Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

তাপস কিরণ রায়

১০ বছর আগে

পিরামিডের চিকিৎসা রহস্য-১

 গ্রীক ভাষায় pyre শব্দের অর্থ হল অগ্নি। পিরামিড হল যার মধ্যে অগ্নি আছে। অগ্নি এক প্রকার উর্জারই নামান্তর। উর্জা বলতে আমরা বুঝবো,এটমিক এনার্জি বা জীবনী শক্তিও ধরে নেওয়া যেতে পারে। এই অগ্নি শক্তি কিন্তু গরম হয় না--এ শক্তি প্রকারান্তরে শান্তি এনে দিতে পারে। অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে মাঙ্গলিক শক্তিকে প্রদান করতে পারে।

The secret power of pyramid নামক পুস্তকের লেখক বিল স্কল আর এড পিটিত লিখছেন—‘The great pyramid of Gizeh demonstrates a fully developed grasp of mathematics,astronomy,geography,navigation,engineering,architectureetc.at the time of construction,without a demonstrable period of learning these sciences.'পিরামিডের পিছনে এক মহান বৈজ্ঞানিক রহস্য লুকিয়ে আছে। সংশোধক লেখক মেনলী পামরের নিজের লেখা বই'দি সিক্রেট টিচিং ওফ অল এজীজে তিনি বলেছেন,এই পিরামিড এক বিশ্ব জ্ঞানের জীবন্ত সংযোজন। এর  কোণগুলি শান্তি,বুদ্ধিমত্তা তথা সত্যের প্রতীক। 

যদি এই তথ্যকে স্বীকার করে নেওয়া যায় তবে এটা স্পষ্ট যে পিরামিড উচ্চ স্তরের শক্তি সমন্বিত--পদার্থের মধ্যের অন্তর্নিহিত উর্জা জাগরণের আধার বিশেষ। এই কারণেই অনেক অনুভবের মাধ্যমে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে পিরামিডের ভিতর বসলে শান্তি অনুভূত হয়,এর মাধ্যমে মানসিক শক্তির ক্রম বিস্তার সম্ভবপর।

সবচে বড় পিরামিড আর তার আশপাশের ছোট বড় পিরামিডের পরিসর ব্রহ্মাণ্ডের উর্জার উত্স ক্ষেত্র বলা যায়। এই পরিসরে উৎপন্ন প্রবাহ বিশেষ ইলেক্ট্রো মেগ্নেটিভ প্রতিউর্জাকে উদ্ভাবিত করে--উর্জা প্রবাহকে বহন করে। এই বিষয়ে ডাক্তার ফ্লেনগান লিখেছেন,পিরামিডের বিশেষ ভৌতিক আকারের জন্যে এর কোণগুলি থেকে (চার বহু আর এক শিখর) এক বিশিষ্ট প্রকারের সূক্ষ্ম কিরণ উদ্গিরণ হয়। এই উর্জা পিরামিডের এক তৃতীয় অংশের ওপর কিং চেম্বার নামে ঘনীভূত হয়। যে বিন্দুর ওপর এই উর্জা কেন্দ্রিত হয়ে থাকে সেই বিন্দুকে ফোকাল জাইট বলা হয়। এই বিন্দুর ওপরে এই উর্জা অবশোষিত হয়। যার ফলস্বরূপ অণুর অন্তর্গত লুকিয়ে থাকা পরমাণু স্পন্দিত হতে থাকে আর--পরমাণু ভ্রমণ কক্ষে থাকা ইলেকট্রন নিজের কক্ষ ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যেতে থাকে। এই কারণে প্রচণ্ড উর্জা (এটমিক এনার্জি )উৎপন্ন হতে থাকে প্রচণ্ড শক্তি পিরামিডের পাঁচ কোণ থেকে প্রবাহিত হয়ে বাইরে ছড়িয়ে যায়। এই ধরণের উর্জা মানব জাতির লাভার্তে ও বিকাশার্তে কতদূর উপযোগী এ ব্যাপারে নিরন্তর খোঁজ চলেছে। 

