Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

এম রহমান

১০ বছর আগে

নতুন টাকা নেওয়ার আগে একটু ভাবুন, সচেতন হোন।

 

ঘটনা-১

১৫-১১-১১ তারিখে গ্রামের এক বৃদ্ধলোক ঢাকায় তার মেয়ের বাসায় বেড়াতে এসেছেন। শ্যমলিতে নেমে বনফুলে গিয়ে মিষ্টি কিনে পাচশত টাকার নতুন নোট দিলেন। দোকানী বেশ ভালো ভাবে পরখ করে বললেন টাকাটা জাল। বৃদ্ধের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার যোগাড়। তিনি জানতেন না তার জন্য আরো বিস্ময় অপেক্ষা করছে। উনার কাছে আরো একটি পাচশত টাকার নোট ছিল। সেটা দোকানিকে দেখালেন। দোকানী জানালো যে এই টাকাটাও জাল। বৃদ্ধ কতক্ষন ঠায় দাড়িয়ে রইলেন। এক সময় বাচ্চাদের মত কাদতে শুরু করলেন। কারন এখন তার মিষ্টি নেওয়ার চাইতে বড় ব্যপার বাড়ি ফিরে যাওয়া।

ঘটনা-২

আমার অফিসের এক সিনিয়র গত মাসের বেতন তুললেন এটিএম বুথ থেকে। অন্য একটি ব্যংকে গিয়ে লোনের কিস্তি দিলেন। ক্যাশ থেকে জানালো একটা এক হাজার টাকার নোট জাল। খ্যাশ থেকে টাকাটা পাঞ্চ করে দেয়া হলো। এবং পাশাপাশি একটা বিজ্ঞপ্তি দেখাতে ভুল করলো না। বললেআ আপনি আমাদের নিয়মিত কাস্টমার। তা না হলে নিয়ম হলো জাল টাকা উপস্থাপন কারীকে আইনের হাতে সোর্পদ করা।

 

বাংলাদেশে কয়েকদিন পর পরই নতুন ডিজাইনের টাকা ছাপানো হয়। আমরা কম বেশী সবাই নতুন টাকার প্রতি বেশ আগ্রহী। সম্প্রতি সব গুলো নোটের নতুন ডিজাইন ছাপা হয়েছে। যাতে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছাপা হয়েছে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে এই টাকা গুলো নিরাপত্তা কোড গুলি খুবই র্দুবল। আরো একটি আশংকার বিষয় হলো যে আগে নতুন টাকা বাজারে প্রতুল হওয়ার পর জাল টাকা আসতো  কিন্তু এবার বাজারে নতুন টাকা আসার আগেই জাল টাকা এসে গেছে। ফলে নতুন এই টাকা গুলোর প্রচুর পরিমানে জাল টাকা পাওয়া যাচ্ছে। বেশীর ভাগ জাল হচ্ছে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট । উপরোক্ত দুইটি ঘটনার ভুক্তভোগি দুইজন কেউ জাল টাকা তৈরীর সাথে জড়িত নন কিন্তু তারা তাদের টাকা গুলোকে হারালেন। এমনকি এমন এক বুদ্ধ র্মাকা আইন চালু আছে যা শুনলে আতকে উঠতে হয়। তা হলো জাল টাকা যার কাছে পাওয়া যাবে তিনিই অপরাধি। এখন আমার কথা হলো আমরা আম জনতা টাকার ব্যপারে এতটা দক্ষ নই। আমাদের পক্ষে এই গুলা সনাক্ত করা কঠিন। তার উপর ব্যংক থেকেও জাল টাকা সরবরাহ করা হয়। আমি ব্যংকের তৈরী বান্ডিলের ভিতরেও জাল টাকা পেয়েছি। যারা জাল টাকা বানায় তাদের ধরার দায়িত্ব সরকারের। অথবা টাকা গুলো আরো বেশী সিকিউরড করার দায়িত্বও সরকারের। কিন্তু তা না করে দায়ভার পুরো পুরি চাপিয়ে দিচ্ছে জন গনের উপর। ষোল কোটি মানুষকে সচেতন করা যত না কঠিন তার চেয়ে অনেক বেশী সহজ দোষীদের বের করা। কারণ তারা অবশ্যই হাতে গোনা কয়েকজন। আর সরকারের আমলা, কামলা ছাড়া কোন ভাবেই জাল টাকা তৈরী হতে পারেনা। এমনকি বাংলাদেশ ব্যংকে পাওয়া জাল টাকা নিশ্চয়ই আম পাবলিক রেখে আসেনি। অনেকেই হয়ত পাবলিককে সচেতন হওয়ায় পরার্মশ দিবেন। কিন্তু আমার কথা হলো আপনি যখন নগদ টাকা নিবেন তখন না হয় চেক করে নিলেন। কিন্তু আপনি যখন এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলবেন তখন কিছু করার আছে কি? অথবা ব্যংকে জমা দিতে যখন আপনার টাকাটা পাঞ্চ হয়ে গেলো তখন আপনার কি করার আছে?

 আমি পারত পক্ষে নতুন টাকা গুলো নিতে চাইনা। আমি মনে করি এতে হয়ত কিছুটা সমস্যা হবে তবুও জালের হাত থেকে বাচার আর কোন উপায় আছে বলে আমার জানা নেই।

 


 

লেখকঃ এস এম পাশা, ফেসবুক থেকে নেওয়া

 

০ Likes ৫ Comments ০ Share ৬৬৯ Views

Comments (5)

  • - মেজদা

    ছবি পোস্ট করতে পারছি না। ভ্যাফক রাগের ইমু চাই।

     

    • - নীল সাধু

      আমি ডরাইসি!! 

      ডরে কাইন্দালছি মেজদা  

    • Load more relies...
    - ঘাস ফুল

    অনলাইন থেকে তোমার পছন্দের ছবিতে রাইট বাটন ক্লিক করে কপি ইমেজে ক্লিক করো, তারপর সেটা তোমার পোস্টে যেখানে চাও পেস্ট করো। ছবি চলে আসবে। ট্রাই মাইরা দেখো। এই যে আমি দিলাম।

    • - মেজদা

      করছি, কোন কাজ হয় না। 

    • Load more relies...
    - কামরুন নাহার ইসলাম

    "লোকে বলে আমায় চন্ডাল

    আমি নাকি মরার কাংগাল
    সমাজের আমি বড় জঞ্জাল
    বলে সকল জনে।
    বুঝে কি কেউ আমার কথা
    আমার মনের গভীর ব্যাথা
    আমি সমাজ করি পবিত্রতা
    দিয়ে চন্দনে চন্দনে।"-------  

    "নইলে মানুষ বুঝি ফিরে যেত বনে"----- 

    • - মেজদা

      ধন্যবাদ-চলন্ত ঝর্ণা থেকে পানি এনে সমাজটা ধুয়ে পরিষ্কার করে দিন। 

    Load more comments...