মেয়ে নাকি বংশ নয়, বলে যে কোন আহাম্মক,
মধ্যযুগের মূর্খটাকে, গেলানো জীববিদ্যা হোক।
জিনের হিসাব সমান সমান, ছেলে মেয়ের নাই তফাৎ,
ছেলে না পায় একটু বেশি, অজ্ঞতাটা নিপাত যাক।
নাতি পুতি যে ঘরে হোক, সবাই সমান বংশধর,
মেয়ের বেটি নয়কো দুরের, সমান সেথায় জিন যে তোর।
ছাড়ো তো ঐ ভেক ভেদাভেদ, দুর কর মন দৈনতা,
কিতাব, আইনে যাহাই বলুক, সত্য এটাই বলছি যা।
অতীত কালে হয়ত হত, মেয়ের বিয়ে বহুদুরে,
পারতো না তো খবর নিতে, আসতো না সে আর ফিরে।
এ যুগেতে যোগাযোগটা, নয়তো তেমন যা ছিল,
খুটি নাটি সব ব্যাপারেই, মুঠোফোনে কল দিলো।
ছেলেগুলোই বরং কাবু, কর্মক্ষেত্র ও সংসার,
কাজের ফাঁকে সময় কোথায়, মা-বাবার ঐ খবর ছাড়।
মেয়েরাতো বরং বেশি, মায়ায় ভরায় সবই রোজ,
ঘর-বাইরে সব সামলেও, বাপ-মায়ের নেয় যে খোঁজ।
তাইতো বলি আজকে এখন, বংশ টেকায় কন্যাটাও,
অধিকারের ভাগের বেলায়, তাকে যেন বাদ না দাও।
কন্যা পেয়েই হও যে খুশি, শেষ বয়সে যত্ন বেশ,
পুত্র ছাড়া কোন দিকেই, নাইতো লস হে পক্ককেশ।
===
১৫-এপ্রিল-২০১৩