দেশ নিয়েস্ব প্ন
আমরাইপারি পরাশক্তি হয়ে বিশ্ব জয় করতে
॥শরীফ হাসান॥
বিশ্ব জয়ের কৌশল একেক সময় একেক ধরণের ছিল।বিশ্বজয়ের জন্য হালাকু খান, চেঙ্গিস খান আর আলেকজান্ডাররা গড়ে তুলেছিল বিশাল সৈন্য বাহিনী।কোন দেশের সেনা বাহিনীর প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দিয়ে, বেশ সহজেই দখল করে নিত অন্যদের ভূ-খণ্ড।এরপর সেখানে চলতো সীমাহীন লুণ্ঠণ।যাতারা লুণ্ঠণ করে নিয়ে যেতে পারতোনা; তা ধ্বংস করে দিয়ে যেত।তখকার দিনে বিজিতদের হত্যা করা বিজয়ীদের একধরণের অধিকারের পর্যায়ে ছিল।
এরপর বিশ্ব জয়ের কৌশল কিছুটা পাল্টালো।বিশ্ব জয়ের নাটাই রইলই উরোপে আর ঘুড়ি এলো এশিয়া, আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকার দেশে দেশে। যাকে রাষ্ট্র বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হলো ‘কলোনিয়ালিজম’ বা ‘ঔপনিবেশবাদ’।এপর্যায়ে এশিয়া আফ্রিকা আর ল্যাটিন আমেরিকার পরাজিত রাষ্ট্রগুলো থেকে সম্পদ পাচার হতে থাকলো ইউরোপের দেশ গুলোতে।এ বিশ্বজয়ের লড়াইয়ে ইউরোপের দেশ গুলোর মধ্যে জার্মানী বেশ পিছিয়ে ছিল।তারা বিশ্বজয়ের ‘সর্টকাট’ বা ‘সংক্ষিপ্ত’ পথ ধরলো।তারা এশিয়া আফ্রিকা বা ল্যাটিন আমেরিকায় যাবার পরিবর্তে ইউরোপের ‘নাটাইধারী’ দেশগুলো দখল করতে চাইলো।চললো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ফলাফল- নাটাইধারী দেশগুলোর হাতে নাটাই রইল ঠিকই; কিন্তু ঘুড়ি ‘বাকাট্টা’ হয়েগেল।প্রায় সব দেশই কলোনিয়ালিজমের হাত থেকে বের হয়ে গেল।
দ্বিতীয বিশ্বযুদ্ধের পর বিশ্বজয়ে শুরু হল আর এক লড়াই। বিশ্বের এক অংশ চলে গেল আমেরিকান ব্লকে এবং অপর অংশ সোভিয়েত ব্লকে। কোন দেশই আর স্বাধীন ভাবে টিকে থাকতে পারলোনা।এ ব্লক টিকিয়ে রাখার জন্য চললো বিশ্বে অস্ত্র প্রতিযোগিতা। কে কার চেয়ে সংখ্যায় বেশী আর কার্যকর অস্ত্র বানাতে পারে ! ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পর বিশ্বের সব ক্ষমতা চলে গেল আমেরিকার কাছে।এখন বিশ্বজয়ের একমাত্র পরা শক্তি হলো আমেরিকা।আর তার থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে কার্যকরী ও বহন যোগ্যসরঞ্জামসহ ৩৭ হাজার পারমাণবিক বোমা নিয়ে প্রস্তুত রাশিয়া।সে ক্ষেত্রে চীনের অবস্থা আরো আরো অনেক দূরে।
এতক্ষণ আমরা যে বিশ্ব জয়ের বর্ণনা তুলে ধরলাম, আসলে কি তারা বিশ্বজয় করতে পেরেছিল বা পারছে? আমরা বললো না ।কিছু সময়ের জন্য হয় তো তারা কোন ভু-খণ্ড দখলে রাখতে পেরেছিল; কিন্তু সেই ভূ-খণ্ডের মানুষের মন কি তারা জয় করতে পেরেছিল? নিশ্চয়ই না।ভূ-খণ্ড আর মানুষ দুটো নিয়েই দেশ। কিছু সময়ের জন্য কোন ভূ-খণ্ড জয় করা কোন ক্রমেই দেশ জয় বা বিশ্ব জয়ের পর্যায়ে পড়ে না।
শিরোনামে বলেছিলাম পরাশক্তিরকথা।পরাশক্তি বললে য়তো অনেকেই বিশ্বকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে কে কতোটা শক্তি অর্জন করেছে তা বুঝাবে।কিন্তু বিপরীতভাবে আমরা বলতে চাই, বিশ্বকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে অনেক শক্তি অর্জন করেছে, তা কে কি পরাশক্তি বলা যায় না? সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কোন অবস্থাতেই পিছিয়ে নেই।এবার একে একে বলি আমাদের পরাশক্তি হয়ে আত্ম প্রকাশের কথা।
