Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তাপস কিরণ রায়

৯ বছর আগে

পিরামিডের চিকিৎসা শক্তি-(২)

চারটি কোন থেকে তৈরি পিরামিডের রচনা , তার শিখর কেন্দ্র হল চার কোণের সমষ্টি মিলে একটি কোণ । এই শিখর কোনটি ব্রক্ষ্মাণ্ড কিরণ ও কস্মেটিক রেঞ্জকে টেনে নেয় । ব্রক্ষ্মান্ডীয় কিরণ ১৮৬৩০০ মাইল প্রকাশ গতিতে পৃথিবীর দিকে আসতে থাকে । এই কারণে লঘু তরঙ্গ বিদ্যুৎ চুম্বকীয় বল বাধার দিতে থাকে । এর তরঙ্গ ক্ষমতা বা তরঙ্গ দীর্ঘতা এক মিলি মাইক্রো মিটার থেকে নিয়ে এক শ মিলি মাইক্রো মিটার হতে পারে । পিরামিডের ভিতর এই কিরণ তরঙ্গ তার শিখর দিয়ে প্রবেশ করে । এই তরঙ্গ পিরামিডের ভেতরে প্রবেশ করে তার ভিত্তি ও রিক্ত স্থান পরাবর্তন প্রভাবিত হয়ে এক নতুন উর্জা তৈরী করে । স্বাভাবিক ভাবেই এক সময় পিরামিডের ভিতরে উর্জার অত্যধিক ভাণ্ডার হয়ে যায় । উর্জা পিরামিডের পাঁচ কোণ ও সমস্ত অঙ্গে প্রকাশমান হয় । মানব ও অন্য প্রানীদের ওপরে পিরামিড উর্জার চমৎকার মঙ্গলময়ী প্রভাব পরিলক্ষিত হয় । গাছপালা থেকে শুরু করে অন্যান্য বস্তুর ওপরেও এই প্রভাব প্রমাণিত হয়েছে । জীব সৃষ্টির এঞ্জাইন্সকে পিরামিড উর্জা বল যোগাতে পারে । ফলস্বরূপ তার চেতনা , চরিত্র , ব্যক্তিত্ব এবং বিশেষত্বকে উন্নততর করতে পারে । উর্জা বলতে আমরা বুঝবো,এটমিক এনার্জি বা জীবনী শক্তি ।
পিরামিডের পাশে সুতোতে বাঁধা হালকা শঙ্কুর মত লম্বক বা দোলক ধরে রাখলে তার মধ্যে কম্পমান হালচাল লক্ষ্য করা যায় । এর আকর্ষণ বিকর্ষণ চাল দেখা যায় । এর কারণ হল পিরামিডের এক সাইড উত্তর তো অন্য সাইড দক্ষিণ ধ্রুব তৈরি হয়ে যায় । কেবল চুম্বকের কাছে লৌহতত্ত্ব জিনিস নিয়ে গেলে আকর্ষণ বিকর্ষণ ক্রিয়া দেখা যায় । লক্ষ্য করার বিষয় এই যে পিরামিড না তো চুম্বক , না চুম্বকীয় পদার্থে তৈরী । কিন্তু তা সত্বেও পিরামিডে উর্জার প্রভাবে এক চুম্বকীয় পরিমণ্ডলের সৃষ্টি হয় ।
এবার দেখা যাক সাধারণ শক্তি প্রয়োগে পিরামিডের ভূমিকা :
ছোট পিরামিড আমরা ঘরে তৈরি করে নিতে পারি । অবশ্য পিরামিড তৈরির ক্ষেত্রে তার নির্দিষ্ট আকার আকৃতির দিকেও নজর রাখতে হয় । ঘরে কি ভাবে পিরামিড তৈরি করে তা থেকে মঙ্গল জনক শক্তির প্রভাব কাজে লাগাতে পারব--এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত আলোচনার ইচ্ছে আছে ।
ঘরে তৈরী পিরামিডের নিচে আমরা ভোঁতা ব্লেড রেখে তাতে আবার ধার ফিরিয়ে আনতে পারি । এমনি ভাবে পুরনো ব্লেডকে আবার ধার দিয়ে দাড়ি কামাবার কাজে লাগাতে পারি ।
এই জন্যে পিরামিডের এক কোণকে উত্তর-দক্ষিণ দিশায় রাখতে হয় । ব্লেড কোন ছোট আধারের (জাগার) ওপরে স্থাপন করে পিরামিডের ভিতরে রেখে দিতে হয় । আধারের ওপর ব্লেডকে যে উচ্চতায় রাখা হয় তা হল পিরামিডের উচ্চতার এক তৃতীয় অংশ । ব্লেডের ধার দিক পূর্ব পশ্চিম দিকে মুখ করিয়ে রাখতে হবে । এক ব্লেডকে কমসে কম দশ দিন এ ভাবে রাখলে তবে তার ধার অনেকটা নতুন ব্লেডের মত হয়ে যায় ।
