Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

আবু সাঈদ চৌধুরী

১০ বছর আগে

নিজেকেও এখন আর ক্ষমা করতে পারিনা ।

চারিদিকে এমন কেন হচ্ছে, তবে কি আবার আমরা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি ? রাজনৈতিক দোলাচলে আজ দেশটা শেষের কিনারায় এসে দাড়িয়েঁছে । মুক্তিযুদ্ধের সময়ের সাথে অমিল কোথায় ? দেশের সাধারন মানুষের ঘরবাড়ি পুড়ে দেওয়া, মানুষের দেহ ঝলসে দেওয়া, লুটপাট, ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া সবই আবার শুরু হয়েছে । মানুষের জীবন আজ নিরাপত্তাহীন । একদিকে সরকার বলছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে অন্যদিকে অস্বাভাবিকতা আমরা মেনে নিতে বাধ্য হচ্ছি । এমন করে জীবন কিভাবে চলে ? আমরা কি আবার সেই অন্ধকারে ফিরে যাচ্ছি না !

একটি সম্ভাবনাময় দেশ এই বাংলাদেশ । কি নেই আমার এ দেশে । সবচেয়ে বড় সম্পদ জনশক্তি দিয়ে আমরা বিশ্বের কাছে এক পরিশ্রমী জাতি হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গেছি । এখন আর জনসংখ্যা সমস্যা আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় সমস্যা নয় বরং জনসংখ্যাই আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সম্পদ হিসেবে পরিগনিত ।এই অবস্থায় নির্বাচন নিয়ে আজ যে নৈরাজ্য আমাদের দেখতে হচ্ছে তা প্রতিটি মানুষের মধ্যে শুধু বিরোধই সৃষ্টি করছেনা মানুষের একসাথে থেকে কর্মচাঞ্চল্য পরিবেশও একদিন নষ্ট করে দেবে ।এর ফলাফলও দৃশ্যমান । গত বুধবার এক মন্ত্রির বিবৃতি ছিলো শুক্রবার থেকে সব রুটে গাড়ি চলবে । মালিক পক্ষও কেউ কেউ স্বিকার করে নিয়েছিলো তা । কিন্তু কে নেবে জীবনের রিস্ক ! সবাই চায় জীবনকে বাঁচাতে । দুবৃত্তরা প্রায়ই সাজানো স্বপ্নগুলোকে ধ্বংশ করে দিচ্ছে সাধারন মানুষের । কিন্তু এটাতো কাম্য ছিলোনা কারোরই ।

আজ জনগন তার কথা পৌছাতে পারেনা রাজণীতিকদের কাছে । আমরা সাধারনেরাও কথা বলি অনেক । আমাদেরও দেশ নিয়ে একটি স্বপ্ন আছে । আমরাও চাই আমাদের দেশটি বাঁচুক তার নিজস্বতায়, আনন্দে মেতে উঠুক দেশের প্রতিটি মানুষ । শুধু মাত্র রাজনীতিকদের একমুখ কথা বলা এবং তাদের সিদ্ধান্ত জনগনের উপর চাপিয়ে দেওয়ার কারনে বারবারই আমার দেশটি হুমকির মুখে । গনতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা বলে যেভাবে শাসন প্রক্রিয়া চালানো হচ্ছে এটা কখনই গনতান্ত্রিক প্রকিয়া বলা যাবে না । গনতান্ত্রিক বলতে হলে জনগনের কথা বলার প্লাটফর্ম থাকতে হবে এবং সেই প্লাটফর্ম অনুযায়ীই শাসন ব্যবস্থা পরিচালনার ব্যবস্থা রাখতে হবে । কিন্তু আমাদের দেশের জনগন শুধুমাত্র ভোট দেওয়ার অধিকারটুকুই সংরক্ষন করে । ভোট দেওয়া পর সবই তাদের ইচ্ছা !এটা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবেই । জনগনের হাতেই থাকতে হবে দেশের ক্ষমতা । এজন্য এমন একটি কথা বলার স্থান দরকার যেখানে জনগন তাদের সব কথা স্বাধীনভাবে উপস্থাপন করতে পারে ।এজন্যই প্রয়োজন জনতার একটি সংসদ । যেখানে জনগনের কথা বলার একটি জায়গা হবে । সবাই নিজদের মুক্তভাবে প্রকাশ করার স্বাধীনতা পাবে । এই সংসদের মাধ্যমেই একসময় সকল প্রস্তাব জনগন সরাসরি রাজনীতিকদের কাছে পৌছুতে পারবে । এখন এই কাজটি সম্ভব হচ্ছেনা বলেই বার বার হোচট খাচ্ছে জনগন । একদল রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে আর অন্য দল তাদের প্রতিরোধ করার কথা বলছে । এভাবেই লেগে যাচ্ছে বিরোধ । কিন্তু যদি মুখোমুখি অবস্থানে না থেকে কথা বলতে পারতো সাধারন জনগন তবে হয়ত কিছুটা স্বস্তিতে থাকতো এদেশে ।

আজ সরকার দলের বেশীরভাগ মন্ত্রিদের সম্পদ আকাশচুম্বী আর সাধারন জনগন অনেকেই না খেয়ে থাকে । তবুও রাজনীতির জন্য মানুষ মরছেই । আমরাও এদেশের জনগন । শিক্ষিত জনগন ! যাদের শিক্ষিত হওয়ার অধিকার আছে, বোঝার অধিকার আছে, কাজের অধিকার আছে কিন্তু কারো বিরুদ্ধে অন্যায়ের প্রতিবাদ করার অধিকার নেই । সব বুঝেও নিরবতা পালন করাটাই আমাদের মত শিক্ষিত মানুষগুলোর কাজ হয়ে দাড়িয়েঁছে । আমি এখন নিজেকেও ক্ষমা করতে পারিনা ।

০ Likes ২ Comments ০ Share ৩৮৭ Views

Comments (2)

  • - লুৎফুর রহমান পাশা

    ভয়াবহ জটিল লিখেছেন  সাইদ ভাই।

    জগত এখন ভাড় ময়। গোপাল ভাড় এইসময়ে জন্ম হলে না খেয়ে মারা যেত।

    • - আবু সাঈদ আহমেদ

      সারাদেশই এখন গোপাল ভাড়ের রাজত্ব।

    - তাহমিদুর রহমান

    টপ ক্লাশ রম্য গদ্য

    - ইসমাইল হোসেন

    নতুন রুপে গোপাল ভাড়। ভাল লাগেছে গোপাল ভাড়ের গল্প।

    আধুনিক গোপাল ভাড়

    Load more comments...