বহু বছর বিশ্বের বুকে সর্বোচ্চ ভবন হিসেবে টিকে ছিল আমেরিকার শিকাগো শহরের ‘সিয়ার্সটাওয়ার’।এ ভবনের স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন ফজলুর রহমান খান সংক্ষেপে এফ আর খান। তাকে বিশ্বের মানুষ চিনে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারের আইনস্টাইন হিসেবে। তিনি বাংলাদেশেরই সন্তান। কোন শক্তি প্রয়োগে নয়- এ ভবনটি যে সড়কে দাঁড়িয়ে আছে তার নাম এফ আর রহমান সড়ক।আমেরিকার মানুষের ভালবাসানিয়েই এসড়কে টিকে আছে এফ আর খানের ধাতব ভাস্কর্য।
প্রায় প্রতি দিনই সংবাদ মাধ্যমে আমরা বোমায় গুঁড়িয়ে যেতে দেখি কোন না কোন ইরাকে রভবন।বাংলাদেশে বোমা তৈরীর কেন কারখানানেই । আমাদের ধারণা এদেশে বোমা তৈরীর কোন বিশেষজ্ঞও নেই।সে হিসেবে আমরা নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি -এ ধ্বংস যজ্ঞের পিছনে আমাদের কোন হাত নেই। কিন্তু এ কথা টি হয়তো বিশ্বের অল্প সংখ্য ক মানুষই জানে যে- ইরাকে র যে ভবন গুলো ধ্বংস হয়ে গেল, তার বেশীর ভাগই বাংলাদেশীদের হাতে গড়া। বিশ্বের ম্যাগাস্ট্রাকচার ‘পামআইল্যাণ্ড’ বা ‘বুর্জদুবাই’ যাই বলিনা কেন যাদের আমরা পরাশক্তির দেশ বলি তাদের হাত আর ঘামের তুলনায় বাংলাদেশীরা সেখানে এগিয়েআছে অনেক বেশী।
নিউজিল্যাণ্ডের একটি ফল হচ্ছে কিউই।২ ০১২ সালে এ ফল চাষ করে দেশ টি আয় করেছিল ১হাজার ৩ শত কোটি ডলার।কিন্তু ছত্রাক আক্রমণের কারণে ২০১৩ সালে এ ফল থেকে আয় অর্ধেক কমে গেছে।অনেক চেষ্টা করেও নিউজিল্যাণ্ড সরকার এসমস্যা সমাধানের কোন কুলকিনারা করতে পারেনি।তাই তারা দ্বারস্থ হচ্ছে বাংলাদেশের।নিউজিল্যাণ্ডের মত উন্নতদেশও আজবাঙালীর জ্ঞান ধার বা ভাড়া করতে চায়।কারণ খুবই সহজ- বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মাকসুদুল আলম ও তাঁর দল ২০১২ সালেই ছত্রাকে রজীবন রহস্যউন্মোচন করতে পেরেছেন।তাই সেদেশের সরকার ও কৃষকরা আশা করছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীদের দ্বারা তারা ছত্রাক সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।
অন্য দিকে দ্বীপ মানেই ঝড় আর বন্যার সাথে সংগ্রাম করা।আমেরিকার উত্তর ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ বাসীর ক্ষেত্রেও এর ব্তিক্রম নয়।অন্যান্য দ্বীপ বাসীর মতো এদেরও পেশা মাছ ধরা আর কৃষি কাজ করা। ঝড় এদের মাছ ধরা নৌকা ডুবিয়ে দেয়, আর বন্যায় তলিয়ে যায় ক্ষেতের ফসল। কিন্তু ক্ষুদ্র দ্বীপ গুয়াম, মাইক্রোনেশিয়া, মার্শাল আইল্যাণ্ড, সামোয়া, হাওয়াই দ্বীপবাসীরা ৬মাস আগেই জানতে পারে বন্যার পূর্বাভাস।তাই সহজেই রক্ষা করতে পারেন- তাদেরজীবন, মাছধরারনৌকা-সরঞ্জাম ও তাদের জমির ফসল। আর এ পূর্বাভাসটি দিয়ে থাকেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী রাশেদ চৌধুরী।
