অনেক শৌখিন ব্যক্তি আছেন যারা তাদের সখের ফ্ল্যাটটিকে খুব সুন্দরভাবে সাজাতে ভালোবাসেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে যত বড় ফ্লাটেই আপনি থাকেন না কেন আপনার প্রয়োজনের তুলনায় সেটিকে অনেক ছোট মনে হয়।
ছোট্ট ফ্ল্যাটটিকেই দেখাতে চান খোলামেলা? তাহলে আসুন জেনে নেই সহজ কিছু কৌশল।
পছন্দে নান্দনিক হন :
আপনি আপনার প্রিয় ফ্ল্যাটটিতে কি ধরনের আসবাবপত্র আনবেন সেক্ষেত্রে নান্দনিকতার ছোঁয়া দিন। অর্থাৎ ভাবুন যে কোন ধরনের আসবাবে আপনার ফ্ল্যাটটি অনেক সুন্দর হবে পাশাপাশি অতিরিক্ত জায়গা নষ্ট হবে না। বাজারে এমন আসবাবের অভাব নেই যা তার সৌন্দর্যে আপনার মনকেও ছুঁয়ে যাবে সাথে আপনার ফ্ল্যাটটিকে ঘিঞ্জি বানিয়ে ফেলবে না। এ ধরনের আসবাব পছন্দ করুন এবং ফ্ল্যাটটিকে নিজের মত করে সাজিয়ে নিন।
আনুভূমিকভাবে রং করুন :
আপনার ঘরে যদি রং করেন তবে তা আনুভূমিকভাবে রং করুন। এতে করে রুমটিকে অনেক বেশি বড় আর চওড়া মনে হবে। এতে আপনার রুম সত্যিকার অর্থে অনেক বড় না হলেও মনে হবে যে বেশ বড়।
দরজার পেছনের জায়গাটিকে ব্যবহার করুন :
লক্ষ্য করে দেখুন আপনার ফ্ল্যাটের দরজাগুলোর পেছনে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলোকে আপনি চাইলে ব্যবহার করতে পারেন। দরজার পেছনের এই জায়গাগুলো সচরাচর কারও চোখে পড়ে না। এজন্য রুমের অন্যান্য খোলা জায়গাগুলোর চাপ কমাতে আপনি এইসব জায়গাতে ছোট ছোট ফার্নিচার বা শোপিচ সাজিয়ে রাখতে পারেন।
লম্বালম্বি দেয়াল :
আনুভূমিকভাবে রং করলে যেমন ঘরটিকে অনেক চওড়া লাগবে আবার দেয়ালে যদি লম্বালম্বিভাবে কোনো ডিজাইন করা যায় তবে এতে ঘরটির গভীরতাও অনেক বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে দেখে মনে হবে ঘরের স্পেস অনেকটাই বেশি।
দেয়ালের জায়গার বিষয়ে সৃজনশীল হন :
আপনি হয়ত আপনার রুমের মেঝেতে অনেক ফার্নিচার বা শোপিচ সাজিয়ে রাখতে পারেন কিন্তু দেয়ালে সেভাবে সাজিয়ে রাখতে পারেন না। এক্ষেত্রে একটু সৃজনশীল চিন্তা করুন। ভেবে দেখুন এমন কিছু জিনিস যা আপনি আপনার রুমের দেয়ালে সাজিয়ে রাখতে পারেন।
ঝুলিয়ে রাখুন :
এমন কিছু রুম সাজানোর জিনিস যা আপনি রুমে ঝুলিয়ে সাজাতে পারেন। এতে রুমের অনেক জায়গা বেচে যাবে এবং আপনার ফ্ল্যাটটিকে অনেকটাই ফাঁকা মনে হবে।
কারুকাজ করা আয়না :
আপনার ফ্ল্যাটের রুমে কারুকাজ করা সুন্দর সুন্দর আয়না ঝুলিয়ে রাখুন এতে আয়নাতে রিফ্লেক্ট করা ঘরের জিনিসগুলো মনে হবে অনেক দূরে রয়েছে। এতে রুমের স্পেসটাকে অনেকটাই বড় মনে হবে।