোটেলে থেমেছিলাম। গরম গরম পরোটা খেতে মজাই হয়েছিল।জমিদার বাড়ির কাছে মাইক্রোবাস থেকে নামতেই দেখি পুকুরপাড়ের পাশে একটা ছোট্ট শিশুপার্ক। শিশুদের আনন্দে বাড়তি মাত্রা যোগ হয়। কিছুক্ষণ হুড়োহুড়ি আর লুটোপুটি করে সিংহদ্বার পেরিয়ে বালিয়াটি প্রাসাদে যাই।
খোলা প্রকৃতির মাঝে বালিয়াটি জমিদার বাড়ি এক মায়াময় রাজ্য। বাড়িটির সম্মুখভাগে চারটি বিশাল প্রাসাদ। প্রাচ্য আর পাশ্চাত্য স্থাপত্যরীতির মিশেলে তৈরি প্রাসাদগুলোর উচ্চতা দূর থেকে প্রায় একই রকম। মাঝখানের দুটি প্রাসাদ দোতলা আর দুই পাশের দুটি তিন তলা। এক নম্বর প্রাসাদটি আগে কলেজ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। দর্শনার্থীরা দুই নম্বর প্রাসাদটিই ঘুরে দেখেন বেশি। এখানে জমিদারদের ব্যবহৃত নির্দশনাদি আর রয়েছে সিন্দুক, ছোট-বড় আয়না, ঝাড়বাতি, লণ্ঠন, শ্বেতপাথরের ষাঁড়, টেবিল, পালঙ্ক, আলনা, কাঠ ও বেতের চেয়ারসহ অনেক কিছু। মজলিস কক্ষের দেয়ালে হাতে আঁকা চমৎকার সব ছবি আছে।
এরপর যাই অন্দরমহলে। এখানে ছিল অতিথিদের থাকার জায়গা, রন্ধনশালা এবং পরিচারিকাদের থাকার ঘর। এখানেও একটি পুকুর আছে। পুকুরের চারপাশে অনেকগুলো বাঁধানো ঘাট।
উনিশ শতকের দিকে বালিয়াটি জমিদার বাড়ির ইমারতগুলো নির্মিত হয়। বালিয়াটি জমিদারদের পূর্বপুরুষ গোবিন্দ রায় সাহা ছিলেন লবণ ব্যবসায়ী। গোবিন্দ রায়ের পরবর্তী বংশধর দধি রাম, পণ্ডিত রাম, আনন্দ রাম ও গোলাপ রাম এসব ইমারত প্রতিষ্ঠা করেন। এগুলো গোলাবাড়ি, পূর্ব বাড়ি, পশ্চিম বাড়ি, মধ্য বাড়ি ও উত্তর বাড়ি নামে পরিচিত। গোলাবাড়ির চত্বরে বারুনির মেলা বসত আর পশ্চিম বাড়ির তালপুকুরের ধারে বসত রথ উৎসব। বালিয়াটি জমিদার বাড়ি ৫.৮৮ একর জমির ওপর। সাতটি ইমারতে ঘর আছে ২০০। সমরেন্দু সাহা লাহোরের লেখা বালিয়াটির যত কথা বইটি থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বালিয়াটি জমিদার বাড়ি অধিগ্রহণ করে এবং এখন এর সংস্কার কাজ চলছে।
পুরনো এই স্থাপত্যের আছে দারুণ আভিজাত্য। এর সৌন্দর্য মনে ঢেউ তোলে। 

কিভাবে যাবেন
ঢাকার গাবতলী থেকে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া বাজার পর্যন্ত বাসে যাওয়া যায়। ভাড়া ৭৫ টাকা। এরপর রিকশায় বালিয়াটি জমিদারবাড়ি যেতে ভাড়া লাগে ১০ টাকা। এ ছাড়া মানিকগঞ্জ থেকে বাসে জমিদার বাড়ি যেতে ভাড়া ১৫ টাকা 



