Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

MD. TANVIR AL MAMUN

৯ বছর আগে

বলা না বলা কথাগুলো

ভালবাসি তোমায় কথাটা বলা হয়নি। তবে মনে মনে ভালবেসেছি, ভালবেসে যাচ্ছি এবং ভালবেসে যাব। ওই ম্যাজিক তিনটা শব্দ/একটা বাক্য বলা হয়নি কিংবা বলব বলে ভাবিনি এখনো। আসলে আমি চায় তুমি ব্যাপারটা অনুভব কর; ভাবো এবং আমাকে ও আমার ভালবাসাটা বুঝতে সময় নাও। সব কথা কি আর মুখে বলা লাগে। কিছু বিষয় থাকে যা একান্ত ব্যক্তিগত; যার অনুভব অনুভূতি দিয়েই করতে হয়।

সেদিন রাতে তুমি কি বললে(?!), “যে যাকে ভালবাসেন তাঁকে বলে দিন না হলে অন্য কেউ এসে বললে সে তার হয়ে যেতে পারে।” তাই বুঝি? এতই সস্তা কেউ এসে বলবে আর তুমিও তাঁর হয়ে যাবে?(!!!) কেন আমি যে ভালবাসি তোমায় তুমি এটা বোঝোনা? তবে তো বলতে হয়,

“হে মহীয়সী নারী, আপনার উদাসীনতা সকল মাত্রা ছাড়িয়েছে,

আর কতদিন আমি শোনাব আপন হৃদয়ের কথা,আর আপনি বলবেন,“কি”?”

মাঝে মাঝে নিজেকে দোষারোপ করি। মনে হয় বলে ফেলি; যা হবার তা হবে, কিন্তু মনে হয় তুমি যদি কিছু মনে কর? যদি তুমি রাগ কর; তবে? যদি ছেড়ে চলে যাও তবে? পেয়েছি কতদিন,কত বসন্ত বাদে এখন পেয়ে যদি হারিয়ে ফেলি?তবে?

ভয় লাগে।ভালবাসি তাই হারানোর ভয়টা পোড়ায় তীব্র ভাবে। হৃদয়ের পক্ষে তোমার কাছ থেকে পাওয়া কষ্টের কোন উপশম পাওয়া যাবে না। প্রশ্ন জাগছে ?

আমার ডায়েরি তার উত্তর দিতে পারবে আশা করি, সেখান থেকেই নাহয় কিছুটা বর্ণনা দিয়েই ফেলি

“...তোমায় আমি ভালবাসি বলব না পাছে আমার পুরনো মানুষগুলো মর্তে/বাস্তবে এসে যেরূপ কষ্ট দিয়েছে তুমিও যদি দাও সহ্য করতে পারব না তা বলছি না; তবে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাব।

কেন বেশি কষ্ট পাব প্রশ্নের অবকাশ থেকেই যায়।কারণটা হয়তো এরূপ হতে পারে,“কল্পনার জগতে আমি হারিয়েছি আমি তাঁরই নাম করে,সদ্য-কৈশোরে পা দেওয়া আমি যার গা থেকে তখনও ছেলেমানুষির গন্ধটা মুছে যায়নি। সেই তোমাকে না দেখে তোমার নামের প্রতি ভালবাসাতে নিজেকে সপে দিয়েছি। হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা দিয়েছি। বিনিময়ে কিছু কি চেয়েছি? জানিনা!!! জীবনের প্রথম ভালবাসা বলছিনা তবে শেষ জন হও। ক্লান্ত আমায় কাছে টেনে নাও। যেমনটা বলেছিলে।*

“তোমাকে শেষ জন হতে বলে আমি তোমায় করুণা* করছি না বরং আমায় গ্রহণ করে তুমি আমাকে করুণা কর।” ” ”

বলেছিলে * → অনেক পথ ঘুরে ক্লান্ত হয়ে/অপেক্ষার খেলায় তোমার কাছে হেরে গেলে তোমার কাছে গেলে তোমার চেয়ে আমি বেশি খুশি হব। খুব একটা ভুল বলনি।

করুণা * → এখানে করুণা মানে আমি তোমায় “কোন কিছু করে পাওয়া” বুঝিয়েছি।

ভাবছ, খুব ভীতু আমি,(সামনে গিয়ে ভালবাসি বলছি না বলে) ভাল,বেশ ভাল। তবে তুমি তাই ভাব, মানা করছি না। ভালবাসলে কিছুটা ভয় পেতেই হয়। তবে এই ভীতুটা যেদিন সাহসী হবে, লজ্জাটা কমে যাবে সেদিন তুমিই কিন্তু লজ্জা পাবে; বলেদিলাম।

মাঝে মাঝে

মাঝে মাঝে যখন তোমায় ভেঙে পড়তে দেখি, মনে হয় তোমায় জড়িয়ে ধরি শক্ত করে, তোমার হাতটা ধরে বলি, “এই দেখো, এইতো আমি আছি তোমার পাশে, তোমাকে আমি ভালবাসি।”আশা করি  আমার আলিঙ্গনে তোমার হৃদয়ের ভাঙা টুকরোগুলো জোড়া লেগে যাবে। কিন্তু পরক্ষণেই মনে হয় আমিতো বিশেষ কেউ নই যে আমি ভালবাসি বললেই তুমি মেনে নেবে কিংবা তুমি খুশি হয়ে যাবে। তুমি আর গাল ফুলিয়ে/ মুখ গোমড়া করে বসে থাকবে না। যদি দেখা যায় এসব শুনে তুমি আরও রাগ করেছো তবে?