পিরামিডের বিশালত্বের ওপর  সমগ্র বিশ্বের লোক আকর্ষণ অনুভব করে। এই অসীম বিরাটত্বের পেছনে ইজিপ্টের রাজা শাসকদের ঐশ্বর্য যশ গাঁথা  জড়িয়ে আছে। পিরামিডের কথা আসতেই সে সঙ্গে স্মরণ এসে যায় মমির কথা। মমি হল হাজার হাজার বছর ধরে পিরামিডে সুরক্ষিত রাখা মৃত দেহ। ইজিপ্টের পিরামিডের চমৎকারী শক্তির একমাত্র কারণ তার ভৌম আকৃতি এবং সংরচনা। 

মন্দিরের আকৃতি,মসজিদের গম্বুজ, চার্চের মিনারের টোচ,বৌদ্ধধর্মের পগোডার আকার অনেকটা এই রকম সংরচনারও পর আধারিত। এই সব স্থানে বসলে আমাদের মনে এক প্রকার বিশেষ শান্তি অনুভূত হয়। এর কারণ হল এখানে কোন শক্তি প্রবাহিত হতে থাকে। এই প্রবাহিত শক্তির প্রধান কারণ হল এই সব সংরচনার ওপরের ভাগের বিশিষ্ট আকৃতি। 

আমাদের শরীরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ যেমন নাক,চোখ--আন্তরিক শরীর হৃদয়,লিভার,ফুসফুস,ইত্যাদির এক বিশিষ্ট আকার আছে। এগুলি অনেকটা পিরামিডের সঙ্গে তুলনা করা যেতে পারে। আর এ জন্যেই বোধহয় দেহের ভেতরের শক্তির স্রোতও অনেকটা পিরামিডের প্রবাহিত শক্তির মতই পরিলক্ষিত হয়। 

বাচ্চার জন্যে সবচে বেশী গুণকারী মায়ের দুধ হয়।মাতার দুধের উৎসাধার অনেকটা পিরামিডের আকৃতির মত হয়।বিশ্ব আরোগ্য সংস্থান প্রমাণ করেছে যে বাচ্চার জন্যে শ্রেষ্ঠ আহার হল মায়ের দুধ। 

এ রকম আমাদের চার পাশে দেখতে পাওয়া অনেক পিরামিডের আকৃতির বস্তু সকল শক্তি সঞ্চয় আর আরোগ্যের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠ বলা যেতে পারে। 

মহাভারতের কালে যেমন ময়দানব পাণ্ডবদের রাজমহল নির্মাণ করে ছিলেন ঠিক তেমনি ভাবে পিরামিডের আকৃতির সৃজন হয়েছিল। সে সময়কার স্থাপত্য কলার প্রগতি লক্ষ্য করা গিয়েছিল।তখন কার ভাষা,লিপি,বুঝতে আধুনিক বিজ্ঞানীরাও অনেক ক্ষেত্রে অসমর্থ। এ সব ভাষা, লিপি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লুপ্ত প্রায় হয়ে গেছে। কেবল আমাদের মাঝে কিছু পিরামিড মাত্র বেঁচে আছে।আমাদের ঋষি মুনিরা আরাধনা ও অর্চনা করতে করতে গায়ত্রী মন্ত্রের অমোঘ শক্তি আবিষ্কার করে ছিলেন।ঠিক এই রকমই মায়ন সংস্কৃতির লোকরা সূর্যের আরাধনার ফলস্বরূপ পিরামিড নির্মাণের প্রেরণা পেয়ে ছিলেন। 

তৎকালীন সমাজে পিরামিডের ভিতরে বিবাহ সমারোহ সম্পন্ন হত। প্রার্থনা সভা, রাজ্যাভিষেক উৎসব আয়োজিত হত। মেসোনিক সম্প্রদায়ের মন্দিরে মহত্বপুর্ণ দীক্ষা অনুষ্ঠান আয়োজিত হত।কখনও কখনও রাজা বা ধনীলোকেরা নিজেদের পরিবারের সঙ্গে মন্দিরে বসবাসও করতেন।এই রকম ভাবে বিশিষ্ট অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা পিরামিডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মহাজাগতিক শক্তি (cosmic energy) পেতেন।

 

ক্রমশ: 

 

সহায়ক পুস্তক:

পিরামিড শক্তি--রবিকান্ত

১ Likes ১২ Comments ০ Share ৫৭৫ Views