৯০ এর দশকে সোভিয়েত বিপর্যয়ের পর রাশিয়া সমাজতন্ত্রের বিকল্প নিয়ে অনেক গবেষণা করেছে।বেশির ভাগগবেষণার ফলাফল হচ্ছে- সমাজতন্ত্রের বিকল্প হচ্ছে সমাজতন্ত্র। অন্যদিকেপুঁজিবাদের বিকল্প খুঁজতে গিয়ে আমেরিকা আবিস্কার করে ছেনতু ন একটি পন্থা তাহলো- ‘সামাজিক ব্যবসা’ বা ‘মাইক্রোক্রেডিট’।এ তত্ত্বের জনক ড. ইউনুস।আমরা যারা ইউনুস তত্ত্বের বিরোধিতা করি তারা খুব স্পষ্ট করেই বলি ইউনুসত ত্ত্বের বাস্তবায়নের মাধ্যমে একজন মানুষনা খেয়ে মারা যাবে তা ঠেক নো যাবে।আবার সেই সাথে একজন মানুষ ভালো খেয়ে সুচিন্তা করে দেশকে উন্নত করবেতা ওঠেকানো যাবে।ইউনুস তত্ত্বের আস্তা ভাজনদের সংখ্যাও বিশ্বে কম নয়। তবুওতো মানুষ খেয়ে বাঁচলো।সম্প্রতি এ তত্ত্ব বাস্তবায়নের জন্য ক্যারাবিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্র হাইতি ড. ইউনুসের জন্য১০ হাজার হেক্টর জমি বরাদ্দ করেছে।এ ছাড়া আলবেনিয়া ও কসোভোর দারিদ্র দূরীকরণে ড. ইউনুস ভূমিকা রেখেছেন বলে এদেশে গুলোর সরকার মনে করে।
মরু ভূমি কী? একথা জিজ্ঞাসা করলে সবাই বলবে- যে দিকে তাকাই না কেন শুধু বালু আর বালু। কোথাও কোন গাছ পালা নেই।মরুভূমির ধারণাকে পাল্টে দিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ। তারা আরবদের দেখিয়ে দিয়েছে মরুভূমিতে কী করে মাছ চাষ করতে হয়।আরবের শত শত মরু পুকুরে বাংলাদেশের মানুষ মাছ চাষ করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে।আরবের মরুভূমিতে সবজি আর ফল চাষ বাংলাদেশের মানুষরা একটি স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত করেছে।
আফ্রিকার যুদ্ধ পীড়িত দুটো দেশ হলো- সিয়েরালিওন ও লাইবেরিয়া। দুটো দেশই গৃহ যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত।সেখানে পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী।বাংলাদেশের সেনা বাহিনী এ দুটো দেশে যুদ্ধে কতটা পারদর্শী তা দেখাতে পেরেছে তা আমাদের জানা নেই।তবে এ দুটো দেশে বাংলাদেশের সেনা বাহিনী আশাতীত বিজয়ী হয়েছে সে বিষয়ে বিশ্বের কোন মানুষের সন্দেহ নেই। এ দুটি দেশের মানুষ বাংলাদেশ নামটি শুনলে আবেগে আপ্লুত হয়ে যায়।বাংলাদেশের কোন সেনা কমাণ্ডার সিয়েরালিওনের মানুষের সমাবেশে বক্তৃতা দিয়ে বলেনি- ‘বাংলা এণ্ড বাংলা উইল বি দ্য এস্টেট ল্যাংগুয়েজ অব সিয়েরালিওন।’ তবুও সিয়েরালিওনে র রাষ্ট্র ভাষা বাংলা। এটি কোন শক্তির জয় নয়; এটা ভালোবাসার জয়।
বাংলাদেশের একটি বেসকারি সংস্থা- তারা শিক্ষা নিয়ে মূলত এদেশে কাজ করতো।সংস্থাটি তাদের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে এক পর্যায়ে কাজ গুটিয়ে ফেলে। তাদের একটি অংশ যোগাযোগ করে মালদ্বীপ সরকারের সাথে।তারা মালদ্বীপের শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে যাবার পরিকল্পনার কথা জানান। মালদ্বীপ সরকার রাজী হয়ে যায়।পাল্টে যায় মালদ্বীপের শিক্ষার অবস্থা।আজ শিক্ষার ক্ষেত্রে মালদ্বীপের অবস্থান সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে অথবা বিতর্ক এড়িয়ে বলতে পারিশীর্ষ পর্যায়ে।
আজ বিশ্বের মানুষ তাদের সৌন্দর্যকে প্রকাশ করতে নামী-দামী ব্রাণ্ডের পোষাকে নিজেদের আবৃত করে রাখে।এর একটি উল্লেখ যোগ্য সংখ্যক পোষাকই বাংলাদেশের তৈরী।বিশ্বে এমন কোন দেশ পাওয়া যাবেনা যারা এতো কম পয়সায় এত সুন্দর পোষাক মানুষকে বানিয়ে দিতে পারে।
