ঠাণ্ডা মৌসুমে অনেকের পা ফাটা, ত্বক খসখসে ও রুক্ষ হয়ে যাওয়াসহ নানান সমস্যা দেখা দেয়।
পায়ের যত্নে রইল কিছু টিপস। দেখে নিন।
আশা করি এই শীতে এতে করে আপনি মুক্ত থাকতে পারবেন অনাকাংখিত এই সমস্যা হতে।
কিছু সাধারণ সমস্যা
* পা ফাটা।
* পায়ের ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হ্রাস।
* অল্পতেই পায়ের ত্বক ও নখ নোংরা হয়ে যাওয়া।
পা ফাটার কারণ
* প্রতিদিন খুব বেশি হাঁটাহাঁটি করলে।
* ধুলা-ময়লায় খালি পায়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে।
* ওভার ওয়েট হয়ে শরীরের সব ভার পায়ের ওপরই পড়ে। সে ক্ষেত্রে গোড়ালি ফাটবে।
* আবহাওয়ার পরিবর্তনে।
* ভুল জুতা পরলে।
* ভিটামিন ও মিনারেলের যথাযথ ব্যালান্স না থাকলে।
পা ফাটা থেকে বাঁচতে
* পা পরিষ্কার রাখুন সব সময়।
* প্রতিদিন গোসলের পর গ্লিসারিন ও গোলাপজল মিশিয়ে ত্বকে লাগান।
* সব সময় সুতির মোজা পরে থাকুন।
* বাইরে থেকে এসে উষ্ণ গরম পানিতে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে পা ধুয়ে ফেলুন।
* শুকনো করে মুছে লোশন লাগান।
* মাঝেমধ্যে ভালো বিউটি সেলুন থেকে পেডিকিওর করান।
* গোড়ালির অংশে অতিরিক্ত যত্ন নিন।
রাতে শুতে যাওয়ার আগে
* পা গরম পানিতে ধুয়ে শুকনো করে মুছুন।
* যে কোনো ভালো তেল, গ্লিসারিন, লোশন, ভ্যাসলিন লাগিয়ে সুতির মোজা পরুন
খাওয়াদাওয়া
* শরীরে ভিটামিন বা মিনারেলের (ক্যালসিয়াম ও আয়রন) ঘাটতি হলে অনেক সময় পা ফাটে।
* ভিটামিন ও মিনারেলযুক্ত খাবার খান।
* সবুজ শাকসবজি ও বাদামে ভিটামিন আছে, যা আপনার ত্বকের জন্য উপকারী।
* দুধ, চিজ বা পনির, দই, ব্র্রকোলি, মাছ, মাংসে পাবেন মিনারেল।
* মৌসুমি ফল খান।
* ব্যালান্স ডায়েট মেনে চলুন।
ঘরোয়া পেডিকিওর
* নেইলপলিশ রিমুভার দিয়ে নেইলপলিশ তুলুন।
* নখ খুব ছোট করবেন না, নেইলকাটার দিয়ে চাহিদামতো শেইপ করুন।
* নখের কোণা যেন চামড়ায় গেঁথে না থাকে খেয়াল করুন।
* নখ ফাইল করুন।
* গরম পানিতে লেবুর রস, শ্যাম্পু, পেডিকিওর সল্ট মিশিয়ে ১৫-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন।
* পলিশ স্টোন দিয়ে পায়ের শক্ত চামড়া ঘষে তুলুন।
* ব্রাশের সঙ্গে সামান্য শ্যাম্পু দিয়ে ঘষে পায়ের ত্বক ও নখের কোণায় জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করুন।
* নখের কোণে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করুন এবং কিউটিকল কাটুন।
* স্ক্র্যাব দিয়ে গোড়ালি থেকে হাঁটু পর্যন্ত ম্যাসাজ করার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে শুকনো করে মুছুন।
* পায়ে ফুটক্রিম বা বডি অয়েল বা লোশন ম্যাসাজ করুন।