এসব সাত-পাঁচ ভেবে আর এগুতে পারি না। তাই নিজেকে বলি, নিজে নিজেই ভাবতে বসি,

“হৃদয় বেদনা আমার আত্ম সমালোচক, কেমন করে জানাই তাঁকে;

কোন আশা তার পূর্ণ হবে মুখে যার কথা বেধে যায়”

মাঝে মাঝে মনে হয় তুমি বোঝো আবার মনে হয় তুমি বোঝোনা। নতুবা তুমি অন্য কাউকে বোঝাতে চাও। ইচ্ছে হয় ঈশ্বরের কাছে প্রাথনা করি, “হে ঈশ্বর, তিনি বোঝেননি, বুঝবেনও না আমার কথা, তাঁকে অন্য হৃদয় দাও ,যদি আমাকে অন্য ভাষা না দাও।”

মাঝে মাঝে তোমার কথা শুনে মনে হয় তুমি বোঝাতে চাও,

“পেয়েছিলাম সর্বসুখ বিশেষ একজনের রূপের ধ্যানে-

মনের সেই সরসতা আজ কোথায়?”

তখন মনে হয় আমি আমার সমস্ত শৃঙ্খল ভেঙে ফেলি। কিন্তু ভয় হয় আমার উন্মত্ততা অপমানের সাথে যুক্ত হবে, তারচেয়ে বিচক্ষণতাই আমার পথপ্রদর্শক হোক।

আমি দেরি করি প্রায় সব কাজে (যদিও আমি আমার হিসেবমত চলি )। এখানেও কি আমি দেরি করে ফেলেছি আসতে? কিন্তু থেমে যায়, দেখি কি হয়। এটা নিয়ে পুনরায় ভাবতে বসি। আমি দেরি করি তুমি বুঝবে ভেবে। দেরি করি তোমার জন্য। নিজের perfection আনার জন্য যদিও জানি perfect হওয়া যায় না তবে তোমার জন্য তোমার perfect মানুষটা হতে চাই।

যত সময় বাড়ছে আমিও ছুটে যাচ্ছি তোমার আকর্ষণে আর তুমি আড়ালে লুকাচ্ছ। তুমি বড় নিষ্ঠুর। তোমায় আর ভালবাসবনা ভাবি। কিন্তু......ভাবি আর না দূরে সরে যাব......আমার কি দোষ বল?

“শতবার তোমার ভালবাসার বন্ধন থেকে মুক্ত হতে চেয়েছি আমি,

কিন্তু আমি কি করতে পারি যখন আমার হৃদয়
তোমার কাছ থেকে মুক্তির পরিপন্থি।”

মাঝে মাঝে ভেবে অবাক লাগে কেন তোমায় এত ভালবাসলাম আমি? তোমার প্রেমে পড়াকে হৃদয় ভেবেছিলো কি? একবার তার কাছ থেকে বুঝে নিতে হবে কথাটা। কিন্তু বুঝে নেওয়া আর হয়ে ওঠে না যান্ত্রিক ব্যস্ততায়।

যখন ভাবি জিজ্ঞেস করতে যাব তখন মনে হল, আমি তাঁকে মনের কথা বর্ণনা করতে যাচ্ছি, হ্যাঁ, আমি যাচ্ছি, কিন্তু হটাত আমি অবাক কি বলব আমি তাঁকে!!!

মাঝে মাঝে নিজের এই বোকামি পাগলামি দেখি নিজেকেই বলি, “আমার আগ্রহের পাগলামি দেখো, বার বার আমি নিজেই যায় ওদিকে, আর আমি নিজেই হয়রান হ’য়ে ভাবি- কেন এলাম!!? সত্যি জীবন তো এমনিতেও কেটে যেতো কেন তোমার পথের কথা মনে এলো? কেন এই পথের ধারে এসে পথভোলা পথিক হতে হল। ”

পরক্ষণেই মনে হয় না যা হচ্ছে ঠিকই আছে, কোন আশাই পূর্ণ হয় না, কোন পথই দেখা যায় না, যদিও দুঃখ প্রাণক্ষয়ী তাতে কি আমার হৃদয় রক্ষা পেত? প্রেমের জ্বালা যদি নাই বা থাকতো; জীবিকার গ্লানি তো থাকতোই।

কিন্তু বাস্তবতা এত সহজ হলে হত। বাস্তবতা হল, শত শত বাসনার সমাহার, সেগুলো এমন যে প্রত্যেকটির জন্য প্রাণ যায়-যায়; এর মধ্যে অনেক বাসনাই পূর্ণ হয়েছে ;তবু কেন যেন তা কম বলে মনে হয়।
বিশাল এই যান্ত্রিক শহরে আমিও অবসর পাইনা। তবুও সারাটা সময় জুড়ে তুমি থাক। সাথে এটাও জানি ব্যস্ততা তোমায় দেয় না অবসর। তবুও তুমিই জানো অপরের সাথে তোমার কতোখানি ঘনিষ্টতা; আমারও খবর যদি নাও মাঝে মাঝে তাতে দোষ কি খুব বেশি?
মুঠোফোন নিয়ে যখন ব্যস্ত হয়ে ওঠো সেলফি তোলাতে মাঝে মাঝে তখন বলতে ইচ্ছে হয়, "এদিকে তাকাও তুমি, শোনো, আয়না হাতে অতো তন্ময় কেন? চেয়ে দেখো এদিকে, দেখো, কি গভীর তৃষ্ণা চোখে নিয়ে আমি তোমায় দেখছি”।
ভালো থেকো "স্বপ্নকন্যা"। ভালবাসি শুধু তোমাকে। 

১ Likes ৬ Comments ০ Share ১০৪৮ Views