নিউইয়র্কের এক পিরামিড গবেষক জন রেক্স । তিনি সামান্য ব্যাটারি পিরামিডের মধ্যে রেখে তাকে পুনর ভারিত (charged) করাতে সফলতা পেয়েছিলেন । তিনি যে ব্যাটারি পিরামিডে রেখেছিলেন তার শুরুর প্রভাবিত ভোল্ট শক্তি ছিল ১.৩৫৭৯ ভোল্ট । এক মাস পিরামিডের মধ্যে ব্যাটারি রাখার পর দেখা গেল যে ভোল্টেজ বেড়ে ১.৩৭৭৬ হয়ে গেছে । তার মানে +০.০১৯৭ ভোল্টেজ শক্তি বেড়ে গেছে । পিরামিডের এই চমৎকার শক্তির সম্ভাবনা সবারই দৃষ্টি গোচর হবে ।
এ ক্ষেত্রে ব্যাটারিকে পিরামিডের ভেতরে কোন উঁচু জাগায় স্থাপিত করতে হয় । ব্যাটারির পজিটিভ দিক উত্তর এবং নেগেটিভ দিক দক্ষিণ দিকে স্থাপন করতে হয় ।
আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুর ধারণা আমরা পিরামিডের দ্বারা সক্রিয় হতে দেখতে পারি । গাছপালা প্রাণময় হয় । রুশি বৈজ্ঞানিক কাঁচের পিরামিডে পাঞ্চ ছ ইঞ্চি লম্বা দুই চারটে পাতাওয়ালা গাছের গামলা রাখেন । সাধারণ ভাবে গাছকে সূর্যের স্থিতি অনুসারে পূর্ব থেকে পশ্চিমে গতিমান হতে দেখা যায় । পিরামিডের ভেতরে টবের গাছগুলি প্রথমে মাটির দিকে মুখ করে , এরপর ডান দিক থেকে অর্ধ গোলাকার হয়ে মুড়ে যেতে দেখা যায় , তারপর পশ্চিম দিকে ঘুরে সোজা হয়ে যায় । এ থেকে প্রমাণিত হয় পিরামিডের ভেতরে থাকলে গাছ উতফুল্ল হয় ।
পিরামিডের বাইরে সোনার টুকরো রেখে , পরীক্ষা করে দেখা গেছে গাছপালাও মানুষের মত সোনার প্রতি আসক্ত হয় ।
পিরামিডে যদি কাঁচা ফল , ফুল রেখে দেওয়া যায় তবে তা ভাল ভাবে পেকে যায় এবং তার স্বাদও বেড়ে যায় । বৈজ্ঞানিক ফ্লেনেগন একটি কলার তিন টুকরা আলাদা আলাদা ভাবে রেখে প্রয়োগ করে ছিলেন । তিনি প্রথম টুকরো পিরামিডের ভেতরে রাখেন । দ্বিতীয় টুকরো এক প্লাস্টিকের কাপে , এল্মুনিয়ম কাগজে ঢেকে রাখেন । আর তৃতীয় টুকরো ফ্রিজে বিনা ঢেকে রেখে দিলেন ।
দশ দিন পরে তিনি তা পরীক্ষা করে দেখলেন । ফ্রিজে রাখা কলার টুকরো ৫৫ গ্রাম থেকে ৪০ গ্রাম ওজন হয়ে গিয়ে ছিল । তার রঙয়েও কোন পরিবর্তন দেখা যায় নি । এ টুকরোর স্বাদও কিছুটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল । প্লাস্টিকের কাপে কাগজে ঢেকে রাখা টুকরোর ওজন ৪৫ থেকে ৩৮ গ্রামের হয়ে গিয়েছিল । সে টুকরো কালো রঙ ধারণ করে ছিল । এ টুকরো অনেকটা গলা গলা হয়ে গিয়ে ছিল । স্বাদ কিছুটা বিস্বাদ ধরণের ছিল । সব শেষে , পিরামিডে রাখা কলার টুকরোটাকে দেখা গেল তাজা , পাকা কলার মতই হলদে--ওর মধ্যে ভরপুর স্বাদ বিদ্যমান ছিল ।
ক্রমশ—
সহায়ক পুস্তক:
পিরামিড শক্তি--রবিকান্ত              

০ Likes ০ Comments ০ Share ৫৪৭ Views