* পছন্দের নেইলপলিশ পরুন। নেইলপলিশ পরতে না চাইলে নেইলবাফার দিয়ে ঘষে নখে শাইন মাখুন।
* ঘরে পেডিকিওর করতে চাইলে এক সেট পেডিকিউর কিট কিনে রাখুন, সুবিধা হবে।
পায়ে কড়া পড়লে
* পা সব সময় পরিষ্কার রাখুন।
* প্রতিদিন রাতে ফুটবাথ করুন গরম পানিতে।
* পা পরিষ্কার করে ফুটক্রিম লাগান।
* কড়ায় একটানা সাত দিন রসুনবাটা লাগান।
মনে রাখুন
* পা পরিষ্কার রাখুন সব সময়।
* শীতকালে ঘরে খালি পায়ে হাঁটাহাঁটি করবেন না।
* ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করুন নিয়মিত।
* নেইলপলিশ এক সপ্তাহের বেশি কখনওই লাগিয়ে রাখবেন না।
* পর্যাপ্ত পানি খান।
* রাতে শোয়ার আগে যে কোনো ক্রিম দিয়ে ফুট ম্যাসাজ করুন অন্তত ১০ মিনিট।
* অবসর সময়ে পায়ে দুধ, লেবুর রস ও পেডিকিওর সল্ট মিশিয়ে রাখুন, উপকার পাবেন।
* যাদের ব্লাড সুগার সমস্যা আছে বা যারা ডায়াবেটিক, তারা মেটাল স্ক্র্যাপারের বদলে পলিশ স্টোন ব্যবহার করুন।
* পায়ের রক্ত সঞ্চালন যাতে ঠিকমতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* নিয়মিত পায়ের এক্সারসাইজ করুন।
Comments (8)
হুম! আরও একজন রোমান্টিক কবি পাওয়া গেলো। ভালোবাসার কথাটা বলা হল না, অথচ দু'জনের পথ দু'দিকে চলে গেছে। অন্য জনের খবর জানি না। তবে কবি যে আজও সেই অন্যজনটাকে গভীরভাবে উপলব্ধি করে, ভালোবাসে সেটা কবিতার পংক্তিতেই ফুটে উঠেছে দারুণভাবে। নিঃস্বার্থ প্রেম যাকে বলে, সেটাই যেন এই কবিতার মূল উপজীব্য। লোকে বলে ভালোবাসা নাকি মিলনে হয় মলিন আর বিরহে হয় গভীর। কবির বেলায়ই তা-ই হয়েছে দেখছি। সাবলীল ভাষায় লেখা ভালোবাসার কবিতা ভালো লাগলো ইমরান ভাই।
একজন আমাকে বলে আমি নাকি পাগলা কবিতা লিখি। আমার কবিতা নাকি সাধারন পাঠকদের জন্য নয়। তাই একটু চেস্টা করলাম আর কি।
নিস্বার্থ প্রেম এর অর্থ যদি হয় নিজের স্বার্থে প্রেম তাহলে আমি এর সাথে একমত। নইলে আমি বিরোধী দলে আছি। আমি মনে প্রানে বিশ্বাস করি পৃথিবী প্রেম হচ্ছে সবচেয়ে স্বার্থপর সম্পর্ক। কোন কোন সম্পর্ক শেষ হয়ে যায় কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়না। কেউ কেউ বলে আমি কিছুই চাই না। শুধু তোমাকে চাই। মানে কি একজন পুরো পুরো দখল করে নেয়া? তার মানে এর চেয়ে বড় পাওয়া কি আছে? একজন মানুষ দখলে নেয়ার চাইতে স্বার্থপরতার আর কি থাকতে?
আসলেই প্রেম সবচেয়ে স্বার্থপর সম্পর্ক। কিন্তু আমি যে প্রেমের কথা এখানে বলেছি সেটা পাগলা কিসিমের প্রেম। আসলে স্বার্থ বোঝার আগেই ভাললাগা থেকে যে প্রেম এবং স্বার্থ বোঝার আগেই হারিয়ে যাওয়া যে প্রেম। যেখানে কোন চাওয়া পাওয়া নেই। কারন কি চাইবে আর কি পাবে সেটাই তো বোঝেনা এই প্রেম।