সারভাইবার এক্সপার্ট বেয়ার গ্রিল এর পোকামাকড় অনায়াসে খেলে ফেলাটাকে অনেকেই ঘৃণার চোখে দ্যাখে। আমার কিন্তু ভালই লাগে। বেঁচে থাকাটাই বড় কথা, কি খেয়ে বাঁচলাম সেটা নাথিং। পত্রিকা ঘাটা-ঘাটি করাতে কিছু চমকপ্রদ খবরাখবর আমার ঝুলিতে থাকে।
কাল সারারাত ছিল আমার সারভাইবার ট্রেনিং এর মহরত। ফলাফল যা পাইলাম...
১। এয়ারটেলের ৭ কেবিপিএস(মাঝেমাঝে কানেকশন গায়েব) স্পিড দিয়ে ৭৩ এমবি ফাইল ই-মেইল করার অদ্ভুত ধৈর্যের পরীক্ষা।
২। একটানা হেডফোন দিয়ে কতক্ষন আমি ফুল সাউন্ড দিয়ে গান শুনতে পারি তার পরীক্ষা।
৩। চোখ কানা করার মত ডিসপ্লে’র ব্রাইটনেস বাড়িয়ে একটানা কতক্ষণ তাকাইয়া থাকতে পারি তার পরীক্ষা।
এবং
৪। নিজের রক্ত, মশার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে উদারতার এক আধুনিক পরীক্ষা। (টিকতে না পাইরা মাঝেমধ্যে এন্টী-উদারতাও দেখাইছি)
*** শেষমেশ আসে হল গিয়ে আমি কদ্দুর কামিয়াব হইছি তা পরীক্ষা করা। গতরাতে তাৎক্ষণিক কোন পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া পাইলুম না। তবে বেয়ার গ্রিলের মত রোমাঞ্চ খুঁজতে দিয়ে এখন বারান্দার গ্রিল ধইরা সোজা হইয়া দাঁড়াইতেই জানি কেমুন কেমুন লাগতাছে। চোখ একদম আধুনিক জাপানীদের মত স্থান নিয়ে বসে আছে। কানে মুনে হইতাছে সিডরের হাওয়া বইতাছে। শরীরে মশার নির্যাতনের ছাপ দেইখা নিজের উপর মায়া হইতেছে।চোক্ষে খুয়া খুয়া দেখতে পাইতেছি।
*** এন.বিঃ প্লিজ ডু নট ইমিটেট মি।
Comments (1)
অপেক্ষা করতেসিলাম কখন চিঠির শেষ অংশ পড়তে পারব। তখনকার সময় এইভাবেই তো ছেলেরে নিয়া দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মায়েরা চিঠি লিখত তাই না? প্রতিটা লাইনে থাকত ছেলে দূরে থাকার হাহাকার। কবে ফিরবে তার জন্য চিন্তা। ছেলে কেমন আছে সেই চিন্তা। আপনার চিঠিটায় সবকিছুই খুব ভালো করে ফুটে উঠসে।
মায়ের চিঠি ভালো লাগসে আপু।
ধন্যবাদ আপু চিঠি পড়ে সুন্দর মন্তব্য দেয়ায়...শুভকামনা সতত
দুই পর্বের চিঠিটাতে আবেগ, অনুভূতি, ভালোবাসা, দ্রোহ সবই আছে। মাকে কখনো দেখলাম সন্তানের জন্য আবেগে জর্জরিত হয়ে পড়তে আবার সেই মাকেই দেখলাম বিদ্রোহী হয়ে উঠতে। মায়ের মন তো তাই হয়তো অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়েছিল। এটাই স্বাভাবিক। তাই তিনি যেমন দেশের স্বাধীনতা চাচ্ছেন, ঠিক তেমনি সন্তানকে বুকেও ফেরত চাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতা যুদ্ধের অনেক কাহিনী উঠে এসেছে চিঠিতে। পুরো চিঠিটা যেন যুদ্ধের সমস্ত ঘটনার একটা উপসংহার। কেনও আমরা যুদ্ধ করেছি আর কীভাবে স্বাধীনতা পেয়েছি তা আপনার এই চিঠি পড়লেও সব জানা না গেলেও একটা স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।
সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন। অনেক ভালো লাগা রইলো সেলিনা আপা। ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য দিয়ে লেখাকে মুল্যবান করে তোলার জন্য শুভকামনা অনন্ত
বাহ দারুন কবি,,,,,,চৈত্র শুভেচ্ছা,,,,,,
ধন্যবাদ কবিভাই আপনাকেও চৈত্র শুভেচ্ছা