Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

hasan milu

১০ বছর আগে

নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশের ফুটবল

বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য এত দিন অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। প্রতিযোগিতাটি ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের বাইরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফুটবলের স্বাদ নেওয়ার জায়গা। এশিয়ার তৃতীয় সারির দেশগুলোর ‘বিশ্বকাপ’ হিসেবে পরিচিত এই প্রতিযোগিতা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। আজ বুধবার কুয়ালালামপুরে আয়োজিত এএফসির নির্বাহী কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে চ্যালেঞ্জ কাপ বন্ধ হয়ে গেলেও বাংলাদেশের মতো পিছিয়ে পড়া দেশগুলোর আন্তর্জাতিক ফুটবলের পরিধি বেড়ে যাচ্ছে অনেকটাই। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনার ওপরই নির্ভর করছে এএফসির নতুন এই সিদ্ধান্ত থেকে কতটা লাভবান হবে বাংলাদেশ।
এএফসির নতুন সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বাফুফেকেও। আজকের বৈঠকে এএফসি তাদের সদস্য দেশগুলোর ফেডারেশনকেও একটি নির্দিষ্ট র্যাঙ্কিংয়ের আওতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সদস্য ফেডারেশনগুলোর র্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপারটি নিষ্পত্তি হবে মোট ১০০ পয়েন্টে। এই ১০০ র্যাঙ্কিং পয়েন্টের মধ্যে দেশগুলো তাদের ঘরোয়া ফুটবলের মানের ভিত্তিতে পাবে ৭০ পয়েন্ট। বাকি ৩০ পয়েন্ট থাকছে জাতীয় দলের পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। এই র্যাঙ্কিংয়ের প্রথম ২৪টি দেশ পাবে এশিয়ার ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় প্রতিযোগিতা এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার সুযোগ।
২৫ থেকে ৩২তম স্থানে থাকা দেশগুলো খেলবে এএফসি কাপে। ৩৩ থেকে ৪৭তম স্থানে থাকা দেশগুলো লড়বে এএফসি কাপের জন্য বাছাইপর্বে।
এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে ২০১৯ সাল থেকে এশিয়ান কাপ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ২৪টি দেশ নিয়ে। চ্যালেঞ্জ কাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২০১৯ সালের এশিয়ান কাপ বাছাইপর্ব অনুষ্ঠিত হবে আরও বড় পরিসরে।
এশিয়ার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বকে এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের সঙ্গে সমন্বিতও করা হয়েছে আজকের বৈঠকে। এএফসির প্রতিযোগিতা-সংক্রান্ত কমিটির সুপারিশ ছিল অনেকটা এমনই। প্রতিযোগিতা-সংক্রান্ত কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী এখন থেকে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের প্রাথমিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে এশিয়ার দেশগুলোকে আটটি গ্রুপ বিভক্ত করে। সেখান থেকে গ্রুপের শীর্ষ আটটি দল ও বাকি চারটি সেরা রানার্সআপ সরাসরি খেলবে এশিয়া অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের চূড়ান্ত পর্বে (বর্তমানে এই পর্বে খেলে ১০টি দল)। এই ১২টি দল সরাসরি সুযোগ পাবে এশিয়ান কাপের চূড়ান্তপর্বেও।
এরপর বাকি ২৪টি দল আবার নিজেদের মধ্যে লড়বে এশিয়ান কাপ চূড়ান্তপর্বের বাকি ১২টি জায়গার জন্য। তাদের ছয়টি গ্রুপে বিভক্ত করে আবারও অনুষ্ঠিত হবে সেই বাছাইপর্ব। 

০ Likes ০ Comments ০ Share ৩৮৬ Views