গাজীপুরের দর্শনীয় স্থান
ভাওয়াল রাজবাড়ি; গাজীপুর সদরে অবস্থিত প্রাচীন এ রাজবাড়িটি। সুরম্য এ ভবনটিতে ছোট বড় মিলে প্রায় ৩৬০টি কক্ষ আছে। বর্তমানে এটি জেলাপরিষদ কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান : গাজীপুর সদর ও শ্রীপুর থানা জুড়ে অবস্থিত ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান। পৃথিবীর অন্যান্য জাতীয় উদ্যানের আদলে ৬৪৭৭ হেক্টর জমিতে ১৯৭৩ সালে এ উদ্যান সরকারি ভাবে গড়ে তোলা হয়। জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বেশ কয়েকটি বনভোজন কেন্দ্র, ১৩টি কটেজ ও ৬টি রেস্ট হাউস আছে। উদ্যানে প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ৬ টাকা। 
সফিপুর আনসার একাডেমি : জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমির বিশাল চত্ত্বর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত যায়গা। অনুমতি সাপেক্ষে বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে এখানে
সাধু নিকোলাসের গির্জা
কালীগঞ্জ উপজেলার নাগরী গ্রামে সাধু নিকোলাসের গির্জাটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৬৬৩ সালে। অধুনা পুরনো গির্জার পাশেই বড়সড় আরেকটি গির্জা নির্মিত হয়েছে। গির্জার সামনে রয়েছে আট ফুট লম্বা যিশুখ্রিস্টের মূর্তি। ১৮ একর জায়গা নিয়ে তৈরি গির্জা প্রাঙ্গণে আছে বাগান, ফাদারের বাসস্থান, মা মেরির গর্ভগৃহ, সাধু নিকোলাস স্কুল, ছাত্রদের হোস্টেল, ব্রাদার্স হাউস ও সরকারি দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

জাগ্রত চৌরঙ্গী

গাজীপুর শহরের বেশ কিছুটা আগে জয়দেবপুর চৌরাস্তায় রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বপ্রথম স্মারক ভাস্কর্য “জাগ্রত চৌরঙ্গী”। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ গাজীপুরে সংঘটিত প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ সংগ্রামে শহীদ হুরমত আলীসহ অন্যান্য শহীদদের স্মরণে ১৯৭১ সালেই নির্মিত হয় হয় এ ভাস্কর্যটি। এর স্থপতি আব্দুর রাজ্জাক। ভাস্কর্যটির উচ্চতা প্রায় একশো ফুট। আর এর দু “পাশে ১৬ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১১ নং সেক্টরের ১০৭ জন এবং ৩নং সেক্টরের ১০০ জন শহীদ সৈনিকের নাম খোদাই করা আছে।
ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী: ভাওয়াল রাজবাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার উত্তরে মৃতপ্রায় চিলাই নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী। এটি ছিল ভাওয়াল রাজ পরিবার সদস্যদের সবদাহের স্থান। প্রাচীন একটি মন্দির ছাড়াও এখানে একটি সমাধিসৌধ আছে।
সফিপুর আনসার একাডেমি :জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় অবস্থিত আনসার-ভিডিপি একাডেমির বিশাল চত্ত্বর বেড়ানোর জন্য একটি উপযুক্ত যায়গা। অনুমতি সাপেক্ষে বনভোজন করারও ব্যবস্থা আছে এখানে।
আরো আছে নন্দন পার্ক,বলধার জমিদার বাড়ী,বাড়ীয়া;৩পূবাইল জমিদার বাড়ী,পূবাইল,বলিয়াদী জমিদার বাড়ী ,টোক বাদশাহি মসজিদ, চৌরা দিঘি ও মাজার, ঢোলসমুদ্র ইত্যাদি
০ Likes ০ Comments ০ Share ৯৭৭ Views

Comments (0)

  • - কামাল উদ্দিন

    • - ফাতিন আরফি

      :) 

    - নুসরাত জাহান আজমী

    সবার কবিতা লেখার ধাঁচ একটু আলাদা.. আপনার ধাঁচটা ভাল্লাগে..  emoticons

    • - ফাতিন আরফি

      :) 

    - মাইদুল আলম সিদ্দিকী

    খুব ভালোলাগা! শেষের চরণটা গ্রেট করেছে কাব্যটাকে। emoticons

     

    ভাই একটু পড়বেন

    http://www.nokkhotro.com/post/140482-222353-bbe2cf-765d83-.56874-986

    • - রব্বানী চৌধুরী

       যদি জানতে চাও আবার— প্রেম ও স্পর্শ দুটোই চাইবো এবার 

      যদি আসতে চাও আবার— সময় ও সাধ দুটোই দেবো এবার ।" 

       ভালো লাগলো কবিতার কথামালা। শুভেচ্ছা জানবেন ভালো থাকবেন।   

       

    • Load more relies...