Site maintenance is running; thus you cannot login or sign up! We'll be back soon.

দলতন্ত্র

গোত্রীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে পৃথিবীতে প্রথম একক বা সম্মিলিত ব্যক্তির শাসন ব্যবস্থা চালু হয় । কালের বিবর্তনে তা কখনো রাজতন্ত্র এবং সামরিক তন্ত্রে রূপান্তরিত হয় । রাজতন্ত্র কিংবা সামরিক তন্ত্রে জনগণের সরাসরি  অথবা প্রতিনিধি দ্বারা সম্পৃক্ততা  না থাকার কারণে অনেক সময় প্রজাসাধারনের  যুক্তিক  দাবি গুলো  পূরণ হত না । এই অভুক্ত দাবি আদায়ের জন্য মানুষ নতুন কিছু ফর্মুলা চিন্তা করেন যা আব্রাহাম লিংকনের সরকার জনগণের , জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য  , এই মন্ত্র গুলো ধারুন প্রভাব ফেলতে থাকে ।  এবং এখান থেকে আধুনিক গণতন্ত্রের যাত্রা শুরু হয় । যদিও প্রথম গণতন্ত্র  শব্দটি আবিস্কার হয়  প্রাচীন গ্রীক দার্শনিক চিলস্থেন্স (Clisthenes ) এর হাতে যাকে অ্যাথিন্স গণতন্ত্রের জনক বলা হয় । যে আশার আলো নিয়ে গণতন্ত্রের আবিষ্কার হল সেটা পরে বিভিন্ন রূপে রুপায়িত হয়ে একটা  সংকর তন্ত্রে রূপ ধারণ করল । গণতন্ত্রের প্রথম দুর্ঘটনাটা ঘটল পরিবারতন্ত্রের কাছে  বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ায় ।  এর পরে বাংলাদেশে বেশ কয়েক বার মরণ কামড়ে আক্রান্ত হয়ে কোন রকম বেঁচে থাকলেও  স্থায়ীভাবে এখানে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাওয়ার কোন রকম নিশ্চয়তা নেই । কেননা  বাংলাদেশের মহান সংবিধানের ৭০ নাম্বার অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোন সাংসদ সংসদে তার দলের বিরুদ্ধে  ভোট প্রদান করলে তার সদস্য পদ বাতিল বলে গণ্য হবে । এর ফলে ক্ষমতাসীন দলের আনিত কোন বিলের বিপরীতে (যা রাষ্ট্র ব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকর)  কোন সদস্য ঐ বিলের বিরুদ্ধে ভোট প্রদান করবে না । এই অনুচ্ছেদটাকে ব্যবহার করে প্রত্যেক দলেই লাভবান হয় । যার ফলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সৃষ্টির  চেয়ে দলতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল বেড়ে উঠছে ক্রমবর্ধমান হারে ।  দলের নেতাকর্মী এবং সাংসদ  সবাই জনগণের সন্তুষ্টির চেয়ে নেতাদের সন্তুষ্টির ব্যাপারে বেশী উৎসাহী । দল বাঁচলে পদ বাঁচবে , পদ বাঁচলে পকেট ভারী থাকবে । আর দেশ ধ্বংস হলে রিক্সা -ভ্যানওয়ালা আমজনতা মরবে । তখন আব্রাহাম লিংকনের উল্ট সুরে সুর মিলিয়ে বলতে হবে দলের জন্য দেশ , নেতাদের দ্বারা , নেতাদের জন্য দেশ , এই দলকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে দেশকে শোষণের জন্য । এই দেশ দলের । 

 
০ Likes ৬ Comments ০ Share ৫৬৪ Views