ইংল্যাণ্ডের মানুষেরা পরিশ্রমী হিসেবে স্বীকৃত।তারা সপ্তাহেপাঁচ দিন কঠোর পরিশ্রম করে, আর দুদিন বিনোদন করে।এ দুদিনের বিনোদনের মধ্যে থাকে ভালো খাওয়া। আর এ ভালো খাবারের জন্য নির্ভর করে বাংলাদেশীদের হোটেলগুলোর উপর।
যুগে যুগে বিশ্বে স্বপ্নের ফেরিওয়ালারা ঘুরে বেড়ান। বর্তমানে তাদের একজন সাবিরুলইসলাম।বাপ দাদার বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে।বয়স মাত্র ২৩ বছর। বিশ্বের দশ লক্ষ তরুণকে তিনি উদ্যোক্তা হবার স্বপ্ন দেখাবেন।ইতোমধ্যে ৮লক্ষ ৫০হাজার তরুণকে স্বপ্নের কথা বলেছেন। নাইজেরিয়ার রাষ্ট্র পতি তরুণদের স্বপ্ন দেখানোর জন্য তাকে তার দেশে ডেকে নিয়ে গেছেন।
মাত্র কয়েক দিন আগে জাতিসংঘে পাকিস্তানের কিশোরী মালালা- দারিদ্র পীড়িত মানুষের অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন- এ দারিদ্র মানুষের জন্য ট্যাঙ্ক আর বন্দুকের প্রয়োজন নেই; তাদের দরকার বই আর কলম। সেখানে সেনা পাঠানোর দরকার নেই- দরকার শিক্ষকের।এখন ধরা যাক, আফগানিস্তান বা পাকিস্তান তার দারিদ্র দূরিকরণেবই-কলম-শিক্ষক সাহায্য চাইল।এমন কি কোন পরাশক্তি আছে যারা বাংলাদেশের চেয়ে বেশী আর ভালবই-কলম-শিক্ষক দিয়ে তাদের সহযোগিতা করতে পারে।অথবা দুর্ভিক্ষ পীড়িত সোমালিয়া মানুষ যদি মাছ-ভাত খেয়ে বাঁচতে চায়; বলুন তো সহযোগিতার এ যুদ্ধে গুলোতে কোন দেশটা আমাদের দেশকে পেছনে ফেলতে পারবে।বিশ্বে বর্ণবাদ নেই এমন দেশের তালিকা খুবই ছোট।আর নিঃসন্দেহে এ তালিকার শীর্ষ দেশ বাংলাদেশ। সুতরাং আমরাই পারি সহযোগিতার পরাশক্তি হয়ে বিশ্বকে জয় করতে।
আমরা এমন দিনের প্রহর গুণছি -যেদিন আমার দেশের কোন এক তরুণ প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে গিয়ে বলবেন- ‘বাংলাদেশ একটি পরাশক্তির দেশে পরিণত হয়েছে।এখন আমরা বিশ্বকে জয় করতে চাই। না আমরা কোন পারমাণবিক শক্তি নয় , আমরা ‘পরামানবিক’ শক্তির অধিকারী হয়েছি। বিশ্বের কোন ভূ-খণ্ডকে আমরা জয় করতে চাই না।বিশ্বের সমগ্র মানুষে র মনকে জয় করতে চাই। সেখানে বন্যা হয় আমাদের বলবা আমরা ৬মাস আগে তোমাদের পূর্বাভাস দিয়ে দিব।যে দেশে গৃহযুদ্ধ হয়; আমাদের বলবা আমরা সেখানে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়ে আসব।ছত্রাক বা অন্য কোন কারণে তোমাদের ক্ষেতের ফসল যদি নষ্ট হয়ে যায়; তবে বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের খবর দাও, আমরা তোমাদের পাশে থাকবো।হে বিশ্বের মানুষরা তোমরা যদি মরুভূমিতে ফসলফলাতে চাও, এমনকি মরুভূমিতে মাছও চাষ করতে চাও; তবে আমাদরে খবর দাও, আমরা তোমাদের ঠিক ঠিক তা করে দিব। হে তরুণ তোমরা কি স্বপ্ন দেখতে আর দেখাতেচা ও ? তবে আমরা আমাদের স্বপ্নের ফেরিওয়ালাকে পাঠিয়েদেব তোমাদের দেশে।আমরা হ্িচ্ছবর্ণবাদহীন শীর্ষ জাতি।তোমরা যে বর্ণেরই হও না কেন, আমরা তোমাদের সবাইকে ভালবাসি।আমরা তোমাদের সবাই কে জয় করতে চাই। কিন্তুআমাদের নিকট তোমাদের কারও পরাজিত হবার কোন সম্ভাবনা নেই।আমরা বিশ্বের মানুষের সাথে পালন করতে চাই জয় জয় ( Win win ) উৎসব।’
আমরা দেশবাসী সেই শুভ ক্ষণের অপেক্ষায় রইলাম।
sharifadv@gmail.com
Comments (0)
অসাধারণ একটা কবিতা।
Suvo kamona